শুরুতেই ধন্যবাদ দিব মোটরসাইলেকভ্যালীকে, আমাকে আবারো একটা গল্প শেয়ার করার সুযোগ করে দেবার জন্য। এর আগে আমি আমার লিফানের কেপিআর ১৬৫ বাইকের ৩৫০০ কিলোমিটার রাইডিং এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করেছিলাম, আজ বলতে চলেছি আমার ঢাকা টু সাজেকর গল্প।
অনেকটা সময় ধরে বাইকের সাথে সময় পার করা, টুর দিতে ভালই লাগে। হাই সিসি বাইক না থাকায় অনেকদিনের সাজেক টুর আটকে ছিল বেশ অনেকটা দিন। ছোটখাট টুর মাঝে মধ্যেই হত, তবে এতদূরের পথে অভিজ্ঞ রাইডাররা বলতেন ছোট বাইকে না যাওয়াই ভাল। তাই অনেকদিন অপেক্ষার পর অবশেষে ২ মাস আগে সম্পন্ন হয় আমার ঢাকা টু সাজেক বাইক রাইড। গত আগস্ট (২০২১) মাসে আমি আর আমার বন্ধু ইস্তিয়াক ২ দিনের জন্য চলে যায় বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সাজেক, সাথে ছিল আমার লিফান কেপিআর ১৬৫। চলুন কবে, কিভাবে, কয়দিন এবং কেমন ছিল আমার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করে ফেলি।
প্যাকিংঃ
২/৩ দিনের সফর দিব, একারনে খুবই লাইট প্যাকিং ছিল আমাদের। এক্সাইটমেন্ট ছিল অনেক বেশি, এতদিন যেতে দেখিছি এবার আমার পালা। তাই খুব বেশি প্যাকিং করি নাই, যেহেতু পিলিয়ন রাইড এই কারনে, প্রয়োজনীয় পানি, জিনিসপত্র এবং কাপড় ছাড়া তেমন কিছুই নেয়া হয়নি। যতটা হালকা থাকা যায়। সোলো রাইড হলে আলাদাভাবে ভাবতাম।
বাইক চেকিংঃ
পুরো বাইকের সার্ভিসিং করে নিয়েছিলাম আগেই, যদিও বাইক নতুন থাকায় তেমন কিছু করতে হয়নি। টায়ার প্রেসার, প্লাগ, নাট, চেইন চেকিং ইত্যাদি।
সেইফটিঃ
আমারা কেউ রেগুলার ট্রাভেলার বা প্রফেশনাল না, এই কারনে তেমন সেইফটি গিয়ার ছিল না। কিন্তু যাইহোক, সেফটি ফার্স্ট। একারনে, আমারা মোটা জিন্স এবং তার ভেতরে মোটা নিগার্ডগুলো পরে নিয়েছিলাম। জুতা ছিল ভাল মানের এবং গ্লাভস। দুইজনই হেলমেট ব্যাবহার করেছি পুরো জার্নিতে।
এবার যাত্রার শুরু।
প্রথম দিনঃ
বেশ অনেকটা দিন প্ল্যানিং প্লটিং করার পর আমার বন্ধু ইস্তিয়াক এবং আমার সময় মিলিয়ে ঠিক হল আমাদের যাত্রার দিন। সকাল ৬ টায় আল্লাহর নাম নিয়ে বেরিয়ে পড়ি গুলসান-১ থেকে। ফুল ট্যঙ্কার তেল তুলে নেই প্রায় ১৬ লিটার, আমি এমনিতেই ফুল ট্যাঙ্ক করে রাখি। আমাদের যাবতীয় কাজ শেষে সকাল ৭ টার দিকে আমরা সাজেকের উদ্দ্যেশ্য নিয়ে ঢাকা থেকে বেরিয়ে যায়। প্ল্যান ছিল যার যখন ভাল লাগবে সেই চালাবে, শুরু করলাম আমি। আগে থেকেই মাথায় ছিল নো-রাশ রাইডিং এবং তেমন একটা সময় নির্ধারন করে যাব না। তাই মোটামোটি স্পিডে প্রায় ১২০ কিলমিটার রাস্তা পেরিয়ে পৌছে গেলাম কুমিল্লা। ৯.৩০ এর দিকে। কিছু সময় ব্রেক নিয়ে রাইডার চেঞ্জ করে যাত্রা শুরু করলাম আবার বড়াইহাট বাজার পর্যন্ত, সেখান থেকেই যেতে হবে খাগড়াছড়ি। ৮০ কিলোমিটার রাস্তা, সময় লাগলো প্রায় ১.৫ ঘন্টা।
