Yamaha Banner
Search

২০২৪ সালে ইয়ামাহার সম্ভাব্য ৩৫০সিসির বাইকসমুহ

2024-01-22

২০২৪ সালে ইয়ামাহার সম্ভাব্য ৩৫০সিসির বাইকসমুহ

yamahas-probable-350cc-bikes-in-2024-1705916568.webp

বাইক প্রেমী থেকে সাধারন মানুষ সবাই ই এই ব্যাপারটা নিয়ে একধরনের অব্যক্ত ফ্যান্টাসীর মধ্যে ভোগে যে যদি বাংলাদেশে উচ্চ সিসির বাইক আসা শুরু হয় তাহলে বাংলাদেশের মোটরসাইকেলের বাজারটা আসলে কেমন হবে? আমরা সাধারনত চলতে ফিরতে যে সকল বাইক দেখে অভ্যাস্ত সেখানে আদৌতে কোন পরিবর্তন আসবে বা উচ্চ সিসির বাইকগুলোর শব্দ সত্যিই কি রাস্তা কাপাবে?
যদি সত্যিই কোন একদিন বাংলাদেশে উচ্চসিসির বাইকসমুহের অনুমোদন দেওয়া হয় তাহলে কোনধরনের বাইকগুলো আমাদের সামনে দিয়ে চলতে ফিরতে দেখতে পাবো? যেমনটা এখনও আমরা ১৬৫সিসির মধ্যে এখন পর্যন্ত দেখে আসছি? এই ধরনের হাজারও অব্যক্ত প্রশ্ন বেশিরভাগ বাইক প্রেমীদের মনে ঘুরপাক খেলেও এগুলোর উত্তর দেওয়ার মানুষ বা মিডিয়ার সংখ্যা নেই বললেই চলে।
যদিও কয়েকটি ব্রান্ড ইতোমধ্যে ২০২৪ সালের সারপ্রাইজ হিসেবে ২৫০সিসি পর্যন্ত বাইক ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এসেছে এবং বাইকারদের মধ্যে উচ্চসিসির বাইক নিয়ে ব্যাপক রকমের উচ্ছ্বাসও দেখা যাচ্ছে।

এখানে একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে কিছুদিন আগে বেশ জোরেসোরে গুঞ্জন উঠেছিল যে বাংলাদেশে চলতি বছরেই ২৫০সিসির বাইক উৎপাদন এবং ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে এখন অনেকটাই বিশ্বস্ত সুত্র থেকে প্রাপ্ত খবর থেকে জানা যাচ্ছে যে জুন ২০২৪ সাল থেকে বাংলাদেশে ৩৫০সিসির বাইক বাজারে ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হবে এবং বলা চলে পুরো মোটরসাইকেল মার্কেট এটা নিয়ে বেশ নড়েচড়ে বসেছে কিন্তু আসলে প্রকৃত ঘঠনা এমনটা হলেও অদুর ভবিষ্যতে যে আরও উচ্চ সিসির বাইক বাংলাদেশে কখনই অনুমোদন পাবে না এমনটা জোর গলায় বলা বা লিখে দেওয়া যায় না।

গুঞ্জন যেহেতু শুরু হয়েছে ৩৫০সিসি বাইকের অনুমোদন পাওয়ার তাই ২০২৪ সালে আমরা এই ৩৫০সিসিকেই মানদন্ডে রেখে আজকে আমাদের সম্মানীত ভিজিটরদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরবো যে সত্যিই যদি কখনও ৩৫০সিসি পর্যন্ত বাইক বাংলাদেশে মোটরসাইকেলের বাজারে বিক্রির অনুমোদন পায় তাহলে কোন কোন বাইক বাংলাদেশের বাইক প্রেমীরা পেতে পারে।

আশা করছি আমাদের নিম্নের সংক্ষিপ্ত তালিকা এবং আলোচনা থেকে বাংলাদেশের আগামীর ইয়ামাহা বাইকসমুহের হালকা করে পরিচিতি পাবেনঃ

1-yamaha-mt-03-1705916592.webp
Yamaha MT 03
Yamaha MT-03 হল একটি 321cc প্যারালাল-টুইন নেকেড মোটরসাইকেল যা 2016 সালে প্রথম চালু করা হয়েছিল৷ এটি একটি লিকুইড-কুল, ফুয়েল-ইনজেক্টেড ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি যা 41.4 হর্সপাওয়ার এবং 29.6 পাউন্ড-ফুট টর্ক তৈরি করে৷ ইঞ্জিনটি ছয় স্পীড ট্রান্সমিশন এবং একটি স্লিপার ক্লাচের সাথে মিলিত।
MT-03 এর একটি সার্প, কৌণিক হেডলাইট এবং একটি মাসলড ফুয়েল ট্যাঙ্কসহ একটি দারুন নকশা দিয়ে তৈরি। এতে আপসাইড-ডাউন ফর্ক, পিছনের মনোশক এবং উভয় চাকায় ডিস্ক ব্রেক রয়েছে। বাইকটির ওজন 169 কেজি (373 পাউন্ড) এবং এর জ্বালানি ধারন ক্ষমতা 14 লিটার।
Yamaha MT-03 নতুন এবং অভিজ্ঞ রাইডার উভয়ের জন্যই একটি দুর্দান্ত বাইক। এটি রাইড করা সহজ এবং একটি দারুন পাওয়ারব্যান্ড দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে, এটি কীভাবে রাইড করতে হয় তা শেখার জন্য এটি একটি ভাল ম্যানুয়ালও সাথে দেওয়া হয়ে থাকে বিশেষত যারা এই বাইকের সাথে নতুন। যাইহোক, অভিজ্ঞ রাইডারদের বিনোদন দেওয়ার জন্য এটির যথেষ্ট শক্তি এবং পারফরম্যান্সও উল্লেখ্যযোগ্য।
Yamaha MT-03 সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য:
MT-03 মূলত 2013 সালের টোকিও মোটর শো-এর জন্য একটি কনসেপ্ট বাইক হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছিল পরবর্তীতে এটি জনসাধারণের দ্বারা এতটাই গৃহীত হয়েছিল যে ইয়ামাহা এটিকে উৎপাদনে রাখতে বাধ্য হয়।
MT-03 একটি প্যারালাল-টুইন ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি যা ইয়ামাহা R3 সুপারস্পোর্ট বাইক থেকে প্রাপ্ত। MT-03 এর ইঞ্জিনটি আরও কম-এন্ড টর্ক এবং মিড-রেঞ্জ পাওয়ারের জন্য টিউন করা হয়েছে, যা এটিকে শহরে রাইডিং এবং যাতায়াতের জন্য উপযুক্ত করে তোলে।
MT-03 তার ক্লাসের সবচেয়ে হালকা এবং অসাধারন মোটরসাইকেলগুলির মধ্যে একটি। এটির ওজন মাত্র 373 পাউন্ড (170 কেজি), যা এটির বাইডিং এবং কন্ট্রোল বেশ সহজ করে তোলে।

Yamaha MT-03 সম্পর্কে কিছু কম প্রচলিত তথ্য:
MT-03-এ একটি উল্টানো 37mm KYB ফর্ক রয়েছে, যা এই মোটরসাইকেলের এই দামের পরিসরে অস্বাভাবিক। এই ধরনের ফর্ক সাধারণত বেশি দামী বাইকে পাওয়া যায় এবং এটি MT-03 কে আরো স্থিতিশীল এবং প্রতিক্রিয়াশীল রাইড দিতে সহায়তা করে।
MT-03-এ একটি স্লিপার ক্লাচও রয়েছে, যা হার্ড ডাউনশিফটিং-এর সময় পিছনের চাকাটিকে লক করা থেকে আটকাতে সাহায্য করে। এটি একটি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যা প্রায়শই বেশি দামী মোটরসাইকেলে পাওয়া যায়, কিন্তু MT-03 এর দামের সীমার মধ্যে এটি একটি বাইকে পাওয়া বিরল।
MT-03 কাস্টমাইজযোগ্য। MT-03 এখন যে সকল দেশে এভেইলেবল সে সকল দেশের আফটারমার্কেট পার্টস পাওয়া যায়, তাই এটা আশা করাই যায় যে বাংলাদেশে এই বাইকটা আসলে আপনি সহজেই বাইকটিকে নিজের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী কাস্টমাইজ করতে পারেন।

