হিরো ইগনিটর মোটরসাইকেল রিভিউ - গোলাম মোক্তারী

আমি ১ মাস আগে সাধারণ যাতায়াতের জন্য যে বাইকটি কিনেছি তার নাম হচ্ছে হিরো ইগনিটর ১২৫ সিসি। এযাবৎ বাইকটি ব্যবহার করে আমি প্রায় ৭০০ কিমি পথ চালিয়েছি কোন প্রকারের সমস্যা ছাড়াই। এই মোটরসাইকেলটির দামটা আমার সাধ্যের মধ্যেই ছিল। তাই আমি শোরুমে গিয়ে মোটরসাইকেলটির শুধু ডিজাইন ও কালার দেখে পছন্দ করে কিনেছি। এর বডির প্লাস্টিক গুলো বেশ মজবুত মনে হয়েছে এবং এর সিটিং পজিশন মোটামুটি বড়। দুই জন খুব আরামের সাথেই বসা যায়। সিটিং পজিশনের সাথে এর হ্যান্ডেলবারের কম্বিনেশন খুবই ভাল। মোটরসাইকেলটি ওজনের দিক থেকে একদম পারফেক্ট রয়েছে। তাই বেশি গতিতে চালালেও এর বডি ভাইব্রেশন করে না। এই মোটরসাইকেল নিয়ে আমি দীর্ঘ যাতায়াত তেমন করিনি। তবে ১ দিন সর্বোচ্চ ৫০ কিমি চালিয়েছি। এমন দীর্ঘ যাতায়াতে কোন সমস্যা পাইনি। মোটরসাইকেলটি রাতে চালিয়ে দেখেছি এর হেড লাইটে পর্যাপ্ত আলো হয় এবং এর হ্যান্ডেলবারে যুক্ত সুইচ গুলো ব্যবহার করতে আমার কোন ঝামেলা হয় না। এছাড়া এই বাইকটির তেল খরচও মোটামুটি কম। আমি এখন পর্যন্ত আমার এই বাইকে সেল্ফ স্টার্ট সমস্যা পাইনি। এর ব্যাটারি কোয়ালিটি বেশ মজবুত।

ভাল দিকঃ-
- তেল খরচ মোটামুটি কম।
- গ্রাফিক্স ডিজাইন গুলো দেখতে সুন্দর।
- সিটিং পজিশনের সাথে হ্যান্ডেলবারের কম্বিনেশন খুব ভাল।
- এর সিটিং পজিশন বড় এবং সিটে বসে বেশ আরাম রয়েছে।
- ব্রেকিং সিস্টেম উন্নত।
- ইঞ্জিনটি অনেক শক্তিশালী এবং এর পারফর্মেন্স ভাল পাচ্ছি।
- দামটা আমার সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে।

আমার মোটরসাইকেলটি চালিয়ে এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা বুঝতে পারিনি। আমি এই মোটরসাইকেলটি চালিয়ে খুব ভাল পারফর্মেন্স পাচ্ছি। এই অল্প পরিসরে আমি বাইকটি থেকে কোন মন্দ দিক খুঁজে পাইনি।

মোটরসাইকেলটি পছন্দের কারণ?
এই মোটরসাইকেলটি পছন্দের মূল কারণ হচ্ছে, এর গ্রাফিক্যাল ডিজাইন গুলো দেখতে সুন্দর। এছাড়া এই মোটরসাইকেলটির দামটা আমার সাধ্যের মধ্যে ছিল।
মাইলেজ সিটিঃ ৪৫ কিমি।
মাইলেজ হাইওয়েঃ ৫৫ কিমি।
এবার আমার বাইকের কন্ট্রোল বিষয়ে যা বলবো, এই বাইকটির ব্রেকিং সিস্টেমটা খুব উন্নত মানের। এর সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক এবং পিছনের চাকায় ড্রাম ব্রেক রয়েছে। বাইকটির চাকার গ্রিপ গুলো দেখতে সুন্দর এবং চাকা দুটো মোটা। তাই কড়া ব্রেক করলেও তেমন স্লিপ করে না। ডিস্ক ভার্শনের ব্রেকের সাহায্যে আমি খুব ভাল কন্ট্রোল করতে পারি। এই মোটরসাইকেলটির ইঞ্জিন পারফর্মেন্স চমৎকার। এর ইঞ্জিনের শব্দটি শুনতে ভালো লাগে। এখন পর্যন্ত এর ইঞ্জিনে কোন প্রকারের সমস্যা দেয়নি। তবে আগামীতে যদি কোন সমস্যা পাই, তাহলে আমার পরবর্তী রিভিউ এ তা প্রকাশ করব। পরিশেষে বলবো, হিরো ইগনিটর ১২৫ সিসির এই মোটরসাইকেলটি আপনারাও ব্যবহার করে দেখতে পারেন। কেননা এর পারফর্মেন্স অসাধারণ।

All HERO bike price in bd

Hero Ignitor