ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ কি এবং কিভাবে করবেন?
ইঞ্জিন এর ভেতরের পার্টস পরিস্কার এর জন্য অয়েল সময়মত ড্রেন দেয়া প্রয়োজন, কিন্তু বিভিন্ন কারনে আমরা বাইকের মেইন্টেনেন্স ঠিকমত করি না, ভালো মানের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার না করা সহ অন্যান্য বিষয় এবং একটি বাইক দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে এর ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ এর প্রয়োজন পরে, অনেকেই ইঞ্জিন ফ্লাশের সঠিক নিয়ম জানেন না, আপনাদের উদ্দেশে আমরা আজ ইঞ্জিন ফ্লাশের সঠিক নিয়ম এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো।
বর্তমানে বাজারে ইঞ্জিন ফ্লাশের জন্য বিভিন্ন পন্য পাওয়া যায়, আমরা পরামর্শ দিবো যেকোনো ভালো মানের পণ্য ব্যবহারের জন্য, যেটি আপনার বাইকের সাথে মানানসই, ফ্লাশের জন্য আপনাকে আপনার পুরনো অয়েলের সাথে additives পরিমান মতো ব্যবহার করতে হবে, এরপরে আপনার বাইক স্টার্ট করে ১০-১৫ মিনিটের জন্য ছেড়ে দিতে হবে।
এইসময় বাইকের পিক-আপ দিবেন না, এরপর সময় শেষে অয়েল ড্রেন দিন, শেষ ফোটা পর্যন্ত ড্রেন দিতে হবে, ড্রেন দেয়া শেষে নতুন ইঞ্জিন অয়েল দিয়ে নিন।
তবে আমাদের মধ্যে একটি মিথ্যা প্রচলন আছে যা হলো ডিজেল দিয়ে ইঞ্জিন ফ্লাস করা, বেশ কিছু লোকান মেকানিক এই পরামর্শ দিয়ে থাকে ন, তবে ইঞ্জিনের একটি নির্দিষ্ট গ্রেড আছে, এবং নির্দিষ্ট কোনও কিছুর বাইরে ব্যবহার করা ঠিক না, যেহেতু ফ্ল্যাশ একটি লং প্রসেস তাই এতে ডিজেল বা অন্যান্য কিছু ব্যবহার না করার পরামর্শ থাকবে।
লোকাল ইঞ্জিন অয়েল এবং খোলা ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের ফলে ইঞ্জিনে ময়াল জমে, মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করা এবং ঠিকমতো ড্রেন না দেয়ার ফলে ইঞ্জিনে ময়লা জমে এবং পারফর্মেন্স কমিয়ে দেয়।
ভালো মানের যেকোনো মিনারেল, সেমি-সিন্থেটিক, সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করলে এ ধরনের সমস্যা সহজে হবে না, কারন তাদের মধ্যে বেশ কিছু পদার্থ থাকে যা ইঞ্জিনের ভিতরে পরিস্কার থাকে।
পরিশেষে ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ সব বাইকের জন্য প্রয়োজন না, বাইক যদি বেশি পুরনো হয়ে থাকে এবং মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে যদি ইঞ্জিনের পারফর্মেন্স কিছুটা কমে গেছে বলে মনে করেন সেই ক্ষেত্রে আপনি ইঞ্জিন ফ্যাশ করতে পারেন।
এই বিষয়ে বেশ কিছু টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো।