কখন ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করবেন

2021-10-31

কখন ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করবেন


changing period-1635665058.jpg

ইঞ্জিনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি ও দীর্ঘস্থায়ী করতে ইঞ্জিন অয়েল বা লুব্রিকেন্ট এর ভুমিকা অনেক। ইঞ্জিনের প্রতিটি পার্টস এর মাঝে ঘর্ষনের ফলে ক্ষুদ্র কনাগুলো ক্ষয় হয়। সেই ক্ষয় রোধ করতে ও পার্টস গুলো বেশি সচল রাখতে বাইকে ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয়, ইঞ্জিন ঠান্ডা রাখতেও ইঞ্জিন অয়েল এর ভুমিকা অনেক। ইঞ্জিন অয়েল এর মান এর উপর ভিত্তি করে এর ৩ টি ভাগ রয়েছে।

ইঞ্জিন অয়েলের ধরন গুলো হলোঃ-
১। মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল।

২।সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল।

৩। সেমি সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল।

ইঞ্জিনে থাকা পার্টস থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কনা ক্ষয় হয়ে ইঞ্জিন ওয়েলের সাথে মিশে যায়, এছারাও অনেক দিন যাবত ইঞ্জিনের মধ্যে থাকা ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের ফলে এর পুরুত্ব কমে যায়। তখন সেই ইঞ্জিন অ পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে। আসুন আমরা জেনে নেই কোন ইঞ্জিন অয়েল কত দিন পর পর পরিবর্তন করা দরকার।

মিনারেল ইঞ্জিন অয়েলের ক্ষেত্রেঃ
মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল সাধারন অপরিশোধিত ইঞ্জিন অয়েল। এই লুব্রিকেন্ট সরাসরি খনি থেকে তুলে বাজারজাত করা হয়। তাই এর কণা গুলো অসমান হয় ও খুব দ্রুত পাতলা হয়ে পড়ে। যদি আপনি 10W-30 /40 গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যাবহার করে থাকেন তাহলে ৮০০-৯০০ কিমি এর মধ্যে পরিবর্তন করা অবশ্যক। তবে আপনি যদি 20W-50 ব্যাবহার করেন তবে আপনি সর্বোচ্চ ১০০০ কিমি পর্যন্ত রাইড করতে পারবেন।

সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েলঃ
সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল হলো শতভাগ পরিশধিত ইঞ্জিন অয়েল। খনি থেকে তুলে ল্যাব্রটরিতে পরিক্ষা নিরিক্ষার পর এটিকে পরিশধনের করে বাজারজাত করা হয়। সিন্থেটিক অয়েলের ক্ষুদ্র কনা গুলো সমান হয় ও এর পুরুত্ব অনেক বেশি থাকে তাই দীর্ঘস্থায়ী হয় বেশি। এছাড়াও সিনথেটিক ইঞ্জিন অয়েল শতভাগ পরিশধিত হওয়ায় ইঞ্জিনের জন্য অনেক উপকারী। কোম্পানি নিজেরা নিজেদের মতো দাবি করে তবে আমরা জানি যে সিনথেটিক অয়েল নিলে একটানা ৩০০০-৫০০০ কিমি পর্যন্ত রাইড করা সম্ভব তবে এর বেশি নয়।

সেমি সিনথেটিক ইঞ্জিন অয়েলঃ
সেমি সিনথেটিক ইঞ্জিন অয়েল হলো সিনথেটিক ও মিনারেল এর সংমিশ্রনে তৈরী। সেমি সিনথেটিকে ২০ শতাংশ সিনথেটিক ও ৮০ শতাংশ মিনারেল এর ব্যবহার রয়েছে। সিনথেটিক অয়েল এর মিশ্রন থাকায় মিনারেলের তুলনায় সেমিসিনথেটি অয়েল মান ও গুনে মিনারেলের তুলনায় ভালো এবং দীর্ঘস্থায়ী ও হয় বেশি। সেমি সিনথেটিক অয়েল ব্যবহারে আপনি ১৫০০-১৮০০ কিমি পর্যন্ত আপনার বাইক চালাতে পারবেন যা আপনার জন্য উত্তম হবে। আপনি চাইলে ২০০০ কিমি পর্যন্ত যেতে পারেন তবে এর আগেই অয়েল ড্রেন দেওয়া উত্তম হবে।

বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ড এর অনেক ভালো ভালো ইঞ্জিন ব্র্যন্ড রয়েছে। তবে আপনাদের আপনার বাইকের রিকোমান্ডেড ইঞ্জিন অয়েলটি ব্যবহার করার এবং ইঞ্জিনের পারফর্মেন্স বৃদ্ধির জন্য সঠিক সময়ের মধ্যেই ইঞ্জিন অয়েল পরবর্তন করার পরামর্শ থাকলো।
Rate This Tips

Is this tips helpful?

Rate 1
Rate 2
Rate 3
Rate 4
Rate 5

Oil Tips

ইঞ্জিন ফ্ল্যাশ কি এবং কিভাবে করবেন?
2023-07-22

ইঞ্জিন এর ভেতরের পার্টস পরিস্কার এর জন্য অয়েল সময়মত ড্রেন দেয়া প্রয়োজন, কিন্তু বিভিন্ন কারনে আমরা বাইকের মেইন্...

Bangla English
বাইকের কোন কোন পয়েন্ট থেকে ইঞ্জিন অয়েল লিক করতে পারে
2023-07-17

ইঞ্জিন অয়েল বাইকের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস, বাইকের ইঞ্জিনের ভিতরের পার্টস লুব্রিকেট অর্থাৎ পিচ্ছিল...

Bangla English
ইঞ্জিন অয়েলের গ্রেডিং কেন গুরুত্বপুর্ন ?
2023-05-27

একটা সময় ছিলো যখন বাংলাদেশের বাইক ব্যবহারকারীরা ইঞ্জিন অয়েলের ব্যাপারে উদাসীন ছিলো , অর্থাৎ কোন ইঞ্জিন অয়েল বা ...

Bangla English
বাইকে কম বা বেশি ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করলে কি সমস্যা হতে পারে
2023-04-25

ইঞ্জিন অয়েল বাইকের জন্য ঘুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, প্রতিটি বাইকের জন্য তার নির্দিষ্ট পরিমানের ইঞ্জিন অয়েল প্...

Bangla English
ইঞ্জিন ওয়েল ড্রেন দেয়ার সময় কেন কম ওয়েল পাওয়া যায়?
2022-09-13

ইঞ্জিন ওয়েল একটি বাইকের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় ও অতি জরুরী একটি পণ্য, এটি ইঞ্জিনের ভিতরের সকল পার্টসকে লুব্রিকেট ...

Bangla English