সামগ্রিকভাবে, Yamaha MT-03 সমস্ত লেভেলের রাইডারদের জন্য একটি দুর্দান্ত মোটরসাইকেল। এটি লাইটওয়েট, চমৎকার, জ্বালানি সাশ্রয়ী, এবং ফিচারগুলির সাথে সুসজ্জিত যা আপনি সাধারণত আরও ব্যয়বহুল বাইকে পাবেন।

2-yamaha-r-3-1705916609.webp
Yamaha R 3
Yamaha YZF-R3 হল একটি 321cc (19.55 cu in) প্যারালাল-টুইন স্পোর্ট বাইক যা ইয়ামাহা 2015 সালে তৈরি করেছে। এটি YZF-R সিরিজের সবচেয়ে ছোট এবং সবচেয়ে সাশ্রয়ী মোটরসাইকেল। R3 একটি 321 সিসি লিকুইড-কুলড, 4-স্ট্রোক, 8-ভালভ, DOHC, 6-স্পিড ট্রান্সমিশন সহ 180-ডিগ্রি প্যারালাল-টুইন ইঞ্জিন দ্বারা চালিত। এটি 10,750 rpm-এ 42.0 PS (30.9 kW) শক্তি এবং 9,000 rpm-এ 29.6 Nm (21.9 lb-ft) টর্ক উৎপন্ন করে৷ R3 এ অ্যালুমিনিয়াম খাদ দিয়ে তৈরি একটি হালকা ওজনের চ্যাসিস রয়েছে। এটির একটি 1,380 মিমি (54.3 ইঞ্চি) হুইলবেস, একটি 24° রেক এবং 96 মিমি (3.8 ইঞ্চি) ট্রেইল রয়েছে। এটির ভেজা ওজন 167 কেজি (368 পাউন্ড)।

ইয়ামাহা YZF-R3 সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য:
YZF-R3 মূলত একটি রেস বাইক হিসাবে ডিজাইন করা হয়েছিল, কিন্তু এটি শেষ পর্যন্ত রাস্তার ব্যবহারের জন্য সমন্বয় করা হয়েছিল৷ এর মানে হল যে এটিতে অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সাধারণত রেস বাইকে পাওয়া যায়, যেমন একটি লাইটওয়েট ফ্রেম, স্লিপার ক্লাচ এবং ইনভার্টেড ফ্রন্ট ফর্ক৷
YZF-R3 এর আকারের জন্য একটি খুব উচ্চ রিভিং ইঞ্জিন রয়েছে। এটি 13,000 RPM এ রেডলাইন করতে পারে, যা এটির রাইডারকে স্পোর্টি বাইকের অনুভূতি দেয়।
YZF-R3ও খুব সাশ্রয়ী। এভেলেবল দেশগুলোতে $5,000 এর নিচে শুরু হয়, যা এটিকে অর্থের বিপরীতে দারুন মানের একটি বাইক হিসেবে যোগ্য করে তোলে।
YZF-R3 এছাড়াও খুব কাস্টমাইজযোগ্য। YZF-R3 যেসব দেশে এখন পাওয়া যায় সেখানে এর জন্য বিস্তৃত আফটারমার্কেট পার্টস পাওয়া যায়, তাই অদুর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এই বাইকটি এভেইলেবল হলে আপনি সহজেই আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী বাইকটিকে কাস্টমাইজ করতে পারেন বলে আশা করা যায়।

Yamaha YZF-R3 সম্পর্কে কিছু অতিরিক্ত তথ্য:

YZF-R3 এর একটি ছোট হুইলবেস রয়েছে, যা এটিকে চমৎকার এবং রাইডিং সহজ করে তোলে।
YZF-R3 এর আসনের উচ্চতা তুলনামূলকভাবে কম, যার কারনে সব আকারের রাইডারদের মাটিতে পৌঁছানো সহজ করে তোলে।
YZF-R3 এর একটি খুব আরামদায়ক রাইডিং পজিশন রয়েছে, এমনকি দীর্ঘ রাইডের জন্যও।
YZF-R3 এর একটি দারুন রেস্পনসিভ থ্রটল রয়েছে, যা বাইকের পাওয়ার কন্ট্রোল করা সহজ করে তোলে।
YZF-R3 এর একটি খুব ভাল এক্সজস্ট সাউন্ড রয়েছে, যা সামগ্রিক রাইডিং অভিজ্ঞতাকে অন্যরকম একটি মাত্রায় নিয়ে যায়।
সামগ্রিকভাবে, Yamaha YZF-R3 সমস্ত লেভেলের অভিজ্ঞ রাইডারদের জন্য একটি দুর্দান্ত মোটরসাইকেল৷ এটি হালকা ওজনের, দারুন রেস্পন্সিভ, জ্বালানি সাশ্রয়ী।

