Yamaha Banner
Search

হোন্ডা ড্রিম ১১০ ফিচার রিভিউ

English Version
2020-12-27

হোন্ডা ড্রিম ১১০ ফিচার রিভিউ

honda-dream-110-feature-review.jpg
আমরা যখন কমিউটারসেগমেন্টের দিকে তাকাই তখন একটি নাম প্রথমে আমাদের মনে আসে, যা হচ্ছে হোন্ডা।বিষয়টা এমন নয় যে হোন্ডার কাছে স্পোর্টস টাইপের প্রিমিয়াম বাইক নেই, সেগুলোর পাশাপাশিও হোন্ডা ভাল মানের কমিউটার বাইকও বাজারে সরবরাহ করে থাকে। স্পোর্টস টাইপ বাইকের মধ্যে হোন্ডা সিবিআর বিশ্বব্যাপী অন্যতম জনপ্রিয় স্পোর্টস বাইক। হোন্ডা সম্প্রতি হোন্ডা প্রেমীদের জন্য একটি নতুন ১১০ সিসি কমিউটার বাইক বাজারে নিয়ে এসেছে, নাম হোন্ডা ড্রিম ১১০। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, এই বাইকটি রেগুলার যাত্রাপথে অংশীদার হওয়ার জন্য দুর্দান্ত এবং প্রয়োজনীয় ফিচারগুলি রয়েছে এই বাইকে। হোন্ডা বাংলাদেশি মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের বেশকিছু অসাধারন কমিউটার দিয়েছে এবং সেই তালিকায় আরেক নাম হন্ডা ড্রিম ১১০। এই বাইকে একটি ক্লাসিক লুক রয়েছে যা ক্লাসিক এবং কমিউটার প্রেমীদের আকর্ষণ করতে পারে। এর পাশাপাশি এই বাইকের আধুনিক ফিচারের দেখাও মিলবে। যখন একটি ভাল বাইকের কথা আসে তখন এর অবশ্যই ভাল ফিচার থাকতে হবে। তাহলে চলুন আমরা হোন্ডার নতুন এই পণ্যটি পর্যালোচনা করি এবং এর ফিচারগুলো সম্পর্কে জানি যা এই বাইকটিকে তার নিজস্ব সেগমেন্টে পারফেক্ট কিনা তা বুঝতে পারি।

1609072124_Design and outlook.jpg
ডিজাইন এবং লুকঃ

যদি আমরা হোন্ডার এই নতুন বাইকটির বেসিক ডিজাইন সম্পর্কে কথা বলতে শুরু করি তবে বলতে হবে হন্ডা ড্রিম ১১০ এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই বাইকের ডিসেন্ট ডিজাইন, যা বেশ আকর্ষনীয়। যদিও এটি একটি কমিউটার সেগমেন্টের বাইক, তবে সামগ্রিক গ্রাফিক্সে কিছুটা স্পোর্টি ভাব রয়েছে। রাইডার এবং পিলিয়ন উভয়ের জন্য সীটের অবস্থানটি আরামদায়ক। ফ্ল্যাট এবং প্রসারিত সিঙ্গেলসীট বিভিন্ন পরিস্থিতিতে রাইডের চলার পথকে আরামদায়ক করে তুলবে। কম্বাইন্ড কালার এবং কালো শেডগুলি এই বাইকের আউটলুককে বেশ সুন্দর এবং আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

1609072262_Dimensions.jpg
ডাইমেনশনঃ

সামগ্রিকভাবে হোন্ডা ড্রিম ১১০খুব একটা বড় বাইক নয়, এটি কমপ্যাক্ট ডাইমেনশন দিয়ে তৈরি। সীটের উচ্চতা দিয়ে শুরু করলে, এই বাইকের স্যাডল হাইট৭৭৫ মিমি, সীটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই বাইকটিতে ১৮০ মিমি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স রয়েছে। হোন্ডা ড্রিমের জন্য ৮ লিটারের নিয়মিত আকারের ফুয়েল ট্যাঙ্কার স্থাপন করা হয়েছে। প্রথমেই বলা হয়েছে এই বাইকে আকারে এত দীর্ঘ নয়, পাশাপাশি খুব ছোটও নয়। হোন্ডা ড্রিম ১১০ এর উচ্চতা, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং ওজন যথাক্রমে ১০৬১ মিমি, ২০২০ মিমি, ৭৩৭ মিমি এবং ১০৭ কেজি। বাইকটি ১২৫ সিসির বাইকের চেয়ে হালকা, তবে ১০০ সিসির বাইকের চেয়ে কিছুটা ভারী। এই বাইকটিতে হুইলবেস রাখা হয়েছে ১২৮৫ মিমি।

1609072358_Engine Transmission.jpg
ইঞ্জিন ট্রান্সমিশনঃ

হোন্ডা কখনই তাদের ইঞ্জিনের গুণাগুণ নিয়ে আপস করে না। হোন্ডা ড্রিম ১১০ এর জন্য হোন্ডা সিঙ্গেল সিলিন্ডার, 4-স্ট্রোক, এয়ার কুলড, BS-IV ১১০ সিসি ইঞ্জিন ব্যবহার করেছে। পাওয়ার আউটপুটের জন্য এই ইঞ্জিনটিতে রয়েছে ৭৫০০rpm
এ ৮.২৪৭ BHP ম্যাক্স পাওয়ার এবং ৫৫০০ rpm এ ৯.০৯ Nm ম্যাক্স টর্ক। কোম্পানি দাবি করেছে যে বাইকটির মাইলেজ প্রায় ৭৪ কিলোমিটার প্রতি লিটার, যা বাংলাদেশের সর্বাধিক মাইলেজ সম্পন্ন বাইকগুলির একটি। অন্যদিকে বাইকেরটপ স্পীড প্রায় ৮৬ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। হোন্ডা ড্রিম ১১০ এর ইঞ্জিনের জন্য রাখা হয়েছে ওয়েট মাল্টি-প্লেট ক্লাচ সিস্টেম এবং 4-স্পিড গিয়ার বক্স ট্রান্সমিশন।

