Yamaha Banner
Search

English Version
2016-08-16
Owned for 3months-1year   []   Ridden for 1000-5000km

KEEWAY RKS 125 v2 2016 Motorcycle Ownership Review by Fahim Adnan


Keeway RKS 125 V2বাইক কিনার ইচ্ছা ছিলো ছোটবেলা থেকেই কিন্তু বিভিন্ন কারনে হয়ে উঠে নাই। আমি ছিলাম হোণ্ডা ইউনিকর্ন পাগলা ফ্যান কিন্তু টাকা পয়সা না থাকায় কিনতে পারি নাই, পরে যখন ডিসিশন নিলাম বাইক কিনবো ততোদিনে হোন্ডা কোম্পানি ইউনিকর্ন ডিসকন্টিনিউ করে ফেলেছে। তখন বিভিন্ন মডেলের বাইক দেখলেও কোনটাই আমাকে পুরাপুরি সন্তুষ্ট করতে পারছিলো না, একদিন একজনকে একটি সাদার ভিতরে
একটা বাইক চালাইয়া যাইতে দেখলাম শাহবাগের দিকে, এক ঝলকে মাথাটা পুরাই আউলা হয়ে গেলো কিন্তু নামটা মনে রাখতে পারি নাই।এরপর আর ওই বাইক দেখি না। এক সপ্তাহ পর ওই রকম আরেকটা বাইক দেখলাম লাল রঙের ১০০ সিসি ধানমন্ডিতে। তখন সব ডিটেইল নিয়ে নিলাম। শোরুমে যাইয়া পড়লাম আরেক প্যাঁচালে। তখন মাত্র তারা ভার্সন ১ ডিসকন্টিনিউ করতেছে ভার্সন ২ ১০০ সিসির আগের কালার কম্বিনেশন রাখে নাই। এরপরে যেইদিন বাংলাদেশে তারা RKS V2 125cc মার্কেটে ছাড়ে ওই দিনই আমি কিনি। রিভিউ দেওয়া উদ্দেশ্য হল অনেকেই RKS 125cc V2 কেমন জানতে চায়, কিন্তু কেউ রেসপন্স করে না, তাই চিন্তা করলাম একটা রিভিউ দেওয়া দরকার।

KEEWAY RKS 125 V2 নিয়ে আমার পর্যবেক্ষণ


লুক ও স্টাইলঃ বাইকের লুক আর স্টাইল নিয়া কিছু বলার নাই, আমার মনে হয় বাইকটা আমজনতার কাছে অতিদ্রুত জনপ্রিয়তার কারন এর সুইট লুক, বাইকের লুক এক্সট্রিম হয়, হেভি হয় কিন্তু এত সুইট হয় না।

কালারঃ কালার কম্বিনেশন টা অসাধারন।১২৫ সিসির ক্ষেত্রে সাদা, লাল, কালো তিনটাই মাস্টার কম্বিনেশন মনে হইছে আমার কাছে। কোনটার থেকে কোনটাকে উপরে রাখতে পারি না। সাদা রংয়ের বাইক কিনবো চিন্তা করে শোরুমে গিয়ে লাল রং টা দেইখা ডিসিশন নিতে প্যাঁচায়া গেছিল, শেষ পর্যন্ত সাদা টাই নেই।

স্পিডঃ এই সেগমেন্ট টাই আমার কাছে সব থেকে উন্নত মনে হইছে। ১২৫ সিসির বাইকের ভিতরে সবচেয়ে দ্রুত স্পিড তুলতে সক্ষম। ধারের কাছে কেউ নাই। এই জায়গাটায় বাইকটাকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী মনে হইছে। আরো মজার ব্যাপার বাইকটা অনেক ক্ষেত্রে ১৫০ সিসি বাইককেও বিট দেয়। এই জায়গায় ১টা মজার ব্যাপার শেয়ার করি, ঢাকা শহরে সিগনাল ছাড়লে দেখবেন সবার আগে বাইক গুলার প্রতিযোগিতা শুরু হয় স্পিড উঠানোর, প্রায় প্রতিদিন ই দেখা যায় পালসার এফজেড ট্রিগার কে বিট করে আমার বাইক আগে চলে যায়, খালি এপাচি কে পারি না। প্রথমে খুব মজা লাগতো। মাঝখানে সন্দেহ হইলো বাইকে কোন গন্ডগোল আছে কিনা, কয়েকজন কে জিজ্ঞাসা করলাম, দেখলাম সবারই আমার মত অভিজ্ঞতা। আরেকটি বিষয় হচ্ছে উচ্চ গতিতে বাইকটি ভাইব্রেট করে না অন্যান্য বাইক যেমন এপাচির মত।

মাইলেজঃ মাইলেজ নিয়ে আমি একটু কনফিউজড। ৩৫-৪০কিমি/লিটার পাইতেছি। সামনে সার্ভিসিং পরে ৪৫-৫০ কিমি/লিটার পাওয়া উচিৎ বলে মনে করি ।
হর্নঃ হর্ন ভালো না, বাইকের সাথে হর্ন যায় না ।

চাকাঃ চাকার সাইজ ভালো, সাইজ মুখস্ত নাই, শুধুমাত্র এফজেড আর জিক্সারের চাকাই এইটার থেকে বেশি মোটা। চাকা টিউবলেস না, কষ্ট করে টিউবলেস করা লাগবে।

সাউন্ডঃ ইঞ্জিনের সাউন্ড টা একটু ডিফরেন্ট। অনেকের কাছে ভালো লাগে আবার অনেকের কাছে লাগে না কিন্তু আমার কাছে মোটামোটি ভালোই লাগে ।

লাইটঃ হেড লাইট সহ অন্য লাইট গুলা ভালো, ইন্ডিকেটর লাইট জ্বালালে কোন সাউণ্ড করে না, করলে ভালো হইতো, ইনডিকেটর বন্ধ করতে ভুইলা যাই।

কন্ট্রোলিং ও সাসপেনশনঃ কন্ট্রোলিং টা অসাধারন, এর কারন হতে পারে বাইকটা একটু নিচু তাই যেকারোর পক্ষে খুব সহজ লাগে মনে হয়, নতুন বাইক ইউজাররা খুব সাচ্ছন্দ পায়, কিন্তু উচু নিচু জায়গায় ঝাকুনির ব্যাপারে আমি ১০০% সন্তুষ্ট না, হয়ত অনেক বাইকের থেকে ভালো কিন্তু আমি আরো একটু বেশি ভালো আশা করেছিলাম। ব্রেকিং টা খারাপ না।

অন্যান্য: আগের ভার্সনে কিক স্টার্ট ছিল না, এইটা নতুন করে এইবার দেওয়া হইছে, সম্ভবত গিয়ার লিভার ১টা ছিল আগের ভার্সনে যেইটা এইবার সামনে পিছনে দুই দিকে দেওয়া হইছে, মাইলেজ আর দ্রুত স্পীড বাড়ানোর জন্য ইঞ্জিনে কিছু চেঞ্জ আনা হইচে আগের ভার্সনের থেকে, কিন্তু এইটার সুফল পাইছি কি পাইনাই সেইটা এখনো বলতে পারতেছি না আমি কিন্তু আশা করি সামনে পারবো।

সার্ভিসিং: এই জায়গায় টায় মনে হয় লোকাল সব ডিস্ট্রিবিউটর কোম্পানি কে অনেক বেশি পিছনে ফেলছে Speedoz Limited সার্ভিস টা অনেক উন্নত মানের মনে হইছে, অনেক বেশি ডেডিকেটেড মনে হইছে তাদের। আমার বাইক সামান্য কিছু জিনিস ঠিক করতে তাদের সার্ভিস টিম বাসায় চলে আসছিল। এই রকম আন্তরিকতা অন্য কোন কোম্পানি থেকে পাওয়া কঠিন।

পুরা রিভিউটা আমি নিজের মত বর্ণনা ও ব্যাখ্যা করলাম। ব্যাপার গুলা অনেক ক্ষেত্রে আপেক্ষিক, আমার যা ভালো লাগছে তা আপনার নাও ভালো লাগতে পারে বা বেশি ভালো লাগতে পারে। আমার যা খারাপ লাগছে তা আপনার আরো বেশি খারাপ লাগতে পারে। আমি আমার রিভিউ দেওয়ার ব্যাপারে সৎ থাকার চেষ্টা করেছি। তাই রিভিউ দেওয়ার আগে অনেকবার চিন্তা করতে হইছে। পক্ষপাতদুস্ট রিভিউ দেওয়ার থেকে না দেওয়া অনেক ভালো। মানুষের অনেক কস্টের টাকা দিয়ে বাইক কিনে।

আশা করি আমার রিভিউ অন্যদের সাহায্য করবে।


Rate This Review

Is this review helpful?

Rate count: 22
Ratings:
Rate 1
Rate 2
Rate 3
Rate 4
Rate 5

More reviews on Keeway RKS 125

কিওয়ে আরকেএস ১২৫ মোটরসাইকেল রিভিউ - কাসেম
2019-07-22

কিওয়ে আরকেএস ১২৫ বাইকটি কেনার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম বাবার কাছ থেকে। আমার বাবা তার জীবনে অনেক বাইক ব্যবহার করেছে...

Bangla English
2017-09-21

কীওয়ে ব্রান্ডের বিভিন্ন মডেলগুলো ডিজাইনের পাশাপাশি চমতকার ইনজিন পারফরমেন্সের কারনে ইতমধ্যেই গ্রাহকদের পছন্...

Bangla English
2017-08-07

আমি মাসুম তালুকদার, একটি আইটিফার্ম পরিচালনার পাশাপাশি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার ই...

Bangla English
2017-07-13

আমি মোঃ দুলাল হোসেন পেশায় একজন এসিসটেন্ট সাব ইন্সপেক্টর (এ এস আই)অব পুলিশ। আমার গ্রামের বাসা পাবনা সাথিয়া কিন্ত...

Bangla English
2016-08-16

বাইক কিনার ইচ্ছা ছিলো ছোটবেলা থেকেই কিন্তু বিভিন্ন কারনে হয়ে উঠে নাই। আমি ছিলাম হোণ্ডা ইউনিকর্ন পাগলা ফ্যান কিন...

Bangla English
Filter