ব্যাক্তিগত চলাচলের জন্য মোটরসাইকেলের বিকল্প আর কোন বাহন হতে পারে না কারণ এটা নিয়ে ইচ্ছা করলেই যে কোন স্থানে আরামসে যাতায়াত করা যায়। অন্যদিকে দুই চাকার বাহন হিসেবে এর বিবিধ খরচ অন্যান্য বাহনের থেকে অনেক কম যার ফলে লাইসেন্স, তেল এবং মেইন্টেনেন্স খরচ ব্যতীত বড় এমাউন্টের খরচ আর করতে হয় না। সব কিছু বিচার বিবেচনা করে আমার যাতায়াতের জন্য বাইক কিনব বলে ঠিক করি এবং বাজারে এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বাইকে সয়লাব। আমার হাই সিসি বাইকের দরকার নাই শুধুমাত্র চলাচলের জন্য একটা বাইক হলেই হল তবে টাকা দিয়ে যেহেতু কিনবো তাহলে কম সিসির মধ্যে ভালো বাইকটাই কিনবো। আমি শুনেছি যে বাজাজ ডিস্কোভার ১১০ বাইকটি অনেক ভালো এবং এর মাইলেজ, ডিজাইন, বিল্ড কোয়ালিটি ও অনেক ভালো ও মজবুত। তাই আমি গত ৯ মাস আগে বাইকটা কিনি এবং কেনার পর এখন পর্যন্ত রাইড করি ৫০০০ কিমি। এই ৫০০০ কিমি রাইড করে আমি বাইক থেকে কেমন ফিডব্যাক পাচ্ছি সেগুলো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
ভালো দিকের মধ্যে যা যা অনুভব করেছি
-চালিয়ে অনেক আরামদায়ক মনে হয়েছে। আমি একদিনে প্রায় ১৫০ কিমি রাইড করেছি এই বাইক নিয়ে এবং আমার কাছে যথেষ্ট আরামদায়ক বলে মনে হয়েছে। কোন ব্যাক পেইন বা রাইডিং এর ঝামেলা আমি অনুভব করিনি।
-মাইলেজ নিয়েও আমি বেশ সন্তুষ্ট। আমি শহরের মধ্যে পাচ্ছি ৬০ কিমি এবং হাইওয়েতে পাচ্ছি ৬৫ কিমি। ১১০ সিসির ডিটিএস আই ইঞ্জিন হিসেবে মাইলেজ আমার কাছে ঠিক মনে হয়েছে।
-দেখতে অনেক মার্জিত এবং আমি লক্ষ্য করে দেখেছি যে সব বয়সের রাইডারের সাথে এটি অনেক ভালো মানানসই। গ্রাফিক্সগুল অনেক চমৎকার দেওয়া হয়েছে এবং সামনের হেডল্যাম্পের ডিআরএল এর ফলে দূর থেকে দেখতেও অনেক আকর্ষণীয় মনে হয়।
-ইঞ্জিনের শক্তি ১১০ সিসির বাইক হিসেবে যথেষ্ট ভালো। আমি এই বাইকের টপ স্পীড পেয়েছি ৮৫ কিমি. প্রতি ঘণ্টা। আরও স্পীড তুলার সুযোগ ছিলো কিন্তু আমার নিরাপদে রাইড করাটা অনেক জরুরি তাই আর বেশি স্পীড তুলিনি।
মন্দ দিকের মধ্যে যা যা অনুভব করেছি
-আমি যখন ৬০ থেকে ৭০ কিমি বেগে বাইকটি চালায় তখন আমার কাছে একটু ভাইব্রেশন মনে হয়।
-গিয়ার সিস্টেম আমারটা এখনও স্মুথ হয়েছে কী না জানি না তবে গিয়ার শিফটিং করার সময় অনেক শব্দ হয়।
ভালো মন্দ দুটা মিলিয়েই একটি বাইক। যাদের ডিস্কোভার ১১০ বাইকটি পছন্দ এবং কিনবেন বলে ধরে রেখে তাদের আমি কেনার জন্য পরামর্শ দিবো।