ইঞ্জিন ওয়েল ড্রেন দেয়ার সময় কেন কম ওয়েল পাওয়া যায়?
ইঞ্জিন ওয়েল একটি বাইকের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় ও অতি জরুরী একটি পণ্য, এটি ইঞ্জিনের ভিতরের সকল পার্টসকে লুব্রিকেট করে এবং এবং আমাদের বাইক চালানোকে আরও স্মুথ ও আরামদায়ক করে। তবে ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তনের সময় আমরা যদি কম বা বেশি ইঞ্জিন ওয়েল দিয়ে থাকি তবে এত ইঞ্জিনের পারফর্মেন্স ও ভালো পাওয়া যায় না এবং ভাইব্রেশন ও অভারহিট ইস্যু থাকে এবং এটি ইঞ্জিনের জন্য বিপদজনক ও ক্ষতিকর, এছাড়া অনেক সময় আমরা ইঞ্জিন অয়েল ড্রেন দেয়ার সময় কম ওয়েল পেয়ে থাকি এর জন্য কিছু বিষয় আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন, আজ আমরা আপনাদের সাথে সেই সব বিষয় নিয়ে জানাবো।
• সাধারনত ইঞ্জিন ওয়েল ড্রেন দিলে ৫০-১০০ মিলি ইঞ্জিন ওয়েল কম পাওয়া যায়, এটি স্বাভাবিক বিষয় তবে সমস্যা তখন হয় যদি ২০০ বা তার চেয়েও বেশি ওয়েল কম পাওয়া যায় সেই ক্ষেত্রে এটি ইঞ্জিনের জন্য ক্ষতিকর, এর ফলে ইঞ্জিন থেকে ভালো পারফর্মেন্স পাওয়া যাবে না এবং বাইক চালিয়ে স্মুথনেস পাওয়া যাবে না, এই জন্য সর্বদা সঠিক পরিমানে ইঞ্জিন ওয়েল প্রবেশ করানো প্রয়োজন, এবং ইঞ্জিনের পারফর্মেন্স ও ড্রেন দেয়ার সময় সঠিক পরিমান ইঞ্জিন ওয়েল পাওয়া যাচ্ছে কি না এবিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত।
• আপনার বাইক যদি ৪০০০০-৫০০০০ কিলোমিটার বা তার অধিক চলে থাকে এবং ওয়েল ড্রেন দেয়ার সময় যদি কম ওয়েল পেয়ে থাকেন, তবে দক্ষ টেকনিশিয়ান থেকে বাইক চেক আপ করে নিন আপনার বাইকের ইঞ্জিনে কোনো প্রকার সমস্যা রয়েছে কি না।
• এছাড়া প্রাথমিক ভাবে একটি সমাধান হচ্ছে আপনার বাইকের যেই ইঞ্জিন ওয়েল গ্রেড তার চেয়ে এক গ্রেড বেশি ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করুন, বাইক বেশিদিন ব্যবহারের ফলে পিস্টন ও সিলিন্ডারের মাঝে একটি গ্যাপ তৈরি হয়ে যায়, যার কারনে ইঞ্জিন ওয়েল কমে যায়।
• গ্রেড পরিবর্তন করে এক গ্রেড বেশি ব্যবহার করলে এই সমস্যা কিছুটা সমাধান হয়ে থাকে। এর পরেও যদি সমস্যার সমাধান না হয়ে থাকে তবে ইঞ্জিন রিবিল্ড এর প্রয়োজন আছে এছাড়া ইঞ্জিনে গুরুতর সমস্যা হতে পারে, ইঞ্জিন সিজ হয়ে দুর্ঘটনা হতে পারে তাই এটি পরিবর্তন করে নেয়া ভালো।
• আপনার বাইকের ইঞ্জিনে যদি কোনো সমস্যা না থেকে থাকে তবে হতে পারে এটি এই ওয়েলের ইস্যু, আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা কিছু মডেলের ইঞ্জিন ওয়েল পেয়েছি যা কমে যাওয়ার ইস্যু থাকে, এক্ষেত্রে ওই ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার না করাই ভালো তার পরিবর্তে কোনো ভালো সুপরিচিত ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করাই আপনার জন্য অধিক উপযোগী।
• আপনার বাইকের কোনো সমস্যা আছে কি না এটি জানার একটি সহজ উপায় হচ্ছে ইঞ্জিন সাইলেন্সারের ছিদ্রতে কিছু দিয়ে মুছে নেয়া এর পরে দেখতে হবে সেখানে তেল জাতীয় বা ভেজা কিছু আছে কি না, যদি এমন হয়ে থাকে তবে আপনার বাইকের ইঞ্জিনে সমস্যা থাকতে পারে, এছাড়া যদি শুকনা বা পাউডার জাতীয় কিছু পেয়ে থাকেন তবে এতে কোনো প্রকার সমস্যা নেই, এটি হতে পারে আপনার ব্যবহৃত ওয়েলের ইস্যু, বাজারের সুপরিচিত অন্যান্য ব্র্যান্ডের ওয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
• একটানা অনেকক্ষণ বাইক রাইড করলে বা উচ্চ আরপিএম এ বাইক রাইড করলে ইঞ্জিন ওয়েল কমে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে, তাই নির্দিষ্ট কিলোমিটার পরে বাইক বিরতি দেয়া প্রয়োজন এবং একটানা অনেকক্ষণ উচ্চ আরপিএম এ বাইক চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
উপরে আমরা এই সমস্যার সকল সমাধান উল্লেখ করেছি, আশা করি আপনারা এতে করে উপকৃত হবেন, এসকল কিছু মেনে চললে এধরনের সমস্যার সম্মুখীন হবেন না ও আপনার বাইক থেকে ভালো পারফর্মেন্স পাবেন ও বাইক দীর্ঘস্থায়ী হবে।