সাধারনের মধ্যে অসাধারন একটা মোটরসাইকেল হলো হিরো গ্ল্যামার ১২৫সিসি যা আমাদের কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়া ৪৩ জনের সবাই এভাবেই জানিয়েছেন। হিরো বাংলাদেশের একটা স্বনামধন্য ব্রান্ড আর হিরো অন্যতম বড় একটা সুনাম হলো অল্প দামে সবচেয়ে ভালমানের বাইক ক্রেতাদের কাছে পৌছে দেওয়া।
মজার ব্যাপার হলো আমাদের বাংলাদেশিদের খুব কমন এবং বাজে রকমের একটা সেন্টমেন্ট কাজ করে তা হলো; “দাম কম তার মানে পন্যের মানও ভাল না”। আমাদের তথ্য দেওয়া সকলের কথাগুলা পর্যালোচনা করলে এমনটাই মনে হয়। হিরো গ্ল্যামর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উনারা ঠিক এমনটাই বুঝিয়েছেন।
আমাদের একাধিক তথ্য প্রদানকারী এই ১২৫সিসির বাইকটা নিয়ে ঢাকা-রাজশাহী-ঢাকা আবার রাজশাহী-রংপুর-সৈয়দপুর-নীলফামারী গিয়ে ফিরে আসার সময় ৩ জন নিয়ে রাজশাহীতে ফিরেছেন কিন্তু হিরো গ্ল্যামারে কোনরকম গ্ল্যামারের কমতি বুঝতে পারেন নি, যেখানে অন্যান্য ১২৫সিসির বাইক নিয়ে দীর্ঘযাত্রার কথা চিন্তা করাটাই অনেক কঠিন।
গ্ল্যামারের বর্তমান দাম ১,১৯,৯৯০ টাকা যা সামনে ডিস্ক ব্রেকসহ অন্যান্য সমমানের যেকোন বাইকের থেকে অনেক কম। এর কম দামটাই হলো সকলের অবহেলার মুল কারন বলে আমাদের বেশ কয়েকজন তথ্য প্রদানকারী মত দিয়েছেন।
এখন দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ভালদিক গুলার সাথে আমাদের রিভিউ প্রদানকারীরা সবাই একমত হয়েছে আর কোম্পানি কোনদিক গুলাকে ভাল বলে দাবী করেছিলোঃ
বাইকের বিল্ড-কোয়ালিটি নিয়ে কেউ কোন রকম প্রশ্ন তুলেন নি। কাছের বা দুরের যাত্রায়, খারাপ বা ভাল রাস্তায়, মাটির বা কাদা রাস্তায় গ্ল্যামার তার স্বাভাবিক পারফরমেন্সে বিল্ড-কোয়ালিটি নিয়ে সামান্যতম পার্থক্য কোথাও বুঝতে দেয়নি। দীর্ঘ পথে ৩ জন নিয়ে চালিয়েও গ্ল্যামার ১২৫ এর শক্তপোক্ত গঠনের কারনে চলতি পথে কোনরকম সমস্যা টের পান নি একজন ব্যবহারকারী।
আরামের ব্যাপারে সবাই অনেক সন্তুষ্ট। এই ব্যাপারটা এককথাতেই বলা যায় কারন দীর্ঘ পথে যারা হিরোর এই বাইকটা ব্যবহার করেছেন তারা কখনই এর আরাম নিয়ে অভিযোগ করেন নি।
গ্ল্যামারের সাদামাটা লুকটা সবারই পছন্দ হয়। বলা যায় যাদের উদ্দেশ্য সাধারন ব্যবহারের তারা কখনই গ্ল্যামারের লুক নিয়ে আপত্তি করেন নি। আমাদের কাছে বেশিরভাগ তথ্যদাতা জানিয়েছেন বাইকের ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যা যেকোন বয়সের রাইডারের সাথে বেশ ভালভাবেই মানাবে তাই এই একটা বাইক মানে পরিবারের সকলের ব্যবহার নিশ্চিত।
মাইলেজটার ব্যাপারে সবাই প্রশংসা করেছে যদিও কোম্পানির দাবী অনুযায়ী তাদের এই মডেলে মাইলেজ পাওয়ার কথা কমপক্ষে ৬০ কিলোমিটার প্রতি লিটার কিন্তু আমাদের পাওয়া তথ্য মতে সবাই গড়ে মাইলেজ পাচ্ছে ৫৪-৫৫ কিলোমিটার প্রতি লিটার যা অবশ্যই প্রশংসার দাবী রাখে কারন একেকজন বাইকারের একেকরকম বাইক চালানোর ধরন তাই মাইলেজেও পার্থক্য হবে এটাই স্বাভাবিক।
দামের বিষয়টা সবাই বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন আর তার কারন হলো সামনে ডিস্ক ব্রেকসহ এত ভাল পারফরমেন্সের বাইক অন্যান্য কোন কোম্পানীর নেই।
সাসপেনশন এবং সিটিং পজিশনের সমন্বয়টা অসাধারন যার কারনে খারাপ থেকে খারাপ রাস্তাতেও খুব সামান্যই ঝাঁকুনি টের পাওয়া যায়।
অন্যদিকে কিছু বিষয় আছে যেগুলা আমাদের ব্যবহারকারীরা নেতিবাচক হিসেবে দেখেছেন আবার একথা উল্লেখ করেও দিয়েছেন যে দাম বিবেচনায় এই ধরনের ব্যাপারগুলা খুবই স্বাভাবিক কারন এই একই সেগমেন্টের অন্যান্য দামী বাইকেও এর থেকেও অনেক সিরিয়াস সমস্যা পড়তে তারা দেখেছেন।
প্রথমত যে বিষয়টা নেতিবাচক হিসেবে দেখেছেন তা হলো এর চাকা অনেকটাই চিকন যার কারনে ব্যালেন্সে কিছুটা সমস্যা করে এবং বিপরীতে এই ব্যাপারটা নিয়েও সবাই একমত যে যদি চাকা চওড়া বা মোটা করা হয় তাহলে মাইলেজ এবং গতি দুটাই কমে যাবে তাই এটাকে কেউই সেরকম পর্যায়ের সমস্যা হিসেবে দেখছেন না।
সময়ের পার্থক্যে এই একই মডেলে কোনটাই সেলফ আবার কোনটাই শুধু কিক স্টার্ট অপশন আছে। তবে আমরা সবাই সেলফ স্টার্টেই বেশি স্বস্তি অনুভব করি যার কারনে সেলফ কাজ না করলে একরকম অস্থির হয়ে যায়। যাদের হিরো গ্ল্যামারে সেলফ স্টার্ট অপশন আছে তাদের মধ্যে অনেকেই সেলফ সুইচে সমস্যা পাচ্ছেন।
ভাইব্রেশন নিয়ে তেমন কারও অভিযোগ নেই তবে বেশ কয়েকজন এই ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলেছেন, জানিয়েছেন ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতি পার করার পর গ্ল্যামারে ভাইব্রেশন টের পান যা সহ্য করার মত আর এই সেগমেন্টের বাইকে এই লেভেলের ভাইব্রেশন কিছুটা থাকবে এটাই স্বাভাবিক বলে সবাই জানিয়েছেন।
সর্বোপরি টীম মোটরসাইকেলভ্যালীর কাছে যিনারা তথ্য দিয়েছে তাদের কেউই হিরো গ্ল্যামারের সমস্যাগুলা বড় করে দেখতে চান নি আর তার কারন হিসেবে একটা কথাই উল্লেখ করেছেন যে এই ধরনের বাইকে কিছু না কিছু সমস্যা থাকবে আর দাম অনুযায়ী হিরো গ্ল্যামারের যে পারফরমেন্স সবাই পেয়েছে তাতে এই সাধারন সমস্যার বিষয়গুলা উনাদের কাছে খুবই নগন্য বা স্বাভাবিক বলে মনে হয়েছে।
Since the approval of Higher CC bikes in the Bangladesh market, new brands and models have started coming to Bangladesh one af...
English BanglaTo give bike lovers in Bangladesh a taste of different bikes in higher cc, Hyosung Bangladesh has launch a few completely diff...
English BanglaIndia’s iconic motorcycle manufacturer, Royal Enfield, is set to enter the 250cc segment for the first time. However, the mo...
English BanglaCFMoto is currently one of the most talked about motorcycle brands among bikers in the Bangladeshi motorcycle market, with bra...
English BanglaOne of the reasons why Yamaha's name does not need to be mentioned twice by bike enthusiasts of all levels in Bangladesh is it...
English Bangla