Home Bike Price E-Bike Compare Offer

টিভিএস স্ট্রাইকার ২১০০০কিমি রাইডিং অভিজ্ঞতা - আব্দুর রহমান

English Version

2020-04-19
Owned for 1year+ [] Ridden for 10000km+

This user provides ratings about this bike

8 out of 10

Design

Comfort & Control

Fuel Efficient

Service Experience

Value for money

টিভিএস স্ট্রাইকার ২১০০০কিমি রাইডিং অভিজ্ঞতা - আব্দুর রহমান

TVS-Stryker-21000km-riding-experiences-by-Abdur-Rahman

সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আমি আবদুর রহমান। পেশায় আমি একজন সার্ভিস হোল্ডার। আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন সহ বিভিন্ন কাজে বাইক আমাকে খুব সাহায্য করে থাকে। আমি বাইক নিয়ে আমার অফিসের কাজ সহ অন্যান্য ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক কাজ খুব ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারি। বাইক আমার কাছে খুব ভালো একটি বাহন বলে মনে হয়। যখন ইচ্ছা করেছিলাম যে নিজে একটা বাইক কিনবো তখন থেকেই আমি খুঁজতে থাকি পছন্দের বাইক যেটা আমাকে মাইলেজ এবং পারফরমেন্সের দিক দিয়ে সাহায্য করবে। সব কিছু বিবেচনা করে আমার পছন্দ হল টিভিএস স্ট্রাইকার ১২৫ সিসির এই বাইকটি। টিভিএস স্ট্রাইকার ১২৫ সিসির এই বাইকটির ডিজাইন থেকে শুরু করে যাবতীয় বিষয় আমার খুব ভালো লেগেছে এবং অপরদিকে আমি শুনেছি যে বাইকের মাইলেজ অনেক ভালো। সব মিলিয়ে আমি এইটা পছন্দ করে কিনে ফেলি এবং কেনার পর এখন পর্যন্ত রাইড করেছি প্রায় ২১ হাজার কিলোমিটার। আমার এই ২১ হাজার কিলোমিটার ব্যবহার অভিজ্ঞতা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো মোটরসাইকেল ভ্যালীর মাধ্যমে। আশা করি আপনাদের এই রিভিউ অনেক সহায়ক হবে।

আমি এই বাইকটা যে আশা করে কিনেছিলাম সেগুলো থেকে খুব ভালো পারফরমেন্স পাচ্ছি যেমন ভালো দিকের মধ্যে রয়েছে।
বাইকের মেইনটেনেন্স খরচ অনেক কম। আমি এতদিন যাবত ব্যবহার করছি আমার কাছে এই বাইকের মেইন্টেনেন্স খরচ অনেক কম গেছে।
মাইলেজ অনেক ভালো পেয়েছি এবং এখনও পাচ্ছি। ১২৫ সিসির এই ইঞ্জিন থেকে এখন মাইলেজ পাচ্ছি লিটারে ৫০ থেকে ৫৫ কিমি। যা আমার কাছে সন্তোষজনক মাইলেজ মনে হয়েছে।

ইঞ্জিন পারফরমেন্স অনেক ভালো। আমি এই বাইকের ইঞ্জিন থেকে একটানা অনেকক্ষণ রাইড করে খুব ভালো পারফরমেন্স পেয়েছি এবং আমি লং রাইডে যা যে কোন রাইডে ইঞ্জিন থেকে খুব ভালো সাপোর্ট পাই।
এতক্ষন বলছিলাম এই বাইকের ভালো দিক । এইবার এই বাইকের কিছু মন্দ দিক তুলে ধরবো যা আমার কাছে মনে হয় কোম্পানী আরেকটু উন্নত করতে পারত এদিক থেকে।

বাইকের ওজন ডিস্ট্রিবিউশন আমার কাছে ঠিক মনে হয় নি। আমি যখন বেশি স্পীডে বাইকটা রাইড করি তখন আমার কাছে মনে হয় বাইকটা বাতাসে ভাসছে এবং ব্রেক করলে চাকা স্কীড করে।

চেইনটা খুব দ্রুত লুজ হয়ে যায়। আমি মনে করি এই বাইকের সাথে আরেকটু উন্নতমানের চেইন ব্যবহার করা দরকার ছিলো।
বাইকের স্পীড ৮০ কিমি প্রতি ঘন্টায় উঠলে খুব ভাইব্রেশন করে এবং ব্যালেন্স ঠিক থাকে না আমার কাছে।

উপরে উল্লেখিত মন্দ দিকগুলো আমারা কাছে রাইড করে মনে হয়েছে। এগুলো আপনাদের সাথে মনে নাও হতে পারে তবে একজন সাধারণ বাইক হিসেবে আপনাদের কাছে বলতে পারি যে আপনারা যদি কেউ এই বাইকটি কিনতে চান বা কেনার জন্য ভাবছেন তাহলে অবশ্যই এই বাইকটা কিনতে পারেন। এই ছিলো আমার বাইক টিভিএস স্ট্রাইকার ১২৫ নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই অভিজ্ঞতাগুলো অনেক সহায়ক হবে। ধন্যবাদ।