Sunra
Yamaha Banner
Search

চাইনিজ বাইক কেন কিনবেন?

2015-08-19

চাইনিজ বাইক কেন কিনবেন?


Made in Chinaআমাদের সমাজে প্রচলিত একটি কথা রয়েছে, “চায়না, বেশি দিন যায় না”। আসলেই কি তাই? আসুন একটু পেছনে গিয়ে দেখি। আমাদের যাদের বয়স একটু বেশি (৩০ বছরের বেশি) এবং গ্রামে থেকেছি তারা কম বেশি সবাই জানি যে গ্রামাঞ্চলের প্রচলিত অন্যতম বাহন হলো সাইকেল। এবং সবচেয়ে আকাংখিত সাইকেল হলো “চায়না ফনিক্স ( আসল উচ্চারন ফিনিক্স) সাইকেল । চায়না ফনিক্স সাইকেল আর সব সাইকেলের থেকে দামী এবং অনেক বেশি টেকসই। চালিয়েও অনেক আরাম। কমদামী সাইকেলের মধ্যে ইন্ডিয়ান হিরো সাইকেল ছিলো। দামে কম, টেকসই কম।
সিম্ফনী মোবাইল। এই ফোন ব্যবহার করে নাই এমন লোক দেশে খুজে পাওয়া দুষ্কর। ব্রান্ড হিসেবে বাংলাদেশী কিন্তু ১০০% চাইনিজ এই ফোনটি দামের তুলনায় অনেক ফীচার এবং যথেষ্ট টেকসই বলে মার্কেটে শক্ত একটি অবস্থান তৈরী করে নিয়েছে। নকিয়ার মতো পৃথিবী মাত করা কোম্পানীকে সিমফনীর কাছে মার্কেট ছেড়ে দিতে হয়েছে।

Xiaomi(উচ্চারন সম্ভবত শাওমি)। এই চাইনিজ মোবাইলের ব্রান্ডটি এপল এবং স্যামসাং এর ঘুম হারাম করে দিয়েছে।

তাহলে কেনো চাইনিজ প্রোডাক্ট খারাপ হিসেবে আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে? এর কারন হচ্ছি আমরাই। জ্বী। চায়না থেকে দুনিয়ার অখাদ্য পন্য গুলি আমরা তুলে নিয়ে আসি দেশে বেচার জন্য। আমরা জানি, বাঙ্গালী, পন্যের মানের থেকে দামের দিকে মনযোগ আগে দিবে। কাজেই জিনিস যাই হোক, সস্তা হতে হবে।সস্তার বারো অবস্থা হবেই এটি স্বাভাবিক। আর কম দামে হরেক ডিজাইনের বাইক বাহারী নাম দিয়ে ডজন ডজন কোম্পানী চাইনিজ বাইক দেশে আনা শুরু হলো। যাদের অনেকেই অল্প দিন পরেই মার্কেট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। অনেকের বাইক আছে তো পার্টস পাওয়া যায় না। অনেকের শো রুম শুধু ঢাকাতেই আছে। আর কস্টোমার সার্ভিস সেন্টার, সেতো অনেক দূরের কথা।

তাহলে কাদেরকে বিশ্বাস করবো? প্রথমেই দেখতে হবে কারা দীর্ঘদিন থেকে মার্কেটে আছে। খারাপ পন্য নিয়ে, গ্রাহককে সন্তুষ্ট না করে ব্যবসায় কখনই দীর্ঘদিন টিকে থাকা যায় না। কাজেই কিছু পন্য রয়েছে যাদের মান দামের তুলনায় মন্দ নয় যেমন জংশেন, ডায়াং, লিফান, জারা, ডায়ূন ইত্যাদি। এসকল ব্রান্ডের সব বাইকই ভালো এমন নয়, কিন্তু এদের কিছু কিছু বাইক মার্কেটে বেশ শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে। যেমন ডায়াং এর ৫০সিসি এবং ৮০ সিসি, ১০০সিসি, জংশেন এর ৮০সিসি। জারা ১০০সিসি, ডায়ুন এর ৮০সিসি, ১০০সিসি এবং ১৫০সিসি।লিফানের ১৫০ সিসি, জিয়ালিং ইত্যাদি।