3-yamaha-x-max-1705916635.webp
Yamaha X Max
Yamaha XMAX হল একটি ম্যাক্সি-স্কুটার যা ইয়ামাহা 2006 সাল থেকে তৈরি করে আসছে। এটি চারটি ইঞ্জিন ডিসপ্লেসমেন্টে পাওয়া যায়: 125cc, 250cc, 300cc এবং 400cc XMAX ইউরোপ এবং এশিয়ায় জনপ্রিয়, তবে এটি এখনও ভারত বা ভারতীয় উপমহাদেশে এখনও এভাবে দেখা যায় না। XMAX একটি CVT ট্রান্সমিশন সহ একটি লিকুইড কুল, 4-স্ট্রোক, সিংগেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি। এতে একটি টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক এবং মনোশক রিয়ার সাসপেনশন রয়েছে। XMAX এর উভয় চাকায় ডিস্ক ব্রেক রয়েছে।
Yamaha XMAX একটি আরামদায়ক এবং সাধারন ব্যবহারের স্কুটার যা সাধারন যাতায়াত এবং ভ্রমণ উভয়ের জন্যই উপযুক্ত। এটিতে একটি বড় আন্ডারসিট স্টোরেজ স্পেস এবং একটি প্রশস্ত আসন দেওয়া হয়েছে। XMAX এছাড়াও এলইডি হেডলাইট, একটি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং ABS-এর মতো বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্যে দিয়ে সাজানো।
কিছু বিষয় যা Yamaha XMAX সম্পর্কে সবাই জানে না:
ইয়ামাহা XMAX মূলত ইউরোপীয় বাজারের জন্য ম্যাক্সি-স্কুটার হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছিল। কিন্তু এখন এটি সারা বিশ্বে দারুন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
XMAX একটি 292cc সিংগেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন দ্বারা চালিত যা 27.6 হর্সপাওয়ার এবং 17.2 পাউন্ড-ফুট টর্ক উত্পাদন করতে সক্ষম। এটি সিটি রাইডিং এবং হাইওয়ে ক্রুজিং উভয়ের জন্য XMAX কে প্রচুর শক্তি দেয়।
XMAX এর একটি খুব আরামদায়ক রাইডিং পজিশন রয়েছে, এর প্রশস্ত আসন এবং সোজা রাইডিং এবিলিটির জন্য রাইডার মহলে বেশ প্রশংসিত। এটিতে একটি বড় আন্ডারসিট স্টোরেজ স্পেস রয়েছে, যা সহজেই দুটি ফুল-ফেস হেলমেট রাখা যেতে পারে।
XMAX এভেইলেভল দেশগুলোতে যথেস্ট সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়। এটি $7,000 এর নীচে শুরু হয়, যা অর্থের বিপরীতে এর পারফরমেন্স অন্য একটি মাত্রায় নিয়ে যায়।

Yamaha XMAX সম্পর্কে কিছু অতিরিক্ত তথ্য:
XMAX-এর একটি ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম রয়েছে, যা পিছলা অবস্থায় পিছনের চাকাকে ঘুরতে বাধা দিতে সাহায্য করে।
XMAX-এ একটি ABS ব্রেকিং সিস্টেমও রয়েছে, যা হার্ড ব্রেকিংয়ের সময় চাকাগুলিকে লক করা থেকে আটকাতে সাহায্য করে।
XMAX-এর একটি কী-লেস ইগনিশন সিস্টেম রয়েছে, যার মানে হল যে আপনি ইগনিশনে চাবি প্রবেশ করানো ছাড়াই বাইকটি চালু করতে পারেন।
XMAX এর একটি উইন্ডশীল্ডও রয়েছে যা আপনার প্রয়োজন অনুসারে সামঞ্জস্য করা যেতে পারে।
XMAX এভেইলেবল দেশগুলোতে বিভিন্ন রঙে পাওয়া যায়, তাই আশা করা যায় বাংলাদেশে এই স্কুটারটি আসলে আপনি আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মেলে এমন একটি বেছে নিতে পারেন।
সামগ্রিকভাবে, Yamaha XMAX সমস্ত লেভেলের রাইডারদের জন্য একটি দুর্দান্ত ম্যাক্সি-স্কুটার। এটি আরামদায়ক, জ্বালানি সাশ্রয়ী, ফিচার অনুযায়ী যথেস্ট সাশ্রয়ী মূল্য এবং বৈশিষ্ট্যযুক্ত। এটি খুব স্টাইলিশ, যা রাইডারদের জন্য একটি দুর্দান্ত পছন্দ।

