Yamaha Banner
Search

মোটরসাইকেল শিল্পে বিপুল বিনিয়োগের সম্ভাবনা

2017-08-15

মোটরসাইকেল শিল্পে বিপুল বিনিয়োগের সম্ভাবনা


Huge-possibilities-to-investment-in-motorcycle-industry


শহরের তীব্র যানজট, গ্রামের দূর-দূরান্ত রাস্তা পার করে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে ভরসার বাহন মোটরসাইকেলের চাহিদা বাড়ছে দিন দিন। বাড়তি চাহিদা মেটাতে দেরিতে হলেও বাংলাদেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দেশেই মোটরসাইকেল উৎপাদন শুরু করেছে, সংযোজন করে বাজারজাত করছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। এ শিল্প সম্প্রসারণে গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে শুল্ক করে ছাড় দিচ্ছে সরকার। ফলে রাজধানীসহ সারা দেশে বিদেশি প্রিমিয়াম মডেলের মোটরসাইকেলের সঙ্গে দেশে উৎপাদিত ও সংযোজিত মোটরসাইকেলের সংখ্যাও বাড়ছে। এসব বিবেচনায় বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের ডিস্ট্রিবিউটর কম্পানিগুলো দেশেই সংযোজন ও উৎপাদনে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

মোটরসাইকেলের উৎপাদক ও আমদানিকারকরা বলছেন, চাহিদা বাড়লেও এখনো অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর হার কম। দেশে আরো অধিক হারে মোটরসাইকেল উৎপাদনের মাধ্যমে এর দাম ক্রেতার নাগালে আনা সম্ভব। পাশাপাশি কয়েক বছর ধরে মোটরসাইকেল আমদানিতে শুল্ক কমানো হলেও এখনো ১৫০ শতাংশ বহাল রয়েছে। ফলে আমদানি করা মোটরসাইকেলের দাম পড়ছে সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। এ অবস্থায় দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনে প্রণোদনা বাড়ানো ও আমদানির ওপর শুল্ক কমানো হলে এর চাহিদা আরো বাড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা।

এশিয়ার অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো যখন দামি গাড়ি ও বিমান তৈরি করছে, তখন বাংলাদেশ মোটরসাইকেলও তৈরি করতে পারছে না—এই হতাশায় ইতি ঘটিয়েছে দেশের তিনটি প্রতিষ্ঠান ওয়াল্টন, রানা ও যমুনা ইলেকট্রনিকস।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মোটরসাইকেলের মধ্যে রানারের মোটরসাইকেলের চাহিদা বেশি। প্রতিষ্ঠানটি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও মোটরসাইকেল রপ্তানি করছে বলে জানা গেছে। আর আমদানি করা মোটরসাইকেলের মধ্যে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ মার্কেট শেয়ার ভারতের বাজাজ কম্পানির। এর পরের অবস্থান টিভিএস ও হিরো ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের। তবে বিশ্বের শীর্ষ তিন ব্র্যান্ড হোন্ডা, ইয়ামাহা ও সুজুকি ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলও বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে এসব প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের চাহিদা বাড়ছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৪-১৫ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশে মোটরসাইকেল বিক্রি অনেক কমে যায়। তবে ২০১৬ সালে বাজেটে শুল্ক করে ছাড় পাওয়ার সঙ্গে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও নেমে আসে। ফলে মোটরসাইকেলের বাজার আবার চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৬ সালে দেশে প্রায় আড়াই লাখ মোটরসাইকেল বিক্রি হয়েছে, ২০১৫ সালে এর পরিমাণ ছিল এক লাখ ৮০ হাজার। মোটরসাইকেল বিক্রি বাড়ার পরও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এখনো মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক কম। জাপানের বহুজাতিক ব্র্যান্ড ইয়ামাহার তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি ১৬১ জনে একজন, ভারতে ২০ জনে একজন ও পাকিস্তানে ১৭ জনে একজন মোটরসাইকেল ব্যবহার করে। মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে প্রায় প্রতি চার-পাঁচজনে একজন মোটরসাইকেল ব্যবহার করে।

