Home
2014-01-15
Owned for 1year+ [] Ridden for 10000km+
This user provides ratings about this bike
8 out of 10
Design
Comfort & ControlFuel EfficientService ExperienceValue for moneyটিভিএস মেট্রো ১০০সিসি মোটরসাইকেল রিভিউ - মিজানুর রহমান
কিছু কিছু বিষয় আছে চিরন্তন বাস্তব,তা অনুভূতিগ্রাহ্য হোক বা না-ই হোক। । এই যেমন ধরেন, একটি সুস্থ শিশু হাটিহাটি পা-পা করে হাঁটা শিখবে। তার পরে একসময় দৌড় দিতে চাইবে। একটু বড় হতেই ছেলে আর মেয়ের মধ্যে 
কিছু বিষয়ের শাশ্বত ও চিরন্তনত্ত নিয়ে এতো কথা বলার কারণ , এমন কোন মানুষ মনে হয় খুঁজে পাওয়া মুস্কিল হবে যে তার কিশোর বয়েসে মোটরসাইকেল নামক বাহনের জন্য, এতে চড়ার জন্য বা চড়া শেখার জন্য পাগলপ্রায় ছিলো না। আমি অন্তত তাদের দলের প্রথম দিকেই ছিলাম। বাইক চালানো শিখে ফেলার পরে সব সময়ই স্বপ্ন দেখতাম নিজের একটা বাইক হবে। অবশেষে ১৭ জুলাই ২০১১ তারিখে যেদিন স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিলো । কি বলবো নিজেকে যেনো ধরে রাখতে পারছিলাম না । উত্তেজনায় ফুটছিলাম। শো-রুম থেকে বাইকটি বের করে যখন সিটে চড়ে বসলাম মনের আবেগ- অনুভুতির কথা সত্যই বলে বুঝাতে পারবো না। আমার স্বপ্ন পূরনের দিন। সৃতির পাতায় সোনার অক্ষরে লিখে রাখা একটি দিন। সেই সময় বাইকটির দাম ছিল ৯৮০০০ টাকা।
শো-রুম থেকে বের হবার সময় ম্যানেজার সাহেব কয়েকটি গুরুত্তপূর্ণ টিপস দিলেন । নতুন বাইক যেনো খুব জোরে না চালাই , একদিনে যেনো খুব বেশী না চালাই, ৫০০ কিমি পর্যন্ত যেন পেছনে কাউকে না নেই ইত্যাদি ইত্যাদি। উত্তেজনায় ফুটছিলাম, আমাকে এই সমস্ত পরামর্শ দিয়ে কি কাজ হবে! এক ট্যাংক তেল নিয়ে রওনা হলাম বগুড়ার উদ্দেশ্যে। 100cc TVS বাইকটিকে সেদিন বলতে গেলে উপভোগ করেছিলাম। যেদিন ২৫০ কিলোমিটার রান করেছিলাম ।
আমি একজন মাঝারি উচ্চতার মানুষ আর TVS Metro 100cc বাইকটি মাঝারি উচ্চতার মানুষের জন্য যেন আদর্শ একটা বাইক। বাইকে বসে চমৎকার ভাবে পায়ের পাতা দিয়ে মাটি স্পর্শ করতে পারছিলাম। বাইকের কন্ট্রোলের ক্ষেত্রে এটা একটা খুবই গুরুত্তপূর্ণ বিষয়। একটা উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি পরিষ্কার করি। একজন পূর্নবয়স্ক মানুষকে দেখবেন ভিড়ের মধ্যে স্বাছন্দে বাই সাইকেল নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিচ্ছেন, কিন্তু একজন বাচ্চা ছেলেকে সাইকেল থেকে নেমে দাঁড়াতে হয় শুধু সিটে বসে মাটিতে পা পাওয়া না পাওয়া নিয়ে এমন টি ঘটে। বাইক যত নিচু হবে বা আপনি বাইকে বসে যত স্বাচ্ছন্দে মাটিতে পা ছোয়াতে পারবেন এর কন্ট্রোল তত আপনার কাছে ভালো মনে হবে। বাইকটি দেখতে যেমন সুন্দর, চড়েও মজা বলতে চাচ্ছি কম্ফটেবল সাথে জ্বালানো সাশ্রয়ী।
বাইকটি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়ার আগে এর গুরুত্তপুর্ণ কিছু ফিচার প্রথমে তুলে ধরি।
Engine: 4 strokes, Single Cylinder, Air cooled
CC: 99.7
Max power: 5.50 kW (7.5 bhp) @ 7500 rpm
Max torque: 7.5 Nm @ 5000 rpm
Gear: 4
Fuel tank: 16 liters
Weight: 108 kg
বাইকটির ভালো দিক
• বাংলাদেশের মানুষের এভারেজ উচ্চতার দিকটি বিবেচনায় একেবারে পারফেক্ট বাইক
• খুবই জ্বালানী সাশ্রয়ী ৬০ কিলোমিটার যায় এক লিটার তেলে
• যেকোনো সময়েই নিয়ন্ত্রণ অসাধারণ
• দুজন নিয়ে চলাচল করার জন্য খুবই উপযুক্ত
• ফুয়েল ট্যাঙ্ক আর বডির মধ্যে সুন্দর সমন্বয় করা হয়েছে
• এর হেডলাইটের আলো শক্তিশালী আর ঝকঝকে
• গুরুত্তপূর্ন আর একটা বিষয় হলো লম্বা ভ্রমনেও এর ইঞ্জিন সহসা গরম হয় না
খারাপ দিক
• সামনের চাকায় ডিস্ক ব্রেক থাকলে খুবই ভালো হতো
• কোন শেল্ফ স্টার্ট নাই
• এর ইলেকট্রিক কন্ট্রোল সবই ডান হাতে তাই কখনো কখনো সমস্যায় পড়তে হয়
যত্ন
আমি এক কথায় আমার বাইকটিকে ভালোবাসি, তাই এর যত্নের ব্যাপারেও আমি খুব সাবধানী। যেকোনো যন্ত্রই হোক না কেন আপনি যদি তা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না রাখেন তবে এর থেকে ভালো পারফর্মেন্স পাবেন না। তাই বাইকটি আমি নিয়মিত ধোয়ামুছা করি। প্রতি ১০০০ কিমি চলার পরে ইঞ্জিন ওয়েল বদলে ফেলি । আর ব্রেক চেন বা এই জাতিয় কোন সমস্যা হলে তাতক্ষনিক তা ঠিক করে নেই
পরিশেষে একটি কোথায় বলতে পারি আমার জিন্য একেবারে পারফেক্ট বাইক