এই বাইক গুলো কি মানের দিক থেকে জাপানিজ বা ইনডিয়ান ব্রান্ড এর থেকে ভালো অথবা সমান? একটি পন্যের মান বিচার করতে হলে দামটিও বিচারে আনতে হয়। এ সকল বাইকগুলো দামের দিক থেকে জাপানিজ বাইকের থেকে অনেক কম এবং ইনডিয়ান বাইকের থেকেও বেশ কম দাম। কাজেই তাদের সম মানের হবে এটি কোন মতেই সম্ভব নয় কিন্তু এটি ঠিক, একই মূল্যে আপনি চায়নিজ বাইক যত সুন্দর এবং যত আধুনিক সুবিধাযুক্ত অবস্থায় পাবেন এমন সুবিধা আপনি জাপানিজ বাইক দূরের কথা ইনডিয়ান বাইকেও পাবেন না। কিন্তু ইনডিয়ান বাইক থেকে টেকসই কিছু কম হবে এটিই স্বাভাবিক। সব ক্ষেত্রেই কম টেকসই হবে এমনও নয়। যেমন আমার পরিচিত একজন জংশেন ইডি৮০সিসি বাইকটি চালাচ্ছেন প্রায় ২৫বছর ধরে। আরেকজন ডায়াং ১০০সিসি বাইক চালাচ্ছেন ১০বছরের বেশি সময় ধরে। দুজনেই সন্তুষ্ট তাদের বাইকের প্রতি।
এটি ১০০% সত্য যে বেশি দাম দিয়েও আপনি বেশি টেকসই চাইনিজ বাইক দেশে পাবেন না। যেগুলো আছে প্রায় সবগুলোই দামে কম করতে গিয়ে মানের দিক দিয়ে কম করেছে। এগুলোর মধ্যে কিছু বাইক রয়েছে যেগুলো দাম এবং মানের দারুন সমন্বয় রয়েছে যেগুলো আপনি কিনে ব্যবহার করতে পারেন।

যে সকল ক্ষেত্রে আপনি চাইনিজ বাইকের কথা ভাবতে পারেন-
০১. সামর্থের সীমাবদ্ধতা থাকলে
০২. ১০০সিসি এর নীচে বাইক চাইলে
০৩. কম দামে স্টাইলিশ বাইক চাইলে
০৪. দেশ জুড়ে সার্ভিস সেন্টার থাকলে
০৫. সন্তুষ্ট ব্যবহারকারীর অভিমত পেলে
০৬. যখন আপনার বাজেট কম
০৭. টেকসইয়ের থেকে স্টাইল যখন বেশি প্রয়োজন

আপনি যদি জাপানিজ ব্রান্ডের বাইকের প্রতি আগ্রহী হন এবং কেনার সামর্থ্য থাকে তাহলে আপনাকে ইনডিয়ান বাইক কিনতে বলা যেমন বোকামী তেমনি আপনার সাধ্যের বাইরে গিয়ে অন্য বাইক কেনার থেকে দেখে শুনে চাইনিজ বাইক আপনি ব্যবহার করতে পারেন। কারন কোনো বাইকই ১০০% পারফেক্ট নয়, কেউ গতিতে বেশি, কেউ ডিজাইনে বেশি, কেউ তেল সাশ্রয়ী আবার কেউ আরাম দায়ক। একই বাইকে সকল সুবিধা দেয়া কখনই সম্ভব নয়। ভালোর কোনো শেষ নেই। শরবতে যত চিনি ঢালবেন শরবত ততোই মিষ্টি হবে। কাজেই আপনার বাজেটের মধ্যে আপনার পছন্দের বাইকটিই আপনার জন্য সেরা বাইক। সেটি জাপানিজ ব্রান্ড হোক, ইনডিয়ান হোক, দেশি হোক কিংবা চাইনিজ।
Rate This Tips

Is this tips helpful?

