ব্রেকিন পিরিয়ডে ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের নিয়ম
ব্রেক-ইন পিরিয়ড বলতে একটি নতুন বাইকে নির্দিষ্ট কিলোমিটার পর্যন্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলাকে ব্রেক-ইন পিরিয়ড বলে। অর্থাৎ বাইকটি একটি নির্দিষ্ট গতি ও আরপিএম মেনে ব্যবহার করা, প্রথম ৫০০ কিলো ৪০০০ আরপিএম এর বেশি না উঠানো ও পিলিয়ন নিয়ে রাইড না করা। এছাড়া ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। নিম্নে এটি নিয়ে আলোচনা করা হল।
• নতুন বাইকের ইঞ্জিন ও পার্টস মসৃণ হয়ে থাকে না, বাইক চালানোর ফলে অমসৃণ কণা বা অংশ ইঞ্জিন অয়েলের সাথে মিশ্রিত হয়ে থাকে এবং ইঞ্জিন অয়েল ড্রেন দিলে তা বের হয়ে আসে।
• আপনার বাইক ক্রয় করার সময় শো-রুম থেকে যেনে নিবেন সেটি কবে আমদানি করা হয়েছে, যদি ১ মাসের অধিক সময়ের হয়ে থাকে তবে ইঞ্জিন অয়েল দ্রুত পরিবর্তন করে নিবেন।
• বাইক কিনার পরে ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করা ভালো, ৫০০ কিলোমিটারের বেশি কোনভাবেই ব্যবহার করা ঠিক নয়।
• প্রথম ইঞ্জিন অয়েল ৩০০-৫০০ কিলোমিটার ব্যবহারের পর পরবর্তী ইঞ্জিন অয়েল ৫০০ কিলোমিটার পর পর পরিবর্তন করবেন, সাধারনত ব্রেক-ইন পিরিয়ড ২০০০ পর্যন্ত মেনে চলা হয়, ২০০০ কিলোমিটারে ৪/৫ টি ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে হবে।
• যে সকল বাইকে অয়েল ফিল্টার রয়েছে, প্রতিবার ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন এর সময় অয়েল ফিল্টার সহ পরিবর্তন করবেন, কারন অয়েল ফিল্টারে ইঞ্জিন থেকে ক্ষয় হয়ে যাওয়া অমসৃণ অংশ ও পুরান অয়েল থেকে থাকে, এটি পরিবর্তন না করলে নতুন ইঞ্জিন অয়েলের সাথে মিশে ইঞ্জিন অয়েলকে দুষিত করে।
• অবশ্যই ব্রেক-ইন-পিরিয়ডে মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করবেন, কারন এই সময় ঘন ঘন ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তনের প্রয়োজন পরে এবং ৪টির অধিক ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতে হয়, মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল সাশ্রয়ী ও কম সময় ব্যবহার উপযোগী, তাই ব্রেক-ইন-পিরিয়ডে মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা ভাল।
ব্রেক-ইন পিরিয়ডে ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আপনাদের উদ্দেশে উল্লেখ করা হল, এগুলো মেনে চললে কোনো প্রকার সমস্যা ছাড়াই আপনার বাইকের ব্রেক-ইন পিরিয়ড সম্পন্ন করতে পারবেন।