মার্কেট রিসার্চ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার গবেষণা তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মোটরসাইকেলের বাজারের আকার প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। দেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ১০০ থেকে ১১০ সিসি ইঞ্জিন ক্ষমতার মোটরসাইকেল, যা মোট বাজারের প্রায় ৫০ শতাংশ। তুলনামূলক কম দাম ও কম জ্বালানিতে অধিক রাস্তা পাড়ি দেওয়ার জন্যও এসব মোটরসাইকেল ক্রেতাদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। ১২৫ সিসি থেকে ১৩৫ সিসির মোটরসাইকেলের বাজারে অংশীদারি প্রায় ১৭ শতাংশ। ১৫০ সিসির মোটরসাইকেলের অবস্থান দ্বিতীয় শীর্ষে, মোট বাজারের ৩৩ শতাংশ।

দেশে বাজাজ, টিভিএস, হিরো, হোন্ডা, ইয়ামাহা, সুজুকি, মাহিন্দ্রা ও কিছু চীনা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল আমদানি করে আমদানিকারকরা। অন্যদিকে রানার, যমুনা ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল দেশে তৈরি হয়। সব মিলিয়ে ১৫টি প্রতিষ্ঠিত মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড দেশের বাজারে আছে। এর মধ্যে আমদানিকারক কম্পানিগুলো দেশের মোট বাজারের ৮৬ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে, দেশীয় কম্পানিগুলোর দখল ১৪ শতাংশে।

দেশে মোটরসাইকেলের চাহিদা বাড়ার প্রেক্ষাপটে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও দেশের ভেতরে মোটরসাইকেল সংযোজন ও উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। বাজাজ, টিভিএস, হোন্ডা ও হিরো বাংলাদেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনে যাচ্ছে। দেশে উৎপাদিত হলে মোটরসাইকেলের দাম কমবে। বাংলাদেশে ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের ডিস্ট্রিবিউটর এসিআই মোটরসের চিফ বিজনেস অফিসার সুব্রত রঞ্জন সাহা কালের কণ্ঠকে জানান, দেশের মোটরসাইকেলের বাজার দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। প্রতিবছর প্রায় আড়াই লাখ মোটরসাইকেল বিক্রি হচ্ছে। তবে এটিও যথেষ্ট নয়। জনসংখ্যা অনুযায়ী আরো বেশি মোটরসাইকেলের চাহিদা রয়েছে দেশে।

রানার অটোমোবাইলসের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান কালের কণ্ঠকে বলেন, তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মোটরসাইকেল মানুষের কাছে তুলে দিতেই রানার কাজ করে যাচ্ছে।

উত্তরা মোটরসের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান বলেন, ‘মানের কারণে ক্রেতার ১ নম্বর পছন্দ বাজাজের মোটরসাইকেল। দেশের আনাচে-কানাচেও আছে বাজাজের বিক্রেতা, পরিবেশক আর সেবাকেন্দ্র। বাজারে আমাদের যন্ত্রাংশও খুব সহজলভ্য। তাই গ্রাহকের আস্থা অর্জন করেছে বাজাজ। সুত্র:কালেরকণ্ঠ

Bike News

TAILG’s Low-Cost, Pollution-Free Long-Distance Assurance
2025-09-03

Electric bikes, or e-bikes, have gained global popularity as a solution to high fuel costs and harmful environmental pollution...

English Bangla
Check out Yamahas REV IN SEPTEMBER offer
2025-09-02

Yamaha is a premium motorcycle brand among bike lovers in Bangladesh, one of the reasons being Yamaha’s after-sales customer...

English Bangla
GPX Demon 250R Launched in Bangladesh
2025-08-31

GPX has been working in the Bangladeshi market from the very beginning with stylish motorcycles and has been able to provide b...

English Bangla
QJ MOTOR Bike Price in Bangladesh August 2025
2025-08-28

Since the arrival of high-cc motorcycles in the Bangladeshi motorcycle market, various world-famous brands of motorcycles have...

English Bangla
Hyosung Bike Price in Bangladesh August 2025
2025-08-28

Hyosung is one of the few motorcycle brands that have increased the interest of bike lovers in different bikes since the CC li...

English Bangla
Filter