বড়াইহাট বাজার থেকে ২/৩ কিলোমিটার বা খুব বেশি হলে ৫ কিলোমিটার সামনে গেলেই কবেরহাট বাজার এবং সেখান থেকে হাতের ডান পাশ দিয়ে চলে যায় খাগড়াছড়ির রাস্তা যা আমাদের নিয়ে যাবে সাজেক। তবে আমারা সেই কবেরহাট যাবার একটু আগ দিয়ে রাস্তা ভুলে সোজা চলে যায় ১০ কিলোমিটার মতন। কিছুক্ষন পর পর দেখি সব ফেনি ফেনি করে ডাকাডাকি করে, রোড মার্কিংগুলোতেও দেখি ফেনি সামনে। ইস্তিয়াককে বললাম কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। আবার ম্যাপ দেখে বাইক থামিয়ে পেছনে ফিরে এলাম এবং সঠিক রাস্তায় খাগড়াছড়ির পথ ধরলাম। মনে রাখবেন বড়াইহাট থেকে কবেরহাট এই ৪/৫ কিলোমিটার রাস্তা খুবই বাজে।
আচ্ছা খাগড়াছড়ি দুইভাবে যেতে পারেন জালিয়াপাড়া হয়ে রাস্তা প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। অন্য আরেকটা হচ্ছে, নতুন মহালছড়ি হয়ে খাগড়াছড়ি প্রায় ৫০ কিলোমিটার। আমার নতুন মহালছড়ি হয়ে খাগড়াছড়ি যাব ভেবে নেই, তার কারন রাস্তার অবস্থা মোটামোটি ভাল এবং প্রাকৃতিক সুন্দর্য মাশাআল্লাহ। বেশ কয়েকবার দাঁড়িয়ে ছবি তোলা, প্রকৃতি উপভোগ করতে করতে নতুন মহালছড়ি হয়ে খাগড়াছড়ি।
আগে থেকেই প্ল্যান ছিল খাগড়াছড়ি থাকার, সেই প্ল্যান মোতাবেক আস্তে ধিরেই রাইড করে। কারন আপনি যদি একদিনে সাজেক যেতে চান তাহলে আপনাকে আপনার সেইফটির জন্য হলেও ২টা সময় মেইনটেইন করতে হবে। আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে আর্মি স্কোয়াড আপনাকে গাইড এবং প্রটেকশন দিয়ে সাজেক নিয়ে যায়, তার কারন পাহাড়ি রাস্তায় অনেক সময় ফাকা পেলে এবং একা পেলে স্থানীয়রা আপনার উপর হামলা করতে পারে। বাইক বা গাড়ি নিবে না কিন্তু টাকা, ফোন এগুলোই। একারনে সাজেক যাবার সময় আর্মি সকাল ১০ টায় একবার এবং বিকাল ৩ টায় একবার স্কোয়াড সহ আমাদের পৌছে দেয় সাজেকের চূড়ায়।
