2019-07-23 Views: 8038
টায়ারে বাতাসের পরিবর্তে কেন নাইট্রোজেন ব্যবহার করবেন?

মোটরসাইকেল টায়ারে আমরা সাধারনত বাতাস ব্যবহার করি। বাতাসে বিভিন্ন গ্যাস এর পাশাপাশি জ্বলীয় বাস্প ও অন্যান্য উপাদান থাকে। এরফলে গরমের দিনে টায়ারের প্রেসার কিছুটা বৃদ্ধি পায় এবং শীতকালে প্রেসার কিছুটা কমে। এছাড়াও প্রতি মাসে স্বাভাবিক নিয়মেই প্রায় ১পিএসআই টায়ার প্রেশার কমে যায়। একারনে নিয়মিত টায়ার প্রেশার মেপে দেখা ভালো, এতে দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং স্বল্পপরিমানে জ্বালানী সাশ্রয় হয়। প্রশ্ন হচ্ছে টায়ারে বাতাসের পরিবর্তে কেনো নাইট্রোজেন ব্যবহার করবো? উত্তর পাবার আগে চলুন জেনে নেই নাইট্রোজেন আসলে কি?
নাইট্রোজেন কি?
নাইট্রোজেন একটি রাসায়নিক উপাদান। আমাদের চারপাশে যে বাতাস রয়েছে তার ৭৮%ই হলো না্ইট্রোজেন, ২১% অক্সিজেন এবং ১% অন্যান্য উপাদান।
টায়ারে বাতাসের পরিবর্তে কেনো নাইট্রোজেন ব্যবহার করবো?
টায়ারে ব্যবহৃত বাতাসের মধ্যে থাকা অক্সিজেন এবং জ্বলীয় বাস্প ক্ষেত্র বিশেষে টায়ারের জন্য ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায়। তাপে প্রসারিত হয়ে টায়ারে প্রেশার তৈরী করে আবার ঠান্ডায় সংকুচিত হয়ে যায়। এছাড়াও অক্সিজেন কনা আকারে ছোট হওয়াতে ধীরে ধীরে টায়ার থেকে বের হতে থাকে। ফলে নিয়মতি টায়ারে বাতাস দেবার প্রয়োজন পড়ে। অন্যদিকে নাইট্রোজেন কনা আকারে অক্সিজেনের থেকে বড় হওয়াতে টায়ারে নাইট্রোজেন ব্যবহার করলে দীর্ঘ সময় তা থেকে যায়। সহজে তাপে প্রসারিত বা ঠান্ডায় সংকুচিত হয় না বলে টায়ারের স্থায়ীত্বকাল বাড়ায়।
টায়ারে নাইট্রোজেন ব্যবহারের সুবিধা
- গরমে প্রসারিত হওয়া এবং ঠান্ডায় সংকুচিত হবার পরিমান কম ফলে একবার টায়ারে বাতাস ভরলে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যায়।
- টায়ার রক্ষনাবেক্ষন খরচ কমায়
- স্বল্প মাত্রায় জ্বালানি খরচ বাচায়
- টায়ার দীর্ঘস্থায়ী হয়
টায়ারে নাইট্রোজেন ব্যবহারের অসুবিধা
প্রথম অসুবিধা হলো অন্তত বিনামূল্যের বাতাসের তুলনায় খরচ বেশি। সকল স্থানে পাওয়া যায় না। নাইট্রোজেন ব্যবহার করার পরেও টায়ার নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষন করে যেতে হবে।
সিদ্ধান্ত কি হলো?
টায়ারে বাতাসের পরিবর্তে নাইট্রোজেন ব্যবহার ব্যয়বহুল এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সহজলভ্যও নয়। তবে টায়ারে বাতাসের পরিবর্তে না্ইট্রোজেন ব্যবহারে কিছুটা সুবিধা রয়েছেই। কাজেই, আপনার প্রিয় বাইকের এক্সট্রা কেয়ারের স্বার্থে যদি এক্সট্রা কিছু খরচ করতে রাজি থাকেন তাহলে নাইট্রোজেন ব্যবহার করতে পারেন। নচেৎ, যেমন আছেন তেমনি থাকেন।
