
সময়ের সাথে সাথে আমার কাজের পরিমান বেড়েই চলেছে যার জন্যে আমাকে আমার গ্রাম থেকে উপজেলা সদরে কখনও কখনও শহরে আসার দরকারও হচ্ছে এই ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে না হয় অন্যের মোটরসাইকেল নেওয়া যেতে পারে কারন আমাদের এখানে গনপরিবহন সবসময় বা জরুরী মুহুর্তে পাওয়া যায় না কিন্তু তাই বলে তো আর সবসময় অন্যের মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়া আসা করাটা ভাল দেখায় না। তাই একটা হোন্ডা কেনার ইচ্ছার কথা বলি আমার কাছের কয়েকজনের কাছে তা শুনে তারা আমাকে সরাসরি হোন্ডার শোরুমে নিয়ে যায় আর আমার কাজের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে পারবে মাথায় রেখে হোন্ডা লিভো ডিস্ক মডেলটা কেনার পরামর্শ দেয়।
বাইকের ব্যাপারে আমার তেমন ধারনা না থাকার কারনে আমি তাদের পরামর্শ মেনে নিয়ে হোন্ডা লিভো ডিস্ক মডেলটা কিনে নিই যার বয়স প্রায় ৩৫ দিনের মত আর এই সময়ে আমি বাইকটা চালিয়েছি ১২০০ কিলোমিটারের মত। একে তো আমি নতুন বাইকার তার ওপর আবার গাড়িটাও নতুন তাই এর ভালমন্দ অবস্থা আমার জন্যে বোঝা খুব কঠিন তার পরেও আমার কাছে সবই ভাল লেগেছে।
শুধুমাত্র একটা বিষয় আমার কাছে ব্যতিক্রম মনে হয়েছে সেটা হল এই মোটরসাইকেলের পেছনের চাকা যা এই মোটরসাইকেলটা নিয়ন্ত্রনের জন্যে যথেষ্ট চওড়া বলে মনে হয় নি। তাই আমি মনে করি যে এই মোটরসাইকেলের চাকাটা আরেকটু চওড়া হলে খুব ভাল হতো।
সবার কথা মতই এই মোটরসাইকেলটা কিনেছিলাম ঠিকই কিন্তু হোন্ডা বাংলাদেশের অনেক পুরনো একটি ব্রান্ড আর এই ব্রান্ডের ব্যাপারে আমি অনেক আগে থেকেই জানতাম যার জন্যে আমি আর অন্য কোন ব্রান্ডের মোটরসাইকেলের দিকে সেভাবে মনযোগ দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করিনি। তাছাড়া ব্রান্ড হিসেবে এই বাইকের দামটাও আমার কাছে কম বলেই মনে হয়েছে।
মাইলেজটা এককথায় মা শা আল্লাহ কারন আমি নতুন অবস্থাতেই মাইলেজ পাচ্ছি প্রায় ৭০ কিলোমিটার প্রতি লিটার আর এই ব্যাপারে শোরুম তাদের দেওয়া কথা রেখেছে, তারা আমাকে বলেছিল যে এই বাইকটা কমবেশি ৭০ কিলোমিটার প্রতি লিটার মাইলেজ দিবে।

All HONDA bike price in bd