যাইহোক আমরা প্রায় ৪ টার পরপরই পৌছে গেছিলাম খাগড়াছড়ি, অনেকবার থেমেছি, সাথে ছিল বৃষ্টি এই কারনে এত দেরি। আসলে এতটা সময় লাগে না। আপনি চাইলেই ৩ টার আগে গিয়ে আর্মি স্কোয়াড ধরতে পারবেন। একটা হোটেলে উঠে পড়লাম। বাইক রাখার খুব ভাল ব্যাবস্থা মোটামোটি সব হোটেলেই আছে। বেশ কিছু উন্নত মানের হোটেল খাগড়াছড়িতে আপনি পেয়ে যাবেন, এবং পর্যটন এলাকা হবার কারনে সেইফটিও আছে। পাহাড়ি এলাকার মানুষের মন নাকি অনেক বড় হয়, এই কথার প্রমান এই যাত্রায় পেয়ে গেলাম। খাগড়াছড়িতে সকলের ব্যাবহার অনেক আন্ত্রিক, খাবের মান ভাল, দামেও কোনকিছুই তেমন বেশি না এবং রাতে ফুল সেফ। আমরা অনেকটা সময় বাইক নিয়ে ঘুরাঘুরি করে শহরটা দেখলাম এবং প্রায় ১১ টার পর চলে এলাম হোটেলে। অনেকের সাথে দেখা হল, বৃষ্টি ছিল অনেক আড্ডা, ঘুরাঘুরি শেষে এবার রাত পার হবার অপেক্ষা।
দ্বিতীয় দিনঃ
সারা রাত অনেকটা এক্সাইটমেন্ট নিয়ে, অনেকে বলেছিল খাড়া রাস্তা সাবধান, ডাবল ব্রেক করিস না ভাই, বাইক কিন্তু ১/২ গিয়ার সবসময় এসব কথা ভাবতে ভাবতে কিছু সময় ঘুমিয়ে সকাল হল এবং আমরা চলে গেলাম সকাল ১০ টার মধ্যে দিঘীনালা, বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্প। বলতে পারেন এটা সাজেক যাবার বর্ডার। এখান থেকেই আর্মি আমাদের নিয়ে যায় সাজেক। ১০ টায় শুরু হয়ে গেল যাত্রা। প্রথমে বাইকগুলোকে লাইনআপ করে আমাদের সবাইকে ছেড়ে দিল। মনে ফাইনালি সাজেক! প্রথমে ইস্তিয়াক চালাচ্ছিল, আমিও বসে বসে মজা নিচ্ছিলাম, অনেককেই দেখলাম নিজে নিজেই চালিয়ে যাচ্ছে, আমিও তখন ভাবলাম আমি তাহলে কেন বাদ থাকি। বেশকিছু লিফানও ছিল।
সামনে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম, আকাবাকা, কোথাও একদম খাড়া রাস্তা, কোথাও জঙ্গল আবার কোথাও বামে তাকালে একদম খাদ। সোজা রাস্তাও ছিল, যেখানে বেশকিছু অভারটেক করলাম ইচ্ছা করেই। ফাকাফাকা যাব এই কারনে। অন্যপাশ থেকেও গাড়ি আসে এবং রাস্তা ২ মুখি হিসেবে বেশ ছোট। পালসার, আর টি আর, ফেজার সবাইকে পেরিয়ে বেশ অনেকটা সময় আমরা দুই বন্ধু। হঠাৎ একটা লিফান অভারটেক করে চলে গেল, লিফান লিফান ভাই ভাই তাই কিছু আর বলি নাই, যা ভাই।
আর্মি ক্যাম্প থেকে সাজেকের রুইলুই গ্রাম, অর্থাৎ চূড়ায় পৌছাতে সময় লাগে ১ ঘন্টা মত। তবে সবথেকে বেশি ভয় এবং কষ্ট হয় যখন অন্যদিক থেকে বেশি গাড়ি আসে। আমি বলব সবাই বাম পাশ হয়ে চালাবেন, আমিও তাই করেছি, কর্নারিংগুলোতে সুবিধা পাবেন। বেশ উপভোগ করতে করতে লাস্ট কর্নারিং, যেখানে লেখা সাজেক ৩ কিলোমিটার দেখতে পেলাম, বেশ ভাল লাগছিল, কিন্তু রাস্তাটা ঘুরা মাত্র আমার মাথায় হাত! পুরো খাড়া একটা রাস্তা, ৯০ ডিগ্রি না হলেও ৫০/৬০ ডিগ্রি হবেই। বাইকে একেতো পিলিয়ন, ব্যাগ এবং খাড়া রাস্তা। দুটি ব্রেক ধরেই চালাতে হবে নাহলে বালান্স হবেনা। এই ৩ কিলো রাস্তায় ছিল অনেকবড় চ্যালেঞ্জ। ব্রেক ছাড়লে আমার বাইক পেছনে চলে যায়, কি যে করি। বাইকের পাওয়ার রেসপন্স ভাল দেখে আস্তে আস্তে উঠতে থাকি, কিন্তু একটা সময় না পেরে আমার ফ্রেন্ডকে বললাম তুই নাম কিছুটা পথ আছে, চূড়া দেখা যাচ্ছে একটু হেটে যা, আমি ভয়ে ছিলাম সে যদি পড়ে যায়। কিন্তু কিছু হয়নি অ নেমে বাইকের সাথে সাথে উঠে যাই। অবশেষে ১/২/৩ গিয়ার করতে করতে উঠে পড়ি সাজেক।
অনেক হোটেল এবং রিসোর্ট। আগে থেকে বুকিং করে যেতে পারেন, না করলেও হবে। তবে পিক সিজনে গেলে বুকিং করে যাবেন। সাজাকে ১ রাত্রি খুব বেশ হলে ২ রাত্রি যথেষ্ট। পাহাড়ের দুই পাছেই হোটেল আছে অনেক। বাংলাদেশ ভিউ এবং ইন্ডিয়া ভিউ, দুই দিকেই সুন্দর কিন্তু ইন্ডিয়ান ভিউতেই বেশি ভিড় হয়। এর কারন সেখানে সব সময় মেঘের দেখা পাবেন। যাইহোক, আমরা আগে থেকে একটা হোটেল বুক করেছিলাম, কিন্তু খুজে পাই নাই। একারনে অন্য একটাতে উঠে পড়ি। বাইক রাখা ফুল সেফ। ব্যাবস্থা আছে বেশভাল। বাইক রেখে কিছুটা সময় রেস্ট নিয়ে ঘুরাঘুরি শুরু। বাইক নিয়ে পাহাড়ে উঠার চেষ্টা করেছি কিন্তু বৃষ্টির পানিতে রাস্তা একদম কাদা হয়ে থাকায় সম্ভব হয়নি। অনেকটা ইঞ্জয় করে, মানুষের সাথে সময় কাটিয়ে, বেশ ভাল মন্দ খেয়ে সময় পার করলাম এবং প্রকৃতি উপভোগ করলাম। পরদিন ফিরে যাবার পালা।
তৃতীয় দিনঃ
৩ নম্বর দিনে সকাল সকাল উঠে পড়ি এবার বাড়ি ফিরে যাবার পালা তাই তাড়াও একটু বেশি। অনেকটা আনন্দ করে, কষ্ট করে এত দূর এসে, এবার চলে যাবার পালা। সকাল ১০ টাই এখান থেকেও একই ভাবি আর্মি স্কোয়াড আমাদের নিয়ে যাবে। শুরু হল যাত্রা, আবারও মাথায় হাত, অই সেই ৩ কিলোমিটার! উঠে গেছি কিন্তু এবারতো নামার পালা পুরোটাই ঢালু। আল্লাহ ভরসা। আস্তে আস্তে শুরু করলাম যাত্রা, খুব ধিরে ধিরে নামতে নামতে অনেক কষ্টে শেষ হল সেই ৩ কিলো। রাস্তার পাশে মাঝে মাঝে টং দোকান পাবেন, কিছু জায়গা আছে যেখানে দারাবার মত জায়গাও পাবেন। আমরা দিঘীনালা, বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্প পর্যন্ত চলে আসলাম ১ ঘন্টাতেই। এবার মোটামটি রাস্তা চেনা। সোজা চলে আসলাম খাগরাছড়ি। সেখানে পৌছে আমাদের খাওয়া, তেল তোলা এবং কিছুটা বিরতি। রাস্তা যেহেতু অনেকটাই পরিচিত এবং বাসায় ফেরের একটা চিন্তা মাথায় তাই বেশি সময় না নিয়ে সরাসরি কুমিল্লা। সেখানে এসে বিরতি নিয়ে কিছুটা সময় পার করে আমাদের চেনা পরিচিত ঢাকা পৌছাতে আমাদের সন্ধ্যা হয়ে গেল। আসার পথে তেমন কোথাও দাঁড়ানো হয়নি এবং কোন ঝামেলাতেও পড়তে হয়নি। একারনে তেমন কিছু বলার নেই। যে পথে গিয়াছি সেই পথে কিছুটা কম সময়ে একটানে ঢাকা।