4-yamaha-fazer-25-1705916650.webp
Yamaha Fazer 25
ইয়ামাহার এই বাইকটি ২৫০সিসির ইঞ্জিনের তৈরি যা ফেজার ১৫০ এর আপডেট একটি মডেল আর ইয়ামাহা ফেজার ১৫০ নিয়ে যখন কথা উঠেছে তখন একটি কথা উল্লেখ না করলে অন্যায় হয়ে যাবে আর তা হলো বাংলাদেশে ১৫০সিসি সেগমেন্টে সর্বাধিক মাইলেজ প্রদানকারী বাইক হলো ইয়ামাহা ফেজার ১৫০। Yamaha Fazer 25 হলো ইয়ামাহা ফেজার সিরিজের অসাধারন একটি বাইক যা আমাদের দেখা ফেজার ১৫০ এর খুব কাছাকাছি মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে Yamaha Fazer 25 হলো ফেজার ১৫০ এর থেকে অনেকখানী উচু এবং মাসল্ড একটি বাইক যা সামনাসামনি দেখে প্রায় দানবীয় বলেই মনে হবে। Yamaha Fazer 25 বাইকটায় 249cc ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে যা সর্বোচ্চ শক্তি 20.30 bhp @ 8000 rpm এবং এর সর্বোচ্চ টর্ক 20.0N.m @ 6000rpm উৎপন্ন করে। Yamaha Fazer 25 মাইলেজ 40 KM প্রতি লিটার দিতে সক্ষম বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
Yamaha Fazer 25 সম্পর্কে কিছু সাধারন তথ্য:
Fazer 25 ভারতে 2020 সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তবে এটি এখনও ইন্দোনেশিয়ার বাজারে পাওয়া যায় তাই আশার কথা হলো বাংলাদেশে উচ্চ সিসির বাইক আমদানী শুরু হলে এই বাইকটাও দেখা যেতে পারে।
Fazer 25 হল তার ক্যাটেগরির সবচেয়ে হালকা ফুল-ফেয়ার মোটরসাইকেলগুলির মধ্যে একটি, যার ওজন মাত্র 145 কেজি (319 পাউন্ড)।
Fazer 25 এর একটি খুব আরামদায়ক রাইডিং পজিশন রয়েছে, এর প্রশস্ত আসন এবং উচু হ্যান্ডেলবারগুলির জন্য বেশিরভাগ রাইডার এই বাইকটির প্রশংসা করে থাকে।
Fazer 25 এর ক্যাটেগরি বিবেচনায় যথেস্ট জ্বালানি সাশ্রয়ী, গড় 40 কিমি/লি মাইলেজ দিতে সক্ষম।
Fazer 25 এমন অনেক বৈশিষ্ট্য দিয়ে তৈরি যা সাধারণত মোটরসাইকেলে এই দামের পরিসরে পাওয়া যায় না, যেমন একটি মনোশক রিয়ার সাসপেনশন, এলইডি হেডলাইট এবং একটি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার।
Yamaha Fazer 25 সম্পর্কে কিছু অতিরিক্ত তথ্য:
Fazer 25 একটি সিংগেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন দ্বারা চালিত যা ইয়ামাহা FZ25 থেকে প্রাপ্ত। যাইহোক, Fazer 25 এর ইঞ্জিনটি আরও কম-এন্ড টর্ক এবং মিড-রেঞ্জ পাওয়ারের জন্য টিউন করা হয়েছে, যা এটিকে শহরে রাইডিং এবং যাতায়াতের জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলেছে।
Fazer 25-এ একটি স্লিপার ক্লাচ রয়েছে, যা হার্ড ডাউনশিফটিং-এর সময় পিছনের চাকাটিকে লক করা থেকে আটকাতে সাহায্য করে। এটি একটি নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যা প্রায়শই বেশি দামী মোটরসাইকেলে পাওয়া যায়, কিন্তু Fazer 25 এর দামের রেঞ্জে এমন একটি বাইক পাওয়া বিরল।
Fazer 25 এর একটি খুব ভাল এক্সহস্ট সাউন্ড রয়েছে, যা সামগ্রিক রাইডিং অভিজ্ঞতাকে একটি আলাদা মাত্রা দিবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

