বর্তমানে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মোটরসাইকেল রাইডাদের কাছে মাইলেজ একটি গুরুত্বপুর্ন অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন বেশীরভাগ মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীরা তাদের প্রিয় বাইকটির মাইলেজ যেন বেশি হয় এবং অযথা রাইড যেন কম হয় সেজন্য তারা সতর্কতার সহিত বাইক ব্যবহার করছেন। প্রায় ১ মাসের মধ্যেই জ্বালানী তেল ব্যবহারে বাইকপ্রেমিদের মাঝে বেশ সচেতনতা লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের বাজারে সিসি লিমিট ১৬৫ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ হওয়ার কারণে কমিউটার বাইকগুলোর চাহিদা অনেকটাই বেশি। বিশেষ করে ১১০ থেকে শুরু করে ১২৫ সিসি বাইকের চাহিদা অনেক দেখা যায়। আজকে আমরা টিম মোটরসাইকেল ভ্যালী আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি বাংলাদেশের শহরের রাস্তার জন্য কম তেলে বেশি মাইলেজ সমৃদ্ধ বাইক নিয়ে। তাহলে চলুন দেখে নিই কম তেলে বেশি চলা কমিউটার বাইকগুলো।
কম তেলে বেশি চলা বাজাজের কমিউটার বাইকগুলো:
বাজাজ অটো লিমিটেড হচ্ছে ভারতীয় দুই- এবং তিন চাকার গাড়ি প্রস্তুতকারক একটি কোম্পানী । এই কোম্পানি মোটরসাইকেল, স্কুটার এবং অটোরিকশা তৈরি করে। এটি ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম মোটরসাইকেল প্রস্তুতকারক এবং বিশ্বের বৃহত্তম থ্রি-হুইলার প্রস্তুতকারক। ভাল পারফরম্যান্স, সহনীয় মূল্য এবং স্টাইলিশ ডিজাইনের কারণে, এই কোম্পানির বাংলাদেশী বাইকারদের মধ্যে একটি বড় অনুসারী রয়েছে। Discover 125 বাইকটি তাদের একটি চমৎকার দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশের সকল আর্থ-সামাজিক শ্রেণীর মানুষ এই ব্র্যান্ডকে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের মোটরসাইকেল লোকাল মার্কেটে এটির সবচেয়ে বেশি শোরুম রয়েছে৷ ফলস্বরূপ, তাদের সেবার মান এবং সার্ভিস বেশ এগিয়ে । উত্তরা মোটরস লিমিটেড (ইউএমএল) আমাদের দেশে এই ভারতীয় প্রস্তুতকারী জায়ান্টের অফিসিয়াল সরবরাহকারী। তাদের বহরে বেশ কিছু বাইক আছে যেগুলো গ্রাহকদের ভালো মাইলেজ সরবরাহ করতে সক্ষম । সেগুলো হল –
কম তেলে বেশি চলা ইয়ামাহার কমিউটার বাইকগুলো:
দেশের বাজারে ইয়ামাহা বাইকের অনেক চাহিদা রয়েছে। ইয়ামাহা সর্বদা চেষ্টা করে একজন রাইডারকে পরিপুর্ন রাইডিং অনুভুতি প্রদান করার এবং সে জন্যই তারা এফআই, এবিএস, ব্লু কোর এর মত অত্যাধুনিক সব ফিচারস তাদের বাইকের সাথে নিয়ে এসেছে। ১২৫ সিসি সেগমেন্ট থেকে শুরু করে ১৫৫ সিসি পর্যন্ত তাদের বহরে অনেকগুলো বাইক রয়েছে। এসকল বাইকের মধ্যে কমিউটার সেগমেন্টের কিছু বাইক আছে যেগুলো বাংলাদেশের শহরের রাস্তায় ভালো মাইলেজ দিতে সক্ষম। নিম্নে সে সকল বাইকের দাম উল্লেখ করা হল।
কম তেলে বেশি চলা হিরোর কমিউটার বাইকগুলো:
এই ব্র্যান্ডটি দেশের বাজারে অনেক আগে থেকে তাদের বাইকগুলো সরবরাহ করে আসছে। ১০০ সিসি থেকে শুরু করে গ্রাহকদের চাহিদা ভেদে তাদের ১৬০ সিসি পর্যন্ত বাজারে বাইক রয়েছে যেগুলোর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। বাংলাদেশে নিলয় মটরস লিমিটেড হচ্ছে হিরোর একমাত্র পরিবেশক যারা সহনীয় দামের মধ্যে সুন্দর সুন্দর ফিচারস দিয়ে বাইক বাজারে নিয়ে আসছে।
কম তেলে বেশি চলা হোন্ডার কমিউটার বাইকগুলো:
