Bajaj Pulsar NS 125 ফিচার রিভিউ

বর্তমান সময়ের চাহিদা মোতাবেক ১২৫ সিসি সেগমেন্টে Bajaj খুবই সম্প্রতি লঞ্চ করেছে Bajaj Pulsar NS 125, বাইকে থাকছে ১৬০ সিসি এনএসের লুক এবং কমবেশি সকল ফিচারস। বাজাজ সম্প্রতি তাদের লাইনআপে বাজাজ পালসার এনএস ১৬০ রিফ্রেশ নামক বাইকটি যুক্ত করেছে এবং এটি বাজাজের লাইনআপে টপ মোটরসাইকেলের মধ্যে একটি। আর এই বাইকের ছোট ভার্শন বলা যেতে পারে Pulsar NS 125। দুর্দান্ত বৈশিষ্ট্য, হ্যান্ডলিং, ব্রেকিং এবং স্পোর্টি লুকসহপালসার এনএস ১২৫ বেশ অনেকটা দিন ধরেই সকলের মাঝে প্রাপ্য ছিল, যা কমিউটার সেগমেন্টে নতুন টেস্ট দিতে সক্ষম। 'NS' মানে নেকেড স্পোর্টস। মূলত এই বাইকটি এর লুক দিয়ে তরুণদের আকৃষ্ট করেছিল। NS তার পেরিমিটার ফ্রেম এবং মনোশক সাসপেনশন সহ টু-হুইলার সেগমেন্টে পারফরম্যান্সের ক্ষেত্রে একটি নতুন প্রবণতা তৈরি করতে চলেছে। এখন Pulsar NS 200 এবং 160 মডেলগুলির লুক এবং ফিচারের আদলে এই নতুন NS 125। যাইহোক, বাজার পরিবর্তন হচ্ছে এবং তাই মানুষের চাহিদাও পরিবর্তন হয়েছে। নতুন কিছু পরিবর্তনের বিষয়ে কথা বলছি যখন, তাহলে চলুন আমরা বাজাজ পালসার এনএস ১২৫ বাইকটি নিয়ে কথা বলি, কি কি নতুন থাকছে আমাদের জন্য যা সম্প্রতি বাজারে এসেছে।

Bajaj Pulsar NS 125 এর আকর্ষনীয় বৈশিষ্ট্যঃ

- সিঙ্গেলডিস্ক এবং রেয়ার ড্রাম সাথে সিবিএস।
-নতুন স্টাইলিশ কালার গ্রাফিক্স
- বড় ফুয়েল ট্যাঙ্কার
- উলফ-আইড হেডল্যাম্প
- এএইচও (অটোমেটিক হেডল্যাম্প অন)
- 5 স্টেপ অ্যাডজাস্টেবল রেয়ার মনো শক
- এন্টি স্কিড ব্রেকিং সিস্টেম

ডিজাইন এবং স্টাইলঃ

Bajaj Pulsar NS 125 হল একটি নেকেড স্পোর্টস কমিউটার, যা আপগ্রেড বৈশিষ্ট্য এবং আধুনিক যুগের স্টাইলিং সহ নির্মিত। বডি ফ্রেম NS 160 মডেলের মতোই থাকছে, তবে কালার গ্রাফিক্স এর কিছু পরিবর্তন দেখা মিলবে। চকচকে মেটালিক পেইন্ট, উলফ আইড হেডল্যাম্প, ইনফিনিটি টুইন স্ট্রাইপড এলইডি টেইল ল্যাম্প এবং স্পোর্টি গ্র্যাব রেল, সব মিলিয়ে একটি আকর্ষনীয় অ্যারোডাইনামিক ডিজাইন এবং চোখে ধরার মতন নেকেড স্পোর্টস ডিজাইন। এই বাইকের ডিকেলসগুলোর কারনে অনেক স্পোর্টি দেখায় এবং এই মেশিনটিকে খুব সুন্দর 360 ভিউ দেয়। এই বাইকের কার্ভস এবং এজগুলির কারনে এটিকে খুব এগ্রেসিভ দেখায়। আন্ডারবেলি স্পোর্টস এক্সহস্ট, স্টাইলিশ সাদা রঙের অ্যালোই এবং নতুন বৈশিষ্ট্যযুক্ত ফুয়েল ট্যাঙ্কার শেডিং এই বাইকটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। Pulsar NS 125-এও ১৬০ এন এসের মতোই একটি থ্রিপার্ট হ্যান্ডেলবার সেটআপ রয়েছে। স্প্লিট সীটের সাথে এই ধরণের হ্যান্ডেল বারটি বাইকটিকে স্পোর্টি ভাব দেয়। NS 125-এ একইভাবে আলোকিত সুইচ গিয়ার রয়েছে, যা কিংবদন্তি পালসার সিরিজের চিহ্ন। নতুন 125-এর সাথে আপনি কেবলমাত্র নতুন ডিজাইন পাচ্ছেন তা নয় সাথে থাকছে ১২৫ সিসি পাওয়ারফুল ইঞ্জিন।

বডি ডাইমেনশনঃ

বাজাজ পালসার এনএস ১৬০ সিরিজটি সর্বদা অন্যান্য সিরিজের তুলনায় কিছুটা উচু বাইক হিসাবে বিবেচিত। Bajaj Pulsar NS 125 একই ভাবে মোটামুটি একটি উচু বাইক এর উচ্চ ৮০৫ মিমি সিটের কারনে। পালসার এনএস ১২৫ বাইকের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা এবং ওজন যথাক্রমে ২০১২ মিমি। ৮১০ মিমি, ১০৭৮ মিমি এবং ১৪৪ কেজি। বাইকটির হুইলবেস ১৩৫৫ মিমি, যা কর্নারিং এর সময় বাইককে স্থিতিশীল রাখতে বেশ ভাল কাজ করবে। বাইকের গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সটি ১৭৯ মিমি। এই বাইকের ১২ লিটার ট্যাঙ্ক রয়েছে, যা শহরের এবং দীর্ঘ যাত্রার জন্য খুবই উপযুক্ত।

ইঞ্জিন এবং ট্রান্সমিশনঃ

Bajaj Pulsar NS 125 বাইকে রয়েছে 4-স্ট্রোক, SOHC 4-ভালভ, এয়ার কুলড, BSVI কমপ্লায়েন্ট DTS-i Ei ইঞ্জিন। এটি 8.82 kW @ 8500 rpm সর্বোচ্চ শক্তি এবং 11 Nm @ 7000 rpm সর্বোচ্চ টর্ক প্রদান করে। NS 125 একটি ইলেকট্রনিক কার্বুরেটর দেয়া হয়েছে এবং শহরের রাইডের জন্য তা আদর্শ। ইঞ্জিনটি একটি ফাইভ-স্পীড গিয়ারবক্স এবং টো শিফট গিয়ার লিভার দ্বারা পরিচালিত হবে। NS 125 গড়ে প্রায় 40 KM/L মাইলেজ প্রদান করে এবং এটি সহজেই 100 KM/H এর আনুমানিক সর্বোচ্চ গতিতে পৌঁছাতে পারে। (কোম্পানির দাবি)

ব্রেক এবং টায়ারঃ

Bajaj Pulsar NS 125 রয়েছে ফ্রন্ট ডিস্ক এবং রেয়ার দ্রাম ব্রেক। সাথে থাকছে না কোন এবিএস, তবে রয়েছে সিবিএস ব্রেকিং সেটআপ। সামনের ডিস্কটি ২৪০ মিমি এবং রেয়ার ব্রেকে থাকছে ১৩০ মিমি দ্রাম যা এই বাইকের ব্রেকিং পারফরম্যান্স এবং বাইকের হ্যান্ডলিংকে বেশ ভাল করে তুলবে।

যেমনটি আমরা আগে উল্লেখ করেছি বাজাজ পালসার এনএস ১২৫ বাইকে স্টাইলিশ অ্যালোই হুইল রয়েছে। সামনের এবং পিছনে থাকছে টিউবলেসস টায়ার , যথাক্রমে 80/100-17 এবং 100/90-17।

সাসপেনশনঃ

নতুন Bajaj Pulsar NS 125 এরজন্য বাজাজ ফ্রন্ট সাসপেনশন হিসাবে বেসিক টেলিস্কোপিক সাসপেনশন ইনস্টল করেছে। পেছনের দিকে রাখা হয়েছে নাইট্রক্স ৫ স্টেপ এডজাস্টেবল মনো-শক সাসপেনশন। আমাদের দেশের রাস্তাগুলি অনুসারে, দুটি সাসপেনশনই বেশ ভাল পারফর্ম করবে।

মিটার কনসোল:

Bajaj Pulsar NS 125 বাইকে সেমি ডিজিটাল ক্লাস্টার দেখা যায়। ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টারে একটি এনালগ আরপিএম কাউন্টার রয়েছে। অন্যদিকে, স্পিডোমিটার, ওডোমিটার, ট্রিপ মিটার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ইন্সটুমেন্ট গেজ সম্পূর্ণ ডিজিটাল।

শেষকথাঃ

কোম্পানি যেমন বলছে Bajaj Pulsar NS125-এর অতুলনীয় পারফরম্যান্সের রয়েছে রাস্তায় চলাচলের দারুন ক্ষমতা, বৈশিষ্ট্যগুলিও দেখার পর সেই বিষয়টিই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখন বাকি সত্যতা ব্যবহারকারীর মতামত দ্বারা প্রমাণিত হবে। এই বাইকটি থ্রিল-পচ্ছন্দকারীদের জন্য তৈরি এবং নতুন স্ট্রিট ফাইটার লুক সেটিই বলছে। Pulsar NS 125 পাওয়া যাবে ৪টি ভিন্ন রঙে এবং সেগুলো হল, ফায়ারি অরেঞ্জ, ব্রান্ট রেড, বিচ ব্লু এবং পিউটার গ্রে। আসা করা যাচ্ছে খুব সিঘ্রই বাংলাদেশের বাজারে দেখা মিলবে এই বাইকের।