Rate count: 3
Ratings:
Rate 1
Rate 2
Rate 3
Rate 4
Rate 5

Bike Tips

ECU কি? ECU কীভাবে কাজ করে?
2025-10-23

বাইকের ECU অর্থাৎ (Engine Control Unit) হচ্ছে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা বাইকের ইঞ্জিনের বিভিন্ন ফাংশন নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। এটি আধুনিক মোটরসাইকেলগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, বিশেষ করে যেগুলো ফুয়েল ইনজেকশন (FI) প্রযুক্তি ব্যবহার করে। ।ECU (Engine Control Unit) হচ্ছে বাইকের "মস্তিষ্ক" বা কন্ট্রোল সেন্টার। এটি বাইকের বিভিন্ন স...

Bangla English
স্লিপার ক্লাচ কী? এর সুবিধা ও অসুবিধা।
2025-10-22

আধুনিক বাইকগুলোর যে ফিচারগুলো খুবই ডিমান্ডডেবল তার মধ্যে অন্যতম একটি ফিচার হচ্ছে Slipper Clutch। Slipper Clutch হচ্ছে মোটরসাইকেল বা গাড়ির এক ধরনের বিশেষ ক্লাচ সিস্টেম, যেটা হঠাৎ গিয়ার ডাউন করার সময় ইঞ্জিনের অতিরিক্ত ব্রেকিং ফোর্স (back torque) কমিয়ে দেয়, যাতে পিছনের চাকা লক হয়ে না যায়। সহজভাবে বললে, এটা হলো এমন এক ক্লাচ যেটা গ...

Bangla English
বাইকের কোন কোন যন্ত্রাংশ দিয়ে ইঞ্জিনে পানি প্রবেশ করতে পারে এবং করণীয়
2025-06-15

বর্তমানে দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি এবং ভারী বৃষ্টিপাত, বন্যা এবং জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে, এমন অবস্থায় বাইকের ইঞ্জিনে পানি ঢুকে গেলে এটি একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে, বিশেষ করে যদি পানি সিলিন্ডারে ঢুকে থাকে। এমন অবস্থায় ইঞ্জিনে হাইড্রোলিক লক (hydrolock) হতে পারে, যা ইঞ্জিনের বড়সড় ক্ষতি করতে পারে। নিচে করণীয় কি...

Bangla English
2025-05-12

বাইক ব্যবহার করলে এর যত্ন বা রক্ষণাবেক্ষণ করতেই হবে, তবে বর্ষাকালে বাইক চালানো এবং তার যত্ন নেওয়া একটু বেশি সচেতনতা দাবি করে, কারণ এই সময়ে জল, কাদা এবং আর্দ্রতা বাইকের পারফরম্যান্স ও স্থায়িত্বে প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি যদি বর্ষাকালে বাইকের যত্ন না নেন তবে বাইকে কাদা বা মাটি লেগে তা বাইকের রং নষ্ট করত...

Bangla English
গরম ইঞ্জিনে পানি দিয়ে ঠাণ্ডা করা উচিত কি না
2025-04-29

গরমকালে ইঞ্জিনে ঠাণ্ডা পানি দেয়া বা পানি দিয়ে ইঞ্জিন ঠাণ্ডা করা কি উচিত কি না? এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য যা মোটরসাইকেল ও গাড়ির ইঞ্জিনের সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জেনে রাখা প্রয়োজন। উত্তপ্ত ইঞ্জিনে ঠান্ডা পানি ঢেলে দেওয়ার ফলে নানা ধরনের যান্ত্রিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে, যার ফলে ইঞ্জিনের কার্যক...

Bangla English
Filter

Filter