আসসালামুয়ালাইকুম আমি শাহারিয়ার সাফি, আজ আমি আপনাদের সাথে আমার shell advance fuel save fully synthetic ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের মতামত শেয়ার করব। Shell বিশ্বের একটি সুপরিচিত লুব্রিকেণ্ট ব্র্যান্ড, তারা প্রায় সকল প্রকার যানবাহনের জন্য ইঞ্জিন অয়েল ও লুব্রিকেট প্রস্তুত করে থাকে। এই ইঞ্জিন অয়েল আমি বিগত ৩ বার ব্যবহার করেছি। আজ আপনাদের সাথে এটির অভিজ্ঞতা তুলে ধরব।
ভালো দিকঃ
• এটি ব্যবহারে ইঞ্জিন অনেক স্মুথ হয়েছে, বাইক চালিয়ে মজা পাওয়া যায়।
• বাজারে সহজেই পাওয়া যায়, আপনার নিকটবর্তী যেকোনো ইঞ্জিন অয়েলের দোকানে কিনতে পাবেন।
• ফূল সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল হওয়ায় এর পারফর্মেন্স অনেক ভালো, গেয়ার সিফটিং পূর্বের থেকে ভালো পেয়েছি।
• বাইকের