5-yamaha-fz-25-1705916668.webp
Yamaha FZ 25
১৫০সিসি সেগমেন্টে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এবং সর্বাধিক বিক্রিত বাইকের মধ্যে অন্যতম একটি বাইক হলো Yamaha FZS 150 আর আমাদের আলোচনায় বর্তমান যে বাইকটি তা হলো Yamaha FZ 25 এবং এই বাইকটি হলো Yamaha FZS 150 এর আপডেট যা ২৫০সিসি সেগমেন্টে ইয়ামাহার অন্যতম সেরা একটি বাইক। বাংলাদেশের কখনও যদি ২৫০সিসির বাইক অনুমোদন হয় তাহলে Yamaha FZ 25 বাইকটা থাকবে ফেভারিট লিস্টে। আমাদের প্রতিনিয়ত দেখা FZS 150 এর থেকে Yamaha FZ 25 বাইকটা যেমন ইঞ্জিনের দিক দিয়ে শক্তিশালী একইসাথে ইঞ্জিনের শক্তির সাথে সমন্বয় করার জন্যে একদিকে যেমন এর ওজন বৃদ্ধি করা হয়েছে সেইসাথে অসম্ভব সুন্দর এগ্রেসিভ একটা লুক দেওয়া হয়েছে। Yamaha FZ 25 বাইকটাতে 249cc ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে যা সর্বোচ্চ শক্তি 20.8PS@8000rpm এবং এর সর্বোচ্চ টর্ক হল 20.1Nm@6000rpm। ইয়ামাহা এফজেড 25 চলতি পথে 40 কিমি প্রতি লিটার মাইলেজ দিতে সক্ষম বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
Yamaha FZ 25 সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপুর্ন তথ্য:
FZ 25 মূলত 2015 টোকিও মোটর শো-এর জন্য একটি কনসেপ্ট বাইক হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে এটি জনসাধারণের দ্বারা এতটাই গৃহীত হয়েছিল যে ইয়ামাহা এটিকে উৎপাদনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
FZ 25 একটি সিংগেল-সিলিন্ডার ইঞ্জিন দিয়ে তৈরি যা ইয়ামাহা R3 সুপারস্পোর্ট বাইক থেকে প্রাপ্ত। কিন্তু FZ 25 এর ইঞ্জিনটি আরও কম-এন্ড টর্ক এবং মিড-রেঞ্জ পাওয়ারের জন্য টিউন করা হয়েছে, যা এটিকে শহরে রাইডিং এবং যেকোন স্থানে যাতায়াতের জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলেছে।
FZ 25 এর একটি খুব হালকা এবং অসাধারন মানের ফ্রেম রয়েছে। এটির ওজন মাত্র 150 কেজি (331 পাউন্ড), যা রাইডিং এবং কন্ট্রোল করা সহজ করে তোলে।
FZ 25 এর চওড়া আসন এবং উচু হ্যান্ডেলবারসহ একটি খুব আরামদায়ক রাইডিং পজিশন রয়েছে।
FZ 25 বাইকটি ২৫০সিসির বাইক হিসেবে যথেস্ট জ্বালানী সাশ্রয়ী, কোম্পানী আশা করে যে সাধারন পর্যায়ের ব্যবহারকারীরা ৪০ কিলোমিটার প্রতি লিটার বা এর আশেপাশে মাইলেজ পাবে।

Yamaha FZ 25 সম্পর্কে কিছু অতিরিক্ত তথ্য:
FZ 25-এ একটি মনোশক রিয়ার সাসপেনশন রয়েছে, যা এই মোটরসাইকেলের দামের রেঞ্জে অস্বাভাবিক। এই ধরনের সাসপেনশন সাধারণত বেশি দামী বাইকে পাওয়া যায় এবং এটি FZ 25 কে আরও স্টেবল এবং রেসপন্সিভ রাইড দেয়।
FZ 25-এ একটি স্লিপার ক্লাচও রয়েছে, যা হার্ড ডাউনশিফটিং-এর সময় পিছনের চাকাটিকে লক করা থেকে আটকাতে সাহায্য করে। এটি একটি সেফটি ফিচার যা প্রায়শই বেশি দামী মোটরসাইকেলে পাওয়া যায়, কিন্তু FZ 25-এর দামের রেঞ্জের মধ্যে এটি এই বাইকে পাওয়া বিরল।
FZ 25 এর একটি খুব ভাল এক্সহস্ট সাউন্ড রয়েছে, যা সামগ্রিক রাইডিং অভিজ্ঞতাকে নতুন একটি অনুভুতি দেয়।
সামগ্রিকভাবে, Yamaha FZ 25 সব ধরনের রাইডারদের জন্য একটি দুর্দান্ত মোটরসাইকেল। এটি হালকা ওজনের, দারুন রেসপন্সিভ, জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মুল্যের দিক দিয়েও অন্যান্য বাইকের থেকে সাশ্রয়ী। যথেষ্ট আরামদায়ক এবং এতে বেশ কয়েকটি ফিচার রয়েছে যা সাধারণত এই ক্যাটেগরির মোটরসাইকেলে এই দামের রেঞ্জে পাওয়া যায় না।

6-yamaha-v-star-250-1705916684.webp
Yamaha V Star 250
Yamaha V Star 250 হলো ইয়ামাহার একটি তুলনামুলক কম ওজনের ক্রুজার মোটরসাইকেল। এই বাইকটি তার ক্লাসিক স্টাইলিং এবং নতুন ক্রুজার রাইডারের জন্য বাইরের দেশে বেশি পরিচিত, এটি এন্ট্রি-লেভেল রাইডার এবং যারা একটি ছোট, সহজে রাইডযোগ্য বাইক চাইছেন তাদের জন্য এটি অন্যান্য দেশে বেশ জনপ্রিয়। V Star 250 একটি 249cc এয়ার-কুলড, 60-ডিগ্রি V-টুইন ইঞ্জিন দিয়ে সাজানো হয়েছে। এটি স্মুদ পাওয়ার ডেলিভারি এবং সহজে রাইডে দারুন পারফরম্যান্স প্রদানের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, এটি নতুন রাইডারদের জন্য উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে যা বাংলাদেশে নতুন ২৫০সিসি বাইক চালকদের জন্যে উপযোগী হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ভি স্টার 250 বাইকটি ক্লাসিক ক্রুজার ডিজাইন দিয়ে তৈরি, যেখানে একটি লো-স্লাং প্রোফাইল, টিয়ারড্রপ-আকৃতির ফুয়েল ট্যাঙ্ক, সুইপ্ট-ব্যাক হ্যান্ডেলবার এবং একটি আরামদায়ক সিটিং পজিশন এবং এটির ক্ল্যাসিক চেহারার জন্য ক্রোম অ্যাকসেন্ট এবং স্পোকড চাকা দিয়ে ফিনিশিং দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে যদি কখনও ২৫০সিসি পর্যন্ত বাইকের অনুমতি দেওয়া হয় তাহলে আমরা আশা করতে পারি যে ক্ল্যাসিক লুক বিবেচনায় Yamaha V Star 250 বাইকটা ইয়ামাহার তালিকায় শীর্ষেই থাকবে কারন ক্রুজার বাইক প্রেমীদের আলাদা একটা কমিউনিটি বাংলাদেশে রয়েছে।
Yamaha V Star 250 সম্পর্কে আকর্ষণীয় কিছু তথ্য:
এটি তার ক্লাসের একমাত্র ভি-টুইন মোটরসাইকেলগুলির মধ্যে একটি। এটি বাইকটিকে একটি ইউনিক সাউন্ড এবং ফিল দেয়।
এটির অবিশ্বাস্য মাইলেজ রেঞ্জ, ধারনা করা হচ্ছে বাংলাদেশের পথে এই বাইকটি ৩৫ কিলোমিটার প্রতি মাইলেজ দিতে পারবে।
এটি খুব হালকা এবং চালানো সহজ, এটি নতুন রাইডারদের জন্য একটি দুর্দান্ত হতে পারে।

