বাংলাদেশের ট্রাফিক সাইন পরিচিতি

বাংলাদেশের ট্রাফিক সাইন পরিচিতি

যারা নিয়মিত হাইওয়েতে চলাচল করেন তাদের অবশ্যই চোখে পড়ার কথা রাস্তার পাশে থাকা কিছু সাইন বা চিহ্ন। যেমন কোথাও লেখা থাকে “৪০ কিমি” কোথাও বিশেষ চিহ্ন দিয়ে লেখা থাকে “সামনে বাঁক” ইত্যাদি। এগুলোই ট্রাফিক সাইন যা রাস্তায় গাড়ী চালককে বিশেষ চিহ্নের মাধ্যমে কিছু তথ্য বা নির্দেশনা থাকে। আমরা আমাদের আজকের এই প্রবন্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রচলিত ট্রাফিক সাইনের সাথে পরিচিত হবার চেষ্টা করবো।

বাংলাদেশে সাধারনত ৫ ধরনের ট্রাফিক সাইন দেখা যায়-
০২. বাধ্যতামুলক হা বাচক চিহ্ন
০২. বাধ্যতামুলক না বাচক চিহ্ন
০৩. সতর্কিকরন চিহ্ন
০৪. তথ্যমুলক চিহ্ন
০৫. বিশেষ সতর্কতামুলক চিহ্ন







বাধ্যতামুলক হা বাচক চিহ্ন
কিছু ট্রাফিক সাইন রয়েছে যার মাধ্যমে চালককে সেই নির্দেশ পালন করতে বলা হয় যা “বাধ্যতামুলক হা বাচক চিহ্ন” হিসেবে পরিচিত। যেমন “বামে ঘেষে চলুন, কেবলমাত্র সামনের দিকে চলুন”, “বামে মোড়”, “সর্বনিম্ন গতিসীমা ৩০কিমি” ইত্যাদি।

বাধ্যতামুলক হা বাচক চিহ্ন সাধারনত নীল গোলাকৃতি হয়ে থাকে। কখনও চারকোনা বা আয়তাকারও হতে পারে যেমন “একদিকে চলাচল”।








বাধ্যতামুলক না বাচক চিহ্ন
নিষেধমুলক কিছু চিহ্ন রয়েছে যার মাধ্যমে চালককে সেই কাজগুলো করতে নিষেধ করা হয়ে তাকে যা “বাধ্যতামুলক না বাচক চিহ্ন” হিসেবে পরিচিত। যেমন “প্রবেশ নিষেধ”, “ওভারটেকিং নিষেধ”, “থামুন” “সর্বোচ্চ গতিসীমা ৫০কিমি” ইত্যাদি। বাধ্যতামুলক না বাচক চিহ্ন সাধারনত লাল গোলাকৃতি হয়ে থাকে। তবে কখনও কখনও ভিন্ন আকারের হতে পারে যেমন লাল রং এর আটকোনা বিশিষ্ট চিহ্নের মাধ্যমে বোঝানো হয় “থামুন এবং অন্যকে রাস্তা দিন” যেটি সাময়িক প্রয়োজনে ব্যবহার হয়ে থাকে।







সতর্কিকরন চিহ্ন
কিছু চিহ্ন রয়েছে যার মাধ্যমে চালককে সতর্কবার্তা দেয়া হয় যেমন “সামনে সরু রাস্তা”, ডানে বাক”, “চৌরাস্তা” ইত্যাদি। সতর্কিকরন চিহ্নগুলো সাধারনত ত্রিকোনাকৃতি হয়ে থাকে।






তথ্যমুলক চিহ্ন
কোনো বিধিনিষেধ নয় কিন্তু চালকের প্রয়োজন হবে এমন কিছু তথ্যযুক্ত ট্রাফিক সাইন দেখা যায়। যেমন “হাসপাতাল”, “মসজিদ”, “রেস্টুরেন্ট”, “পার্কিং”, “বামে নারায়নগঞ্জ” ইত্যাদি। তথ্যমুলক সাইনগুলো সাধারনত আয়তক্ষেত্র এবং নীল বা সবুজ রংএর হয়ে থাকে।







বিশেষ সতর্কতামুলক চিহ্ন
জরুরী প্রয়োজনে বা অস্থায়ী সময়ের জন্য কিছু ট্রাফিক সাইন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন “আচমকা বামে মোড়”, “বিকল্প রাস্তা”, “সামনে সাময়িকভাবে লেন বন্ধ” ইত্যাদি।


ট্রাফিক সাইন হিসেবে বর্নিত এই ধরনগুলোই সাধারন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ব্যবহৃত এই সকল ট্রাফিক সাইনের নীচেই সম্পুরক সাইন/বর্ননা থাকতে পারে যা সহায়ক হিসেবে সেই সাইনের “অর্থ” বা “নির্দেশনা” ব্যাখ্যা করে থাকে।