বাজাজ পালসার টুইন ডিস্ক ১০,০০০কিমি রাইডিং অভিজ্ঞতা

2020-04-27
Owned for 1year+ [] Ridden for 10000km+

This user provides ratings about this bike

8 out of 10

Design

Comfort & Control

Fuel Efficient

Service Experience

Value for money

This bike is purchased from Bajaj Heaven, Dhaka

বাজাজ পালসার টুইন ডিস্ক ১০,০০০কিমি রাইডিং অভিজ্ঞতা - রনি তাহের

Bajaj-Pulsar-Twin-Disc-10000km-riding-experiences-by-Rony-Taher

একটা সময় ছিলো যখন ১৫০ সিসির বাইক বলতে শুধু পালসারকেই বুঝানো হত। সে সময়ে যে কেউ ১৫০ সিসির বাইক কিনলে সর্বপ্রথম বাজাজ পালসারকে পছন্দ করত। সব মিলিয়ে বাইকটি এমনভাবে গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করেছে যা গ্রাহকদের সেই বাইকের ব্র্যান্ড ভুলে মডেলে নজর দিয়েছে। এমন অনেক মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে যারা জানেন না যে পালসার হচ্ছে বাজাজ ব্র্যান্ডের বাইক। আমি পালসার বাইকের অনেক বড় একজন ভক্ত। আমার কাছে এই বাইকটি অনেক আগে থেকেই পছন্দ কিন্তু তখন বাইকটা কোন একটা সমস্যার জন্য কেনা হয়নি। তারপরে দিন যত যায় ততই এর আপডেট মডেল বাজারে আসতে থাকে। বাজারে সবচেয়ে লেটেস্ট মডেলের বাইক বাজাজ পালসার ১৫০ টুইন ডিস্ক বাইকটি আমি এখন ব্যবহার করছি। এই বাইকটি আমি কিনেছি কারণ এটা পালসারের সবচেয়ে আপডেট মডেল এবং স্টাইলিশ একটা বাইক। আর একজন পালসার প্রেমি হিসেবে আমি কখনই চাইবো না পালসার ছাড়া অন্য বাইক কিনতে। অন্যদিকে আগের পালসারের থেকে এই বাইকটিতে রয়েছে ডাবল ডিস্ক ব্রেক, চাকা মোটা সব মিলিয়ে এক কথায় বলা যায় যে বাইকটিতে রয়েছে সব আধুনিক ফিচারের ছোঁয়া। আমি এই বাইকটি প্রায় ১ বছর যাবত ব্যবহার করছি এবং এই ১ বছরে আমি রাইড করেছি মোট ১০,০০০ কিলোমিটার। আমার এই ১০,০০০ কিমি রাইডিং অভিজ্ঞতায় বাইকটি আমাকে কেমন সাপোর্ট দিয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

ভালো দিকের মধ্যে
বাইকটি পূর্বের পালসারের মত করে তৈরি করা হলেও এর ডাইমেনশনে বেশ পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় এবং এই ডাইমেনশন আগের থেকে পরিবর্তন করার ফলে বাইকটি রাইড করে আরও ভালো লাগে। ডিজাইনের দিকেও কিছুটা আপডেট করা হয়েছে।
বাইকটির ইঞ্জিন অনেক স্মুথ আর রিফাইন করা হয়েছে আগের থেকে। বাইকটির ইঞ্জিন থেকে আমি খুব কম ভাইব্রেশন অনুভব করি।
ডাবল ডিস্ক ব্রেকিং থাকার ফলে ব্রেকিং এর ক্ষেত্রে বাইকটি অনেক শক্তিশালী হয়েছে এবং যতই স্পীড হোক এখন আর বাইকটি থামাতে ভয় হবে না।
টায়ারের সাইজ আগের থেকে মোটা করা হয়েছে এবং মোটা চাকা ও ডাবল ডিস্ক ব্রেকিং থাকার ফলে কন্ট্রোল ব্যালান্স অনেক ভালো হয়।
সিটিং পজিশন আমার কাছে অনেক আরামদায়ক মনে হয়েছে

মাইলেজ শহরের মধ্যে পাচ্ছি ৩৫থেকে ৩৮ কিমি এবং হাইওয়েতে পাচ্ছি ৪০ থেকে ৪২ কিমি প্রতি লিটার। ১৫০ সিসির এই বাইক থেকে এই মাইলেজ পেয়ে আমি সন্তুষ্ট।

এইবার আসি এই বাইকের মন্দ একটি বিষয় নিয়ে। আমার কাছে ইঞ্জিন অনেক স্মুথ মনে হলেও ইঞ্জিন খুব দ্রুত গরম হয়ে যাচ্ছে এবং পারফরমেন্স একটু কম মনে হচ্ছে গরম হওয়ার সময়। ইঞ্জিন সামান্য রাইড করলেই গরম হয়ে যায়। তাছাড়া আর কোন সমস্যা আমি লক্ষ্য করিনি।

এই ১০,০০০ কিমি তে বাইকটির সার্ভিস করতে আমার খুব বেশি খরচ হয়নি। সারা বাংলাদেশের বাজারের যে ডিলার পয়েন্ট রয়েছে তা থেকে ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যায়। মোট কথায় বাজাজ পালসার ১৫০ টুইন ডিস্ক ব্যবহার করে আমি সন্তোষ প্রকাশ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে।