ইঞ্জিন অয়েল কিনার সময় কি কি খেয়াল করবেন?
একটি বাইকের জন্য ইঞ্জিন অয়েল খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই ইঞ্জিন অয়েল কিনার সময় গাফিলতি করে থাকেন এবং এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকে না, বেশিরভাগ মটরসাইকেল ব্যবহারকারী তাদের পরিচিত মেকানিক এর থেকে এ বিষয়ে পরামর্শ নিয়ে থাকেন, মেকানিক যেই ব্র্যান্ড এর কথা বলে থাকেন তারা সেটাই ব্যবহার করেন এবং সেটি মিনারেল না সিন্থেটিক ও কি গ্রেড এর ইঞ্জিন অয়েল তা বিবেচনা না করেই সেটি ব্যবহার করে থাকেন। এতে করে ইঞ্জিনের ক্ষতি ও বাইকের পারফর্মেন্স পূর্ণরূপে পাওয়া যায় না, এছাড়া নতুন বাইকে নির্দিষ্ট গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার না করলে তা ইঞ্জিন ফ্রি করার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে, এছাড়া ভাইব্রেশন বেড়ে যায় ও ইঞ্জিন ওভারহিট হয়ে থাকে, এসব ভুল ব্যবহারকারী করে থাকে স্পষ্ট ধারনা না থাকার কারনে, আজ আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব কি কি বিষয় খেয়াল রাখলে আপনার বাইকের জন্য সঠিক ইঞ্জিন অয়েলটি কিনতে পারবেন।
• আপনি যদি আপনার বাইকের ইঞ্জিন অয়েল গ্রেড না জেনে থাকেন তবে বাইকের ইউজার ম্যানুয়াল বইটি থেকে তা দেখে নিন।
• এছাড়া আপনার বাইকের জন্য কত পরিমান ইঞ্জিন অয়েল প্রয়োজন তা জেনে নিন, ইঞ্জিন অয়েল কম বা বেশি দিলে এতে করে ইঞ্জিনের উপর তার প্রভাব পরে এবং পারফর্মেন্স কমে যায়, ইঞ্জিন অভারহিট হওয়ার সম্ভবনা থাকে, এবং ইঞ্জিন অয়েল কম দিলে ভাইব্রেশন বেড়ে যায়, এজন্য ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন এর সময় সঠিক পরিমান ইঞ্জিন অয়েল দেয়ার পরামর্শ রইল।
• এছাড়া কিছু ব্র্যান্ড তাদের নিজস্ব ইঞ্জিন অয়েল প্রস্তুত করে তাদের মোটরসাইকেলের জন্য, তাদের সার্ভিস সেন্টার থেকে তা কিনে ব্যবহার করতে পারেন, তবে এসকল ইঞ্জিন অয়েল বাইরের দোকান থেকে না কিনা ভালো।
• সবসময় চেস্টা করবেন নিকটস্থ ডিলার পয়েন্ট থেকে বা কোনো স্বনামধন্য বিশ্বস্ত দোকান থেকে ইঞ্জিন অয়েল কিনার, এতে করে আপনি ওরিজিনাল ইঞ্জিন অয়েল পেয়ে থাকবেন।
• আপনার আশেপাশে যদি কোনো ডিলার পয়েন্ট বা বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান না থাকে তবে চেস্টা করবেন ইঞ্জিন অয়েল নিজে নিজে যাচাই করে নেয়ার এতে করে নকল ইঞ্জিন অয়েল বুঝতে সুবিধা হবে।
• প্রথমে ইঞ্জিন অয়েলের বোতল ঠিক মত চেক করে নিবেন এতে কোনোপ্রকার দাগ রয়েছে কিনা, এরপর এর ছিপি ইনটেক অবস্থায় আছে কি না তা দেখে নিবেন, এরপরে সিল ঠিক মত আঠা দিয়ে বন্ধ অবস্থায় আছে কি না তা যাচাই করে নিবেন, এসকল কিছুর পরে অবশ্যই ইঞ্জিন অয়েলের কালার ও তার ঘনত্ব চেক করে নিবেন, যদি মনে হয় এটি নকল বা ডুপ্লিকেট ইঞ্জিন অয়েল তবে তা ব্যবহার করবেন না এটি আপনার বাইকের জন্য অত্যাধিক ক্ষতিকর।
• ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের পর তা ফুটো করে সংরক্ষণ করবেন, বোতল ভালো অবস্থায় প্লাস্টিক আকারে বিক্রয় করলে তা নকল ইঞ্জিন অয়েল তৈরি কারীদের নিকট পৌঁছানোর সম্ভবনা থাকে, আপনার এই পদক্ষেপ নকল ইঞ্জিন অয়েল রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
বাইকের মেইন্টেনেন্স এর ক্ষেত্রে অনেকে গাফিলতি করে থাকে, যার ফলে তাদের বাইক থেকে ভালো পারফর্মেন্স পাওয়া যায় না, ইঞ্জিন অয়েল বাইকের পারফরমেন্সের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই এটি কিনার ক্ষেত্রে উল্লেখিত বিষয় খেয়াল করবেন, এতে করে আপনি কোনো প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হবেন না।