আসসালামুয়ালাইকুম, আমি ফাইসাল হোসেন আকাশ, আমি একজন নতুন বাইকার এবং এই বছরের শুরুতেই আমি আমার প্রথম বাইক কিনেছি, আমার বাইকে আমি ইয়ামাহা থেকে রেকোমেন্ডেড ইঞ্জিন অয়েল ইয়ামালুব ব্যবহার করছি, প্রথমে আমি ইয়ামালুব মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করেছি, এবং ২ মাস যাবত আমি ইয়ামালুব সেমি সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করছি। ইয়ামাহা দাবি করে তাদের বাইকে ইয়ামালুব ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের ফলে তাদের বাইক থেকে ভালো মাইলেজ এবং ভালো পারফর্মেন্স পাবেন, আজ আমি আপনাদের সাথে আমার ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
ভালো দিকঃ
• এই ইঞ্জিন অয়েলের সবচেয়ে ভালো দিক হচ্ছে এর ব্র্যান্ড ভ্যালু এবং এর স্থায়িত্ব, এটি একটি অতি সুপরিচিত এবং জনপ্রিয় ব্র্যান্ড, এবং এর সকল ইঞ্জিন অয়েল আপনার নিকটস্থ ইয়ামাহা শোরুমে পাওয়া যাবে যার কারনে এই ইঞ্জিন অয়েল নকল হওয়ার সম্ভবনা নেই বললেই চলে।
• এর ইঞ্জিন স্মুথনেস বেশ ভালো মনে হয়েছে, বাইক রাইড করে বেশ ভালো অনুভূত হয়েছে।
• আমি সাধারণত ঘুরে বেড়ানোর উদ্দেশে বাইক চালিয়ে থাকি এবং ফ্রি সময়ে বন্ধুদের সাথে দুরে ঘুরতে যাই, এইখেত্রে এই ইঞ্জিন অয়েল আমাকে বেশ ভালো সাপোর্ট দিয়েছে, লং রাইডে আমি কোনো প্রকারের সমস্যা পাইনি।
• বেশির ভাগ সময় আমাকে সিটি রাইড করতে হয় এবং অনেক জায়গায় যাতায়াত করতে হয়, এই ক্ষেত্রে সিটি রাইডে আমি কোন সমস্যা পাইনি, বাইক রাইড করে আমার বেশ ভালো লেগেছে।
• গিয়ার শিফটিং ভালো এবং স্মুথ ছিলো, আমি কোনও প্রকারের সমস্যা পাইনি।
• ইঞ্জিন অয়েল কমে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়নি এখন পর্যন্ত।
• এই ইঞ্জিন অয়েলের সবচেয়ে ভালো দিক আমার কাছে মনে হয়েছে এর দাম, এই দামে অন্যান্য ব্র্যান্ড সেমি সিন্থেটিক অয়েল দেয় না সাধারণত, তবে ইয়ামালুব এর মত ভালো ইঞ্জিন অয়েল এতো করে পাওয়া আসলেই ভালো বেপার, এটি আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে।
মন্দ দিকঃ
• শুরুতে আমার কাছে কিছুটা হিটিং ইস্যু মনে হয়েছে, তবে তা সময়ের সাথে সাথে কমে গিয়েছে।
এই ছিলো আমার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত, আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে এবং আমার অভিজ্ঞতা থেকে আপনি এই অয়েল ব্যবহারের বিষয়ে সিধান্ত নিতে পারবেন।