Yamaha V Star 250 সম্পর্কে কিছু অতিরিক্ত তথ্য:
এটির সিটিং পজিশনের উচ্চতা কম, যা সব আকারের রাইডারদের মাটিতে পৌঁছানো সহজ করে তোলে।
এটি একটি আরামদায়ক রাইডিং পজিশন রয়েছে, এর প্রশস্ত আসন এবং উচু হ্যান্ডেলবারগুলির জন্য রাইডার মহলে বিশেষভাবে পরিচিত।
এটিতে একটি ক্লাসিক ক্রুজার লুক রয়েছে, ক্রোম অ্যাকসেন্ট এবং ডুয়াল এক্সস্ট সিস্টেম সহ।
এটা নির্ভরযোগ্য এবং সামান্য রক্ষণাবেক্ষণ দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়।
বাইরের দেশে এটি কাস্টমাইজযোগ্য, কারন সেখানকার বিস্তৃত আফটারমার্কেট এই বাইকের যাবতীয় পার্টস খুব সহজেই পাওয়া যায়।
সামগ্রিকভাবে, Yamaha V Star 250 সমস্ত অভিজ্ঞতার স্তরের রাইডারদের জন্য একটি দুর্দান্ত মোটরসাইকেল। এটি জ্বালানী সাশ্রয়ী, রাইড করা সহজ এবং কাস্টমাইজযোগ্য। এটির অনন্য ভি-টুইন ইঞ্জিন এবং ক্লাসিক ক্রুজার স্টাইলিং এর অনেক মজার।
সামগ্রিকভাবে মোটরসাইকেলের আসন্ন বাজার এবং সরকারের সাম্প্রতিক বিবৃত বিবেচনায় নিয়ে খুব সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশে খুব তাড়াতাড়ি উচ্চসিসির বাইক দেখা যাবে এবং তা দেখা যাবে সমুহ সম্ভাবনা আছে ২০২৪ সালের মধ্যেই কমবেশি প্রতিটা বাইক ব্রান্ড তাদের উচ্চসিসির বাইকগুলি বাংলাদেশের বাজারে হাজির করবে।
বাংলাদেশে অন্যতম সেরা জাপানীজ ব্রান্ড হিসেবে ইয়ামাহা অন্যান্য ব্রান্ডের থেকে একটু হলেও ভিন্নধর্মী এবং আকর্ষনীয় কিছু উচ্চসিসির বাইক নিয়ে হাজির হবে সাধারন বাইক প্রেমি হিসেবে এটাই আমরা আশা করছি। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো যেখানে সিসি লিমিট নিয়ে কোন প্রশ্ন নাই সেখানকার বাইকের তালিকা বিবেচনায় রেখে আমরা চেষ্টা করেছি ইয়ামাহার ২০২৪ সালে সম্ভাব্য আসন্ন বাইকসমুহ আমাদের সম্মানীত ভিজিটরদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরার।

Bike News

Yamaha Bike Price in Bangladesh April 2024
2024-04-24

With its bike design and constant introduction of new features, Yamaha has won the hearts of bikers, and over the past few yea...

English Bangla
Good News for Yamaha users
2024-04-22

Yamaha has always been different from any other motorcycle brand in Bangladesh when it comes to customer service. From basic c...

English Bangla
Bajaj brings Eid happiness even after Eid
2024-04-22

The popular brand Bajaj, which has been successfully supplying bikes in the Bangladeshi market for many years, has extended their ...

English Bangla
Yamaha Bangla New Years Jhorho offer is going on
2024-04-22

Yamaha is always with the festive spirit, celebrating the thousand years of Bengali tradition, Yamaha is offering attractive d...

English Bangla
Yamaha brings the Saluto dream fulfillment offer!
2024-04-20

The popular brand Yamaha brings the Saluto bike with a scratch card offer. Through this offer, when you purchase a Yamaha Salu...

English Bangla
Filter