কমিউটার বাইকে সিন্থেটিক অয়েল ব্যবহার করবেন কি না ?
কমিউটার বাইক বলতে আমাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য আমরা কম সিসির যে সকল তেল সাশ্রয়ী বাইক ব্যবহার করে থাকি তাকে কমিউটার বাইক বলে। এই বাইকগুলো কম সিসির, মেন্টেনেন্স খরচ কম ও তেল সাশ্রয়ী হওয়ায় আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজ এসকল বাইকের মাধমে সম্পন্ন করতে পারি, তবে এ সকল বাইকের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু প্রশ্ন থেকে যায়, মিনারেল ব্যবহার করা ভালো হবে না সেমি সিন্থেটিক্ নাকি সিন্থেটিক। যদিও বেশির ভাগ ব্যবহারকারী মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করে থাকে, তবে অনেকে এই বিষয়ে জানতে চায় ও তাদের মাঝে প্রস্ন থেকে থাকে। বাংলাদেশের বাজারে ৩ রকমের ইঞ্জিন অয়েল পাওয়া যায় মিনারেল, সেমি সিন্থেটিক ও সিন্থেটিক। মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল সবচেয়ে সাশ্রয়ী ও কম সময়ের জন্য ব্যবহার করা যায়, সেমি সিন্থেটিক অয়েল মিনারেলের চেয়ে কিছুটা উন্নত মানের এবং বেশি সময়ের জন্য ব্যবহার করা যায় এবং দাম তুলনামূলক বেশি, সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল সবচেয়ে বেশি দামী ও বেশি সময় ব্যবহার করা যায়, এবং স্পোর্টস বাইক ও প্রিমিয়াম বাইকে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে।
• আপনার বাইক যদি ১০০-১১০ সিসির নিচে হয়ে থাকে তবে মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।
• আপনার বাইক যদি ১১০-১৩৫ সিসির মধ্যে হয়ে থাকে তবে আপনি চাইলে সেমি সিন্থেটিক অয়েল ব্যবহার করতে পারেন অথবা মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ও ব্যবহার করতে পারেন।
• ১০০-১৩৫ সিসির কমিউটার বাইকে সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই।
• ১২৫ সিসির কিছু প্রিমিয়াম ও স্পোর্টস বাইকে সিন্থেটিক অয়েল ব্যবহার করতে পারেন যেমনঃ KTM DUKE 125, RC 125 ইত্যাদি।
• আপনার বাইকের ম্যানুয়াল বই দেখে যেকোনো ব্রান্ডের মিনারেল বা সেমি সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
• কমিউটার বাইকে সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার অনেক ব্যয়বহুল এবং এর প্রয়োজন নেই।
তবে যেকোনো সিসির বাইকের ব্রেক-ইন পিরিয়ড এর সময়ে মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করবেন। কারন এ সময় ইঞ্জিন অয়েল দ্রুত ড্রেন দেওয়ার প্রয়োজন পরে থাকে।