হোন্ডা মোটর কোম্পানি লিমিটেড একটি জাপানিজ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি যেটি অটোমোবাইল, মোটরসাইকেল এবং পাওয়ার ইকুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচার করে। এর সদর দপ্তর জাপানের টোকিওতে অবস্থিত।১৯৫৯ সাল থেকে এই কোম্পানিটি বিশ্বের বৃহত্তম মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারার। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী এই কোম্পানি ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি ইউনিট সেল করে। বাংলাদেশেও হোন্ডার মোটরসাইকেলগুলোর ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে।এর আকর্ষণীয় ডিজাইন,হাই পারফরম্যান্স এর কারণে CB Hornet এবং X Blade এর মতো বাইকগুলো এদেশের বাজারে ভালো অবস্থান দখল করে রেখেছে। নিম্নে হোন্ডার ভালো মাইলেজ সমৃদ্ধ কিছু বাইক দেওয়া হল।
কম তেলে বেশি চলা রানারের কমিউটার বাইকগুলো:
রানার একটি স্বদেশী মোটরসাইকেল হিসেবে দেশের বাজারে অনেক ভালো অবদান রেখে চলেছে। সহনীয় দামের মধ্যে সুন্দর সুন্দর ফিচারস সমৃদ্ধ বাইক বাংলাদেশের বাজারে সরবরাহ করছে। আজকে আমরা টিম মোটরসাইকেল ভ্যালী আপনাদের সাথে তুলে ধরবো দেশের বাজারে বিদ্যমান রানার এর মোটরসাইকেলগুলো নিয়ে। তাহলে চলুন বেশি মাইলেজ সমৃদ্ধ রানার এর বাইকগুলো দেখে নিই ।
কম তেলে বেশি চলা সুজুকির কমিউটার বাইকগুলো:
দেশের বাজারে সুজুকি বাইকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সুজুকি নিত্য নতুন ডিজাইন বাইক তৈরি ও সরবরাহ করতে বেশ পারদর্শী। বাংলাদেশের বাজারে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি দিয়ে গ্রাহকদের জন্য সুজুকি বেশ কিছু বাইক নিয়ে এসেছে। ১১০ সিসি থেকে শুরু করে ১৫৫ সিসি পর্যন্ত তাদের বহরে বেশ কিছু বাইক রয়েছে। এদের মধ্যে যে সকল কমিউটার বাইকগুলো বাংলাদেশের রাস্তায় ভালো মাইলেজ সেগুলো নিম্নে দেওয়া হল ।
কম তেলে বেশি চলা TVS এর বাইকসমুহ:
Racing DNA এর জন্য পরিচিত একটি ইন্ডিয়ান মোটরসাইকেল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি টিভিএস এর ব্যাপক চাহিদা বাংলাদেশের বাজারে লক্ষ্য করা যায়। কমিউটার সেগমেন্টে তাদের যে সকল বাইক আছে সেগুলো মার্কেটে খুব ভালো সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছে এবং গ্রাহকেরা সেগুলো সাদরে গ্রহন করছে। নিম্নে তাদের কিছু কমিউটার বাইক উল্লেখ করা হল যেগুলো ভালো মাইলেজ দিতে সক্ষম।
উপরিউক্ত বিষয়বস্তুতে আমরা উল্লেখ করেছি বাংলাদেশের বাজারে বিদ্যমান কমিউটার বাইকগুলো যেগুলো ভালো মাইলেজ দিতে সক্ষম। এর মধ্যে আমরা ১৫০ সিসির বাইকগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছি কারণ সেগুলো বেশি সিসি হলেও দেশের রাস্তায় ভালো মাইলেজ দিতে সক্ষম এবং কমিউটার ক্যাটাগরির মধ্যে সেগুলো পড়ে। আমাদের মোটরসাইকেল ভ্যালীতে যে সকল সম্মানিত গ্রাহকেরা তাদের বাইক থেকে কেমন মাইলেজ পাচ্ছেন সেগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। আশা করি আপনারা যারা শহরে চলাচলের জন্য ভালো মাইলজে সমৃদ্ধ একটি কমিউটার বাইক খুঁজছেন তারা এখান থেকে আপনার পছন্দের বাইকটি দেখতে পারেন।
Generally, e-bikes and electric motorcycles use lead-acid, lithium-ion, and nickel-metal hydride batteries. However, alongside...
English BanglaYamaha is a motorcycle brand in Bangladesh whose reputation and recognition are equally known by all levels of bikers in Ban...
English BanglaSince the approval of Higher CC bikes in the Bangladesh market, new brands and models have started coming to Bangladesh one af...
English BanglaTo give bike lovers in Bangladesh a taste of different bikes in higher cc, Hyosung Bangladesh has launch a few completely diff...
English BanglaIndia’s iconic motorcycle manufacturer, Royal Enfield, is set to enter the 250cc segment for the first time. However, the mo...
English Bangla