বাজাজ প্লাটিনা ১০০ মোটরসাইকেল রিভিউ - আসলাম হোসেন

বাজাজের প্রতি আমার আলাদা টান ছিল। তাই আমি বাজাজ প্লাটিনা ১০০ সিসির বাইকটি কিনেছি। এটি আমি ৫ মাস যাবত ব্যবহার করছি এবং ২৫০০ কিমি পথ চালিয়েছি কোন দূর্ঘটনা ছাড়াই। এই বাইকটিতে নতুন কিছু ফিচারস যুক্ত হয়ে ১ম বাজারে আসায় আমার পছন্দ হয়। আগের ভার্শনের বাইকের সাথে তুলনা করলে দেখা যায়, নতুন এই বাইকের হেড লাইট, সেল্ফ, ডিজাইন, চাকা ইত্যাদির সাথে বেশ পার্থক্য রয়েছে। এর গ্রাফিক্স ডিজাইন গুলো সুন্দর এবং এর হেড লাইটে অনেক বেশি আলো হয়। সুইচ গুলো ঝামেলা বিহীন ব্যবহার করা যায়। বাইকটির সিটিং পজিশন অনেক বড়। পরিবার নিয়ে খুব আরামের সাথে যাতায়াত করা যায়। এর সাসপেনশন গুলো আমাকে আরামদায়ক যাতায়াত নিশ্চিত করে। আমি এখন পর্যন্ত এর সেল্ফে কোন সমস্যা পাইনি। আমি ১ দিনে সর্বোচ্চ ৭০ কিমি চালিয়েছি। তবে এই বাইকটি ৬৫ গতির উপরে তুললে ভাইব্রেশন করে। ওজনের দিক থেকে তুলনামূলক ভাবে কম হওয়াতে এই সমস্যাটি হয়। আমি এই বাইকটি থেকে অনেক ভাল মাইলেজ পাচ্ছি।

ভাল দিকঃ ১/ তেল খরচ কম। ২/ ডিজাইন গুলো সুন্দর। ৩/ সাসপেনশন ভাল। ৪/ সেল্ফ আছে। ৫/ ইঞ্জিন পারফরমেন্স ভাল। ৬/ সিট বড় হওয়ায় পরিবার নিয়ে সহজেই যাতায়াত করা যায়। ৭/ কন্ট্রোল ভাল।
মন্দ দিকঃ ১/ দাম বেশি। ২/ ওজন কম। ৩/ বেশি স্পীডে বাইকটি কাপে।

মোটরসাইকেলটি পছন্দের কারণ?
এই মোটরসাইকেলটি পছন্দের কারণ হল এটি থেকে ভাল মাইলেজ পাওয়া যায়। আমি ভাল মাইলেজ সমৃদ্ধ এমন একটি বাইকই খুজছিলাম। ৫ মাস বাইকটি চালিয়ে আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।

মাইলেজ সিটিঃ ৫৫ কিমি।
মাইলেজ হাইওয়েঃ ৬৫ কিমি।

এই বাইকটির কন্ট্রোল মোটামুটি ভাল। এর সামনের এবং পিছনের চাকায় ড্রাম ব্রেক রয়েছে। এগুলো ভাল কাজ করে। বাইকটির ভাল ইঞ্জিন পারফরমেন্স পেতে শোরুমের নির্দেশনা মোতাবেক আমি নিয়মিত সার্ভিসিং করাই। এতে করে আমার বাইকে কোন সমস্যা দেয় না। হাই স্পীডে চালিয়ে দেখেছি এর ইঞ্জিনের শব্দটা অনেক সুন্দর। এটি তেমন ওভার হীট হয় না। তবে সকল পারফরমেন্স বিবেচনা করে এই বাইকটির দাম আমার কাছে বেশি বলে মনে হয়েছে। পরিশেষে সবার উদ্দেশ্যে বলবো, যারা প্রতিদিন যাতায়াত করেন, তাদের যাতায়াত খরচ কমাতে বাজাজ প্লাটিনা ১০০ সিসির বাইকটি কিনতে পারেন। আশা করি বাইকটি আমার মত আপনাদেরকেও ভাল অনুভূতি এনে দিবে। সবাইকে ধন্যবাদ।

All BAJAJ bike price in bd

Bajaj Platina 100 KS