Home
2016-02-08
হিরো এক্সট্রিম স্পোর্টস ডাবল ডিকস বনাম বাজাজ পালসার এএস ১৫০
স্থানীয় মোটরসাইকেলের বাজারে বাজাজ এবং হিরো মোটরসাইকেলের উত্পাদনকারী কোম্পানী দুইটিই খুব জনপ্রিয়। এই দুটি কোম্পানী ভারতীয় তবে তাদের পণ্যগুলি বাংলাদেশের পাশাপাশি অনেক দেশে পাওয়া যায়। আমাদের দেশে ১৫০সিসি মোটরসাইকেল খুব জনপ্রিয় এবং এই দুটি কোম্পানী তাদের অনেকগুলি মডেল তৈরি করেছে। এই মোটরসাইকেলের মধ্যে দুটি আধুনিক পণ্য এই দুটি কোম্পানীর থেকে পাওয়া যায় এবং সেগুলি হলো হিরো এক্সট্রিম স্পোর্টস ডাবল ডিস্ক এবং বাজাজ পালসার এএস১৫০। এই মোটরসাইকেলগুলি তাদের পূর্ববর্তী সমমানের পণ্যগুলির তুলনায় বেশ বৈশিষ্ট্যযুক্ত এবং যথেষ্ট মার্জিত। নিম্নের আমরা এই বাইক দুটির সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলি তুলনা করি যা এই বাইকগুলির সম্পর্কে খুব ভালভাবে জানার জন্য আমাদের সহায়ক হবে এবং কোনটি আরও ভাল তা আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।লুকস এবং ডাইমেনশনঃ ভাল চেহারা ভাল ডাইমেনশনের উপর নির্ভর করে। ডাইমেনশন অনুসারে বাজাজ এবং হিরো মোটো কর্পোরেশনের এই দুটি মোটরসাইকেল বেশ ভাল এজন্যই তাদের আউটলুকগুলিও আকর্ষণীয়। এই দুইটা মোটরসাইকেলের মধ্যেই স্পোর্টি আউটলুক এবং দুর্দান্ত কালার কম্বিনেশন রয়েছে যা রাইডারদের বেশ ভালভাবেই আকর্ষণ করতে সক্ষম। ডাইমেনশনে এক্সট্রিম স্পোর্টসে ২১০০ মিমি দৈর্ঘ্য, ৭৮০ মিমি প্রস্থ, ১০৮০ মিমি উচ্চতা রয়েছে। চাকা বেসে এটি ১৩২৫ মিমি এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সে এটি ১৪৫ মিমি রয়েছে। এই বাইকটিতে ১৪৬ কেজি একটি কার্ব ওজন রয়েছে। অন্য দিকে বাজাজ পালসার এএস১৫০ এর দৈর্ঘ্য ২০৭০ মিমি দৈর্ঘ্য, ৮০৪ মিমি প্রস্থ এবং ১২০৫ মিমি দৈর্ঘ্যের রয়েছে। হুইলবেসে এটি ১৩৬৩ মিমি এবং ১৭০ মিমি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রয়েছে। এই বাইকের ১৪৩ কেজি কার্ব ওজন। সুতরাং আমরা বলতে পারি উভয় বাইকই ডাইমেনশন এবং আউটলুকে সত্যিই বেশ ভাল।
ইঞ্জিন ইঞ্জিনকে একটি গাড়ির হৃদয় বলা হয়ে থাকে এবং এই দিকে কোনও সন্দেহ ছাড়াই উভয় বাইকই তাদের প্রস্তুতকারক কোম্পানি দ্বারা ১৫০সিসি ক্যাটাগরিতে তৈরি করা হয়েছে। হিরো এক্সট্রিম স্পোর্টস ডাবল ডিস্কে এয়ার কুলড, ৪ - স্ট্রোকের একক সিলিন্ডার ওএইচসি ১৪৯.২সিসি ইঞ্জিন রয়েছে। এই ইঞ্জিনটি ১৫.২ বিএইচপি @ ৮৫০০ আরপিএম সর্বাধিক শক্তি এবং ১৩.৫ এনএম @ ৭০০০ আরপিএম সর্বাধিক টর্ক উত্পাদন করতে পারে। এই ধরণের পাওয়ার এবং টর্কের সাহায্যে এই ইঞ্জিনটি ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা (প্রায়) সর্বোচ্চ গতি দিতে পারে। অন্য দিকের পালসার এএস ১৫০ এ ১৪৯.৫ সিসি সিঙ্গল সিলিন্ডার, ৪ স্ট্রোক, এসওএইচসি ৪ ভাল্ভ, ১৬.৮ বিএইচপি @ ৯৫০০ আরপিএম সর্বাধিক পাওয়ার সহ ট্রিপল স্পার্ক ইঞ্জিন এবং ১৩ এনএম @ ৭০০০ আরপিএম সর্বোচ্চ টর্ক রয়েছে। এই ইঞ্জিনের সাহায্যে এই বাইকটি ১২০-১৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা (প্রায়) সর্বোচ্চ গতি দিতে পারে।
সাসপেনশন এবং ব্রেকসসাসপেনশন এবং ব্রেক উভয় ভালভাবে তৈরি। তবে এক্সট্রিম স্পোর্টসের ব্রেকিং সিস্টেমটি পালসার এএসের চেয়ে ভাল। সাসপেনশনগুলিতে এক্সট্রিম স্পোর্টস ডাবল ডিস্কে সামনের দিকে টেলিস্কোপিক সাসপেনশন এবং পেছনের দিকে আয়তক্ষেত্রাকার সুইং আর্ম সাসপেনশন রয়েছে। ব্রেকিং এ এই বাইকটিতে উভয় দিকেই ডাবল ডিস্ক ব্রেক রয়েছে। অন্যদিকে পালসার এএস এর সামনের অংশে টেলিস্কোপিক সাসপেনশন এবং পিছনের দিকে নাইট্রক্স মনসোক রয়েছে। ব্রেকিং এ এই মোটরসাইকেলের মধ্যে ডিস্ক এবং ড্রাম ব্রেকের সংমিশ্রণ রয়েছে।
এই হলো উভয় মোটরসাইকেলেরই সাধারণ বৈশিষ্ট্য এবং আমরা বলতে পারি যে উভয়ই ভালভাবে কনফিগার করা হয়েছে এবং ডিজাইন করা হয়েছে। তাদের পক্ষে কোনটা ভাল তা সিদ্ধান্ত নেওয়া এখন রাইডারদের উপর নির্ভর করে।
