লং রাইডে ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার এর গুরুত্বপুর্ন টিপস
বাইক নিয়ে লং ট্যুর বর্তমানে বাইকারদের শখের একটি বিষয়, আমাদের মধ্যে অনেকেই বাইক নিয়ে লং ট্যুর করতে পছন্দ করেন এবং অবসর সময়ে লং ট্যুর করে থাকি। এক্ষেত্রে বাইক ব্যবহারের কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে, একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর কিছু সময়ের বিরতি নিতে হবে, কারন ইঞ্জিন অয়েল অতিরিক্ত গরমে ভিস্কোসিটি বা এর ঘনত্ব কমে যায় ইঞ্জিন অয়েল এর কার্যক্ষমতা কমে যায় এই অবস্থায় অয়েল পরিবর্তন না করা হলে বাইকের পারফর্মেন্স কমে যাবে এবং বাইকের ভাইব্রেশন বেড়ে যাবে। নিম্নে লং টুরের ক্ষেত্রে ইঞ্জিন অয়েলের ব্যবহার উল্লেখ করা হল।
• আপনার বাইকের ব্রেক-ইন পিরিয়ড যদি ট্যুর করে কম সময়ের মধ্যে শেষ করতে চান তবে ধৈর্য সহকারে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে, প্রথম ৫০০ কিলো ৪০০০ আরপিএম ও অতিরিক্ত ওজন ও পিলিয়ন ছাড়া রাইড করতে হবে।
• প্রতি ৩০ কিলোমিটার পরপর ব্রেক দিতে হবে, এ অবস্থায় বাইকের ইঞ্জিন বেশি গরম হয় ও ইঞ্জিন ফ্রি না থাকায় ইঞ্জিন অয়েলের সাথে ইঞ্জিনের কিছু অংশ মিশে যায় যা অয়েল ড্রেন করার সাথে বেরিয়ে আসে তাই প্রথম ইঞ্জিন অয়েল ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে পরিবর্তন করতে হবে, পরবর্তী ইঞ্জিন অয়েল ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে।
• সাধারন অবস্থায় যদি মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করে ট্যুর দেয়া হয় তবে ৭০০ কিলোমিটারের বেশি ব্যবহার না করাই ভালো, ৭০০ কিলোমিটার ব্যবহারের পর অয়েলের পারফর্মেন্স কমতে থাকে।
• সেমি-সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েলের ক্ষেত্রে ১০০০-১২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে
• সিন্থেটিক অয়েল দাম ও ব্রান্ড ভেদে ১৮০০-২৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়, এক্ষেত্রে বাইকের পারফর্মেন্স অনুযায়ী ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করতে হবে, ২৪০০ কিলোমিটাররের বেশি চালানো উচিত নয়।
লং টুরের ক্ষেত্রে উল্লেখিত নিয়ম মেনে ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করলে কোনো প্রকার সমস্যা ছাড়াই ট্যুর সম্পন্ন করতে পারবেন। সর্বদা নির্দিষ্ট গ্রেড মেইন্টেন করে ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করবেন।