নতুন করে যারা যাবেন মনে রাখা ভালঃ
-ঢাকা থেকে তেল তুলে নিয়ে যাবেন ভাল মানের, খাগড়াছড়ি যাবার পথে পেট্রোল পাম্প আছে তবে বেশ কম পরিমান। কুমিল্লা পর্যন্ত অনেকগুলো পেয়ে যাবেন। দিঘীনালা, বাঘাইহাট আর্মি থেকে সাজকের রাস্তা কম হলেও কোন তেলের ব্যাবস্তাহ বা মেকানিক পাবেন না।
-সাজেকে বোতলে তেল পাবেন। যাদের তেলের ব্যাপারে সচেতনতা বেশি তারা ব্যাপারটা মাথায় রাখবেন।
-খাগড়াছড়ি থেকেই আপনার বুথ অপশন মোটামোটি বন্ধ, ওয়ি কারনে ক্যাশ বা বিকাশ রাখতে পারেন কাছে। সাজেকে কম বেশি সব পাবেন বুথ ছাড়া।
-রাস্তায় চলতে পথে টং দোকান অনেক পাবেন, তবে নিজের জরুরী জিনিসপত্র সাথে রাখা ভাল।
-আমি যেহেতু পিলিয়ন নিয়েই গিয়েছি, তাই আমি বলব পিলিয়ন নিয়ে যেতে পারেন কোন সমস্যা নেই, তবে লাগেজ এওং প্যাকিং কিছুটা হালকা রাখায় ভাল। বাইক হালকা থাকলে পাহাড়ি রাস্তার আক-বাকগুলোতে কিছুটা সুবিধা পাবেন।
-রবি নেটয়ার্ক সবথেকে ভাল।
এই ছিল আমার ঢাকা টু সাজেকের ছোট গল্প। মাইলেজ চেক করি নাই, সেই ভাবে চেক করাও হয় না। স্পীড এবং পাওয়ার রেসপন্স খুব ভাল পেয়েছি আমার লিফান বাইকে। আসা করছি এমন টুর আরো দিতে পারবো আমার বাইকের সাথে। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
With its bike design and constant introduction of new features, Yamaha has won the hearts of bikers, and over the past few yea...
English BanglaYamaha has always been different from any other motorcycle brand in Bangladesh when it comes to customer service. From basic c...
English BanglaThe popular brand Bajaj, which has been successfully supplying bikes in the Bangladeshi market for many years, has extended their ...
English BanglaYamaha is always with the festive spirit, celebrating the thousand years of Bengali tradition, Yamaha is offering attractive d...
English BanglaThe popular brand Yamaha brings the Saluto bike with a scratch card offer. Through this offer, when you purchase a Yamaha Salu...
English Bangla