2018-08-20 Views: 2753
Owned for 0-3months []
Ridden for 0-1000km
This user provides ratings about this bike
9 out of 10

Design

Comfort & Control

Fuel Efficient

Service Experience

Value for money
ইয়ামাহা আর১৫ ভি৩ ইন্দো ভার্সন মোটরসাইকেল রিভিউ - আবু হাসনাত

মটরসাইকেল মানুষের জন্য অনেক সুবিধা নিয়ে এসেছে তেমনি এর কিছু অসুবিধাও আছে তবে একটু সচেতনতার সাথে মটরসাইকেল চালালে এটি হয়ে উঠতে পারে অনেক উপকারি বাহন।বর্তমান সময়ে যারা ব্যাস্ত সময় পার করে তারা সহজে বেছে নিচ্ছে মটরসাইকেল কারণ তাদের কাছে সময়ের মূল্য অনেক বেশি।আবার অনেকেই তার পছন্দ ও শখ থেকে বাইক কিনে থাকে।আমি আবু হাসনাত আমি ইয়ামাহা কোম্পানির আর১৫ ভার্সন-৩ এবং গত ১মাস ১০ দিন যাবত বাইকটি ব্যাবহার করছি যদিও আমার বাইক সম্পর্কে তেমন ধারণা নেই তবুও যতটুকু পারি আমার অভিজ্ঞতার কথা আপনাদের সাথে তুলে ধরার চেষ্টা করব। এর মাঝে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ইঞ্জিন
বাইকটির ইঞ্জিন পারফর্মেন্স এখন পর্যন্ত আমার কাছে ভালো লাগেনি। বিশেষ করে কিছু ক্ষণ চালানোর পর লক্ষ্য করলাম ইঞ্জিন ঘামছে । এক থেকে দুই কিলোমিটার যাওয়ার পর ইঞ্জিন বেশ গরম হচ্ছে। ইঞ্জিন নিয়ে আমিও তেমন সন্তুষ্ট হতে পারিনি।তবে এর মাঝেও আমি ১৩৫+ কিলোমিটার স্পীড তুলেছি।
ডিজাইন
বাইকটির ডিজাইন আমাকে আকৃষ্ট করছে এবং আমি এমন সুন্দর ডিজাইন আশা করিনি আসলেই বাইকটির ডিজাইন আমার অনেক পছন্দ।তবে বডির পার্টস গুলো তেমন মজবুতনা।বেশ পাতলা কিট গুল।সব মিলিয়ে আমার কাছে বাইকটির রং এবং ডিজাইন বেশ ভালো লেগেছে।
কন্ট্রোল
কন্ট্রোল নিয়ে আমি সন্তুষ্ট কারণ খুব ভালো মানের ব্রেকিং সিস্টেম ব্যাবহার করা হয়েছে এবং টায়ার গুলো মোটা হওয়ার কারনে আমি খুব সহজে বাইকটি কন্ট্রোল করতে পারি। আমি ১৩৫ কিলোমিটার স্পীড তুলেছি সেই ক্ষেত্রে বাইকটি কন্ট্রোল করতে আমার কোন সমস্যা হয়নি।বাইকটির সিটিং পজিশন আমার কাছে ভালো মনে হয় এবং সীটে বসে বেশ ভালো মত বাইকটি কন্ট্রোল করা যায়।
কম্ফোরট
প্রথমের দিকে বেশ কষ্ট হত বাইকটি চালাতে কিন্তু এখন অভ্যাস হয়ে গেছে।আমি এক দিনে প্রাই ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছি সেই ক্ষেত্রে আমি হাতে বা কাধে ব্যাথা অনুভব করিনি।আমি বাইকটিতে এখন পর্যন্ত কোন রকম ভাইব্রেট লক্ষ্য করিনি

বেশ স্মুথলি বাইকটি চালাতে পারি।সুইচ গুলো ব্যাবহার করে বেশ মজা পাচ্ছি তবে পাশ সুইচটি একটু ভিন্ন হওয়ার জন্য সমস্যা হচ্ছে তাছাড়া সুইচ গুলো বেশ মজবুত।
ইলেকট্রিকাল
বাইকটির মিটার অনেক জোশ এবং সম্পূর্ণ ডিজিটাল মিটার হওয়াই অনেক আকর্ষণীয় মনে হয়েছে আমার কাছে।এবং আর একটি ভালো বিষয় হচ্ছে বাইকটিতে জরুরি একটি সুইচ ব্যাবহার করা হয়েছে।এ এইচ ও প্রজুক্তিটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ এখনও এই বিষয়টি নিয়ে অভ্যস্ত হতে পারেনি এর কারনে মাঝে মাঝে একটু সমস্যার মাঝে পড়তে হয়।হেডল্যাম্পের আলো আমার কাছে কম মনে হয়েছে তবে বাইকিটির ব্যাটারির কোয়ালিটি বেশ ভালো মনে হয়েছে আমার কাছে।
মাইলেজ ও সার্ভিস
আমি মাইলেজ নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট কারণ শোরুম থেকে ৪০ কিলোমিটার মাইলেজ বলেছিল এবং আমি ৪০ কিলোমিটার মাইলেজ পাচ্ছি।তেল খরচ নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।আমি রাজশাহীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কেআর বাইক সেন্টার থেকে বাইকটি ক্রয় করেছি এবং তাদের ব্যাবহার বেশ ভালো পেয়েছি।তাদের সার্ভিস কোয়ালিটি অনেক ভালো আমি যখনি যাই তারা বেশ যত্ন সহকারে সার্ভিস প্রদান করে আমি সার্ভিস পেয়ে সন্তুষ্ট।
দাম ও সব মিলিয়ে
আমি যেমন সার্ভিস পাচ্ছি সেই দিন বিবেচনা করলে দাম নিয়ে আমি মনক্ষুন্ন, দাম আমার কাছে একটু বেশি মনে হয়েছে।এখন কেবল ১ মাস পার করলাম সেই দিক থেকে আমি সব মিলিয়ে মোটামুটি পারফমেন্স পাচ্ছি।আশা রাখছি আগামীতে আরও ভালো পারফমেন্স পাবো।
ভালো দিক
-ব্যাল্যেন্স
-কন্ট্রোল
-মোটা টায়ার
খারাপ দিক
-ইঞ্জিন গরম
-দাম