বাজাজ সিটি১০০ ইএস ২০০০কিমি ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা শেখ মুক্তা

বাড়ীর প্রয়োজনে একটা মোটরসাইকেল দরকার ছিল আর এই দরকারের অন্যতম কারন হলো আমি এবং আমার পরিবার হলো মফস্বল এলাকার বাসিন্দা তাই আমাদের সব সময়ই উপজেলা বা শহরে যাওয়া আসা করা লাগে সাথে কৃষি পন্য আনা নেওয়ার দরকারও হয়। এই সকল বিষয় মাথায় রেখে বাজাজের কমিউটার সেগমেন্টের সিটি১০০ ইএস বাইকটা বাড়ির সবাই মিলে একমত হয়ে কিনে ফেলি আজ থেকে প্রায় ৭ মাস আগে আর এই সময়ের মধ্যে মাত্র ২২০০ কিলোমিটারের মত চালানো হয়েছে। আসলে গুরুতর কোন প্রয়োজন ছাড়া মোটরসাইকেল্টা সেভাবে চালানো হয় না আর আমি ঢাকায় থাকার কারনে বাসায় মোটরসাইকেলটা ব্যবহার করবে সেরকম কেউ নাই বললেই চলে, আমার আব্বা চালান তবে খুব সামান্যই।

গেল এই ৭ মাসে আমার মোটরসাইকেলটা বেশ ভালই পারফরমেন্স দিয়েছে ঠিক যেমনটা বাজাজের মোটরসাইকেল হিসেবে দেওয়ার কথা। শুধুমাত্র দুয়েকটি বিষয় আমার কাছে একটু অন্যরকম মনে হয়েছেঃ

-কেনার প্রথম দুই মাসের মধ্যেই আমার মোটরসাইকেলের অটোচার্জের সিস্টেমটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল যেটা আমাকে তাৎক্ষনিক বদলে ফেলতে হয়েছে কারন সেটার কারনে ইঞ্জিনের স্টার্ট যখন তখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।
-গিয়ার শিফটিংটা এখনও স্মুদ হচ্ছে না, গিয়ার চেঞ্জ করতে গেলে দুইবার বা তিনবার চেষ্টা করে তারপর গিয়ার বদলাতে পারছি।
বাইকটা খুব বেশি ব্যবহার না হউয়রা কারনে আমি ঠিক কি পরিমান মাইলেজ সেটাও খেয়াল করতে পারিনি এখনও। তেল শেষ হয়ে গেলে ফুয়েল ট্যাংক পুরোপুর ভর্তি করে নিয়ে আবার চালানো শুরু করি তবে যেভাবে চলছে তাতে মাইলেজ খারাপ পাচ্ছি বলে মনে হচ্ছে না।

একদিন জেলা সদরে যাওয়া আসা সহ ১০০ কিলোমিটারের কিছু বেশি একটানা চালানো হয়েছিল আর সর্বোচ্চ গতির কথা বলতে গেলে ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা একবার গতি উঠিয়েছিলাম এবং সেখানে সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল।

All BAJAJ bike price in bd

Bajaj CT100 ES