1609072473_Brakes-tires-and Wheels.jpg
ব্রেক, টায়ার এবং হুইলঃ

হোন্ডা ড্রিম ১১০ এর ব্রেকিংয়ের জন্য হোন্ডা উভয় পাশের ড্রাম ব্রেকিং ব্যবহার করেছে, এটি বেশ হতাশাজনক, কারণ একই সেগমেন্টের অন্যান্য ১১০ সিসি বাইকের ডিস্ক বিকল্প রয়েছে। হোন্ডা ড্রিম ১১০ এ রয়েছে এলোয় হুইল, যার উপরে উভয় পাশেই রাখা হয়েছে ৮০/১০০ টায়ারের ব্যবস্থা।

1609072582_Suspensions.jpg
সাসপেনশনঃ

সাসপেনশনগুলির দিকে নজর দিলে এই বাইক কিছুটা এগিয়ে। তার কারন এখানে ব্যাবহারকৃত সাসপেনশন অন্যান্য কমিউটার বাইকে খুব কম দেখা যায়। ফাইফ স্টেপ এডজাস্টেবল টুইন শক রেয়ার সাসপেনশন বাউন্সি রাস্তাগুলিতে পিলিয়নকে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য দিবে এবং সামনের টেলিস্কোপিক ফর্ক সামনের দিক ভাল ব্যালান্স দিতে সক্ষম।

1609072661_Meter cluster and electrical.jpg
মিটার ক্লাস্টার এবং ইলেক্ট্রিকালঃ

এই দিকে থেকে হোন্ডা ড্রিম ১১০ এর জন্য তেমন কোনআপগ্রেড দেখা যায়নি। মিটার প্যানেলটি সম্পূর্ণরূপে অ্যানালগ, যাতে স্পিডো মিটার, ফুয়েল গেজ ইত্যাদির মতো কয়েকটি প্রয়োজনীয় ফিচার রয়েছে এখানে কোনও অতিরিক্ত কিছু দেখা যাইনি।ইলেক্ট্রিকালের ক্ষেত্রে বাইকটিহোন্ডা ড্রিম নিওর মতো একই ফিচার সম্বৃদ্ধ।সব ধরনের লাইট এবং ইলেকট্রিক স্টার্টের জন্য এই বাইকে রয়েছে 12V 3Ah মেইনটেনেন্স ফ্রি ব্যাটারি।

1609072772_verdict.jpg
শেষকথাঃ

হোন্ডা ড্রিম ১১০ এর তিনটি ভিন্ন এবং আকর্ষণীয় কালার রয়েছে। এগুলি হল কালো, লাল এবং নীল। মজার বিষয় হল বাইকের তিনটি ভেরিয়েন্টের গ্রাফিক্সের ব্যাবহার একে অপরের মতো একই। এগুলোর জন্যই বাইকটি কিছুটা স্পোর্টি। সুতরাং, এই বাইকের সমস্ত ফিচার পর্যালোচনা করার পরে বলা যেতে পারে যে এই বাইকটি কমিউটার বাইকের সমস্ত ফিচার সম্পন্ন এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় ফিচার এতে রয়েছে। কিছু কিছি ফিচারের অভাবে এই বাইকটি লোকাল মার্কেটে থাকা অন্যান্য বাইকের সাথে বেশ ভাল প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে পারে, তবে সামগ্রিকভাবে যদি পারফরম্যান্স ঠিক থাকে তবে বাইকটি বেশ ভাল এবং যারা কমিউটার লাভার তাদের বেশ পছন্দ হবে।

Rate This Review

Is this review helpful?

Rate count: 9
Ratings:
Rate 1
Rate 2
Rate 3
Rate 4
Rate 5

More reviews on Honda Dream 110 Red

হোন্ডা ড্রিম ১১০ ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা ২০০০০কিমি মোহাম্মদ ইসলাম
2021-08-07

আমি মোহাম্মদ ইসলাম। বর্তমানে আমি একটি বাইক ব্যবহার করছি যার নাম Honda Dream 110।  এই বাইকটি আমি প্রায় দুই বছর যাবত ব্যবহার...

Bangla English
হোন্ডা ড্রিম ১১০ ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা রফিক
2021-02-17

খুব ছোট বেলা থেকে একটি ব্র্যান্ডের প্রতি আমার ভালোবাসা ও আস্থা জন্ম নিয়েছে এবং সেটি হল হোন্ডা ব্র্যান্ড। জাপানি...

Bangla English
হোন্ডা ড্রিম ১১০ ব্যাবহারিক অভিজ্ঞতা হারুন অর রশিদ
2021-02-13

কর্মজীবনে এসে সবদিক সময়মত সামলানো একটু কঠিন হয়ে যাচ্ছিল কারন একই সাথে সংসার, চাকরি, আত্মীয়স্বজন অন্যান্য প্রয়োজ...

Bangla English
হোন্ডা ড্রিম ১১০ ফিচার রিভিউ
2020-12-27

আমরা যখন কমিউটারসেগমেন্টের দিকে তাকাই তখন একটি নাম প্রথমে আমাদের মনে আসে, যা হচ্ছে হোন্ডা।বিষয়টা এমন নয় যে হোন্...

Bangla English
Filter