ইয়ামাহা স্যালুটো স্পেশাল এডিশন ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা মোঃ কামাল

ইদানীং আমার ব্যস্ততা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় আমাকে অনেক বাড়ির আশপাশের থেকে দুরদুরান্তে যাওয়া আসা করা লাগছে বেশি যেখানে গনপরিবহনে যাওয়া আসা করে যেমন আমার সময় নষ্ট হচ্ছে সেই সাথে খরচও হচ্ছে। তাই একটা মোটরসাইকেল কেনার কথা চিন্তা করছিলাম অনেকদিন থেকেই যার জন্যে আমার পরিচিত যারা মোটরসাইকেল ব্যবহার করে তাদের কাছে খোজ নিয়ে জানলাম, যে আমাদের এলাকার খুব কাছেই ইয়ামাহা মোটরসাইকেলের নতুন একটা শোরুম হয়েছে। ইয়ামাহার খোজটাই আমি আগে নিয়েছিলাম কারন এই ব্রান্ড শুধুমাত্র নামকরা না বরং আমার খুব ভাললাগা একটা মোটরসাইকেল ব্রান্ড তাই আমি নিজ ইচ্ছাতেই একদিন শোরুমে বেড়াতে গিয়ে শোরুমের অফিসিয়ালদের কাছে মোটরসাইকেল কেন কিনতে চাচ্ছি সে কথা জানালে তারা আমাকে তাদের কমিউটার সেগমেন্টের স্পেশালিস্ট মোটরসাইকেল ইয়ামাহা স্যালুটো ১২৫ ম্যাট গ্রিন বাইকটা কেনার পরামর্শ দেয়। আমি বাড়িতে ফিরে আমার পরিচিতদের একথা জানালে কেউ না করে নি।

আজ ২ মাসের বেশি হয়ে গেল আমি এই মোটরসাইকেলটা ব্যবহার করছি আর এই ২ মাসে মধ্যে আমি বাইকটা চালাতে পেরেছি ২৩০০ কিলোমিটার বা তার কিছু বেশি। এখানে আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বা আপনাদের কাছের বলার মত যে বিষয়টা আমি খেয়াল করেছি তা হলো এই বাইকে আমি এখনও খারাপ বলার মত কোন দিক খুজে পায় নি এমনকি সাধারন কোন ভুল ত্রুটিও আমি খেয়াল করতে পারিনি। হতে পারে হয়তো আমি নতুন মোটরসাইকেল চালক কিন্তু ২৩০০ কিলোমিটার চালানোর পর কিছু না কিছু সামনে আসার কথা। ইয়ামাহার ব্রান্ডের মোটরসাইকেল হিসেবে এই ব্যাপারটা আমাকে খুব বেশি অবাক করেনি।

মাইলেজ নিয়ে বলতে গেলে, আমি বর্তমানে যা মাইলেজ পাচ্ছি তা এককথায় অসাধারন কারন আমি গড়ে মাইলেজ পাচ্ছি ৬৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার। ১২৫সিসির একটা মোটরসাইকেল থেকে এর থেকে বেশি মাইলেজ আশা করাটা নেহায়েত বোকামী ছাড়া আর কিছুই না।

আমি এখন পর্যন্ত আমার বাইকটা একটানা চালিয়েছি ১০০ কিলোমিটারের মত আর সর্বোচ্চ গতি উঠিয়েছি ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা যেখানে উল্লেখ করার মত কোন সমস্যা আমি বুঝতে পারিনি এমনকি খারাপ রাস্তাতেও বেশ আরামের সাথে পথ চলতে পেরেছি।

All YAMAHA bike price in bd

Yamaha Saluto 125cc (UBS)