ইয়ামাহা স্যালুটো স্পেশাল এডিশন মোটরসাইকেল রিভউ - আবিদুর রহমান

প্রধানত আমি আমার জবের কারনেই ইয়ামাহ স্যালুটো বাইকটা কিনেছি। বলা বাহুল্য যে আমি ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরী করি এবং আমাকে অধিকাংশ সময় চাকরীর প্রয়োজনে ছুটাছুটি করা লাগে তাই এমন একটা বাআইক খুজছিলাম যা আমাকে দীর্ঘ সময় রাইড করার পথে বেশ ভাল সাপোর্ট দিবে সাথে গতানুগতিক বাইকের থেকে দেখতে এবং পারফরমেন্সের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হবে। আমি ১২৫সিসি সেগমেন্টের প্রায় সকল বাইক দেখার পরে ইয়ামাহার সালুটো বাইকটাকে পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রাখি কারন ইয়ামাহার বাইক হিসেবে এর গুনগত মান নিয়ে কোন রকম সন্দেহ আমার মনে ছিল না আবার অন্যান্য বহুল ব্যবহৃত এই সেগমেন্টের বাইকের থেকে ইয়ামাহার এই বাইকটা অনেকটাই আলাদা। আমি প্রায় ১ মাস আগে এই বাইকটা কিনি এবং এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার বা তার কিছু বেশি চালিয়েছি। এই ১ মাসে দেখা আমার দেখা আমার বাইকের সবচেয়ে আকর্ষনীয় কিছু দিক হলোঃ

-প্রথমত এর ডিজাইন যা আমাকে শুধু না প্রায় প্রতিটা বাইকারকেই এর প্রতি আকৃষ্ট করে বিশেষত যারা এই সেগমেন্টের বাইক ব্যবহার করেন তারা সবাআই এর প্রসশংসা করেন
-অনেক আরামদায়ক একটি বাইক এবং আমি মনে করি ইয়ামাহার প্রতিটা বাইকই আরামের জন্যে ব্যাপক প্রশংসিত। এখন পর্যন্ত আমি আমার বাইকটা একটানা ১২০ কিলোমিটার রাইড করেছি যেখানে আরাম নিয়ে কোন সমস্যা আমি টের পায় নি
-১২৫সিসির একটা বাইক হিসেবে এই বাইকটাতে অসাধারন গতি রয়েছে যা এই সেগমেন্টের অন্যান্য একোন বাইকের থেকে অনেক ভাল কাআরন আমি এই ১৬০০ কিলোমিটারের মধ্যে একদিন সর্বোচ্চ গতি উঠিয়েছি ১০২ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা কোনরকম সমস্যা ছাড়াই
-ইঞ্জিন পারফরমেন্স এককথায় অসাধারণ, কোনরকম ওভারহিটিং সমস্যা আমি এখন টের পায় নি
-সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক আমাকে সবসময় সঠিক নিয়ন্ত্রনের নিশ্চয়তা যোগায়। পেছনের চাকার ড্রাম ব্রেকের সাথে এর সমন্বয়টা অসাধারণ

অন্যদিকে খারাপ দিক নিয়ে বলতে গেলে আমি বলে রাখতে চায় যে আমি এখনও আমাত বাইকের সরাসরি খারাপ বলার মত কোনদিক খুজে পায় নি তবে আমার মনে হয় এই বাইকের কয়েকটি দিক আছে যা কোম্পানী চাইলে আরও ভাল করতে পারে। আমি ক্রমান্বয়ে এবং চাহিদামাফিক সেগুলা উল্লেখ করছিঃ
-প্রথমত আধুনিক বাইক হিসেবে ডিজিটাল মিটার আশা করাটা কোনভাবেই খারাপ কিছু না বরং সময়ের প্রয়োজন এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধির তাগিদে কোম্পানীর অনেক আগে থেকেই ডিজিটাল মিটার দেওয়া উচিত ছিল।
-পেছনের চাকায় মোটা টায়ার দিলে এর কন্ট্রোল আরও অনেক ভাল হতে পারতো
-সিটিং পজিশনের উচ্চতা আমার কাছে কিছুটা বেশি মনে হয়েছে
-একইসাথে হেডলাইটটা এক্সেসেলেরশনের সাথে এডজাস্ট করা যা মোড়ে বা কোথাও বাইক টার্ন করালে পিক আপ ছেড়ে দিতে হয় যার কারনে আলো কমে যায় এবং সামনে দেখতেও ব্যাপক সমস্যা হয় তাই আমি জোর দাবী জানাচ্ছি যে হেডলাইটটা যেন স্বয়ংক্রিয় করে দেওয়া হয় হয়

যদি প্রশ্ন করা হয় যে ১২৫সিসির আরও অনেক স্বনামধন্য বাইক থাকার পরেও কেন আমি স্যালুটো কিনলাম? এই ব্যাপারে উত্তর দিতে গেলে আমি সবার আগে ইয়ামাহার ব্রান্ড ভ্যালুর কথা উল্লেখ করবো আর এসই ভার্সন হউয়ার কারনে এর অসাধারন লুক যা যে কাউকে ইম্প্রেস করার জন্যে যথেস্ট বলে আমার মনে হয়।

অন্যদিকে মাইলেজ নিয়ে বিস্তারিত বলতে গেলে আমি আমার বাইকের মাইলেজ নিয়ে অনেক খুশি কারন আমার বাইক হল ১২৫সিসির এবং এই সেগমেন্টে অন্য যেকোন বাইকের থেকে আআমি অনেক ভাল মাইলেজ পাচ্ছি। বর্তমানে আমি মাইলেজ পাচ্ছি ৬২ কিলোমিটার প্রতি লিটার শহরে বাইকটা চালানোর সময় এবং হাইওয়েতে চালানোর সময় ৬৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার। শুরুতে আমি যদি এই রেঞ্জে মাইলেজ পাই তবে আমি আশা করতেই পারি যে সামনের দিনগুলাতে আমি আরও ভাল মাইলেজ পাবো।

All YAMAHA bike price in bd

Yamaha Saluto SE