This user provides ratings about this bike

6 out of 10
Design
Comfort & Control
Fuel Efficient
Service Experience
Value for moneyBajaj Pulsar AS 150 user review by Akash

আমি মোঃ মোরশেদ আকাশ বরেন্দ্র কলেজের একজন ছাত্র। প্রত্যেক তরুণদের শখ থাকে বাইক রাইডিং করার, ঠিক তেমনিভাবে আমারও শখ বাইক রাইডিং করা। আমি মাঝে মাঝে বাবার সাথে বাবার বাইক নিয়ে স্কুল সহ বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় যাতায়াত করতাম কিন্তু ভয় করে বাইক চালানোর কথা বলিনি। আমি যখন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিলাম তখন বাবা আমাকে বাইক চালানো শিখিয়েছিলেন। আমি প্রথম রাইড করা বাইক হল ইয়ামাহা ডিলাক্স। তারপরে আমি বিভিন্ন বাইক চালিয়েছি এবং বাজাজ পালসার AS150 চালিয়ে আমার খুব ভালো লেগে যায় এবং বাইকটা কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। আমি কখনই বাবা মায়ের কথায় অবাধ্য হইনি তাই তাদেরকে নরম মনে বললাম বাইক কেনার কথা এবং আল্লাহ্র অশেষ রহমতে তারা আমার সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে যান। এখন আমি এই বাইকটা ব্যবহার করছি এবং আমি আমার বাইক নিয়ে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছি। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার ১০ হাজার কিমি রাইডিং অভিজ্ঞতা তুলে ধরব। কেনার কারনঃ
সত্যি কথা বলতে আমি এই বাইকের স্পীডে এবং আউটলুকে অনেক মুগ্ধ। আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে যে বাজাজ পালসার এ এস ১৫০ সিসির এই বাইকটি অন্যান্য ১৫০ সিসি বাইকের তুলনায় টপ স্পীড এবং এক্সেলেরেশন অনেক ভাল।
আমার এই ১০ হাজার কিমি রাইডিং অভিজ্ঞতার মধ্যে কিছু ভালো মন্দ দিক রয়েছে যেগুলো আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
ভালো দিকঃ
যেহেতু আমি প্রথমেই বলেছি যে এই বাইকটার স্পীড অনেক চমৎকার। যদিও এইটা রাইডার, রোড কন্ডিশন এবং অন্যান্য পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। সমস্ত কিছু বিবেচনা করে আমার বাইকের সাথে ১৩৯ কিমি টপ স্পীডের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য ফিচার হল এর হেডল্যাম্পটি,বাইকটির প্রজেকশন হেডল্যাম্প আমাকে অনেক স্বচ্ছ আলো দেয় এবং আমি অন্ধকার রাস্তায় কোন আলোর ঘাটতি পায়নি। পিলিয়ন নিয়ে কোন সমস্যা হয়না যথেষ্ট ভালো সিটিং পজিশন রয়েছে।
খারাপ দিকগুলো হলঃ
বাইকটির বড় সমস্যা যেটা আমার কাছে মনে হেয়েছে সেটা হল টারনিং রেডিয়াস রেশিও। অল্প স্পীডে হ্যান্ডেলটা খুব একটা ফ্লেক্সিবল মনে হয় না।
সিটিং হাইট টা খুব সব রাইডারদের জন্য খুব একটা আরামদায়ক না, এর হাইটটা আরেকটু কম হলে ভালো হত।
খারাপ রাস্তায় চলাচলের জন্য এর সাসপেনশনটা খুব একটা স্মুথ না।
একটি স্পোর্টস বাইক হিসেবে ব্রেকিং এ অনেক ঘাটতি রয়েছে যেটা হাই স্পীডে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
দূরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা
আমি আমার বাইক নিয়ে যমুনা রেসট এ গিয়েছি যেটা রাজশাহী থেকে প্রায় ১৮০ কিমি দুরুত্বে এবং এই লম্বায় রাইডিং করার পর আমি কোন প্রকারের কোন ব্যাক পেইন অনুভব করিনি।
আমার বাইকের ইঞ্জিন
আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে সেটা হলো বাজাজ পালসার এ এস ১৫০ সিসি বাইকটিতে অনেক শক্তিশালী ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে
ইঞ্জিনঃসিংগেল সিলিন্ডার, ৪ স্ট্রোক, SOHC ৪ টি ভাল্ভ, ত্রিপল স্পার্ক
ডিসপ্লেসমেন্টঃ ১৫০ সিসি
ম্যাক্স পাওয়ারঃ ১৬.৮ বিএইচপি@৯৫০০ আরপিএম
ম্যাক্স টর্কঃ ১৩ এনএম@৭০০০ আরপিএম
ব্রেকিং সামনে ডিস্ক এবং পেছনে ড্রাম । তবে মাইলেজটা বিভিন্ন রাস্তার উপর ভিত্তি করে এবং বাইক রাইডিং এর উপর ভিত্তি করে পাওয়া যায় আমি আমার বাইকের মাইলেজ বর্তমানে পাচ্ছি ৪৫ কিমি প্রতি লিটারে। একটি স্পোর্টস বাইক হিসেবে আমি মনে করি যে যথেষ্ট ভালো মাইলেজ রয়েছে।
শেষকথা
সমস্ত কিছু বিবেচনা করে এবং আমার রাইডিং অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে আমি আমার বাইকের রেটিং ১০ এ ৭ দিবো। আমি আমার বাইক নিয়ে বেশ ভালোই আছি ছোট খাটো সমস্যা ছাড়া এখন পর্যন্ত বড় কোন সমস্যা সম্মুখীন হইনি। সবাই সাবধানে রাইড করবেন এবং অবশ্যই হেলমেড পড়ে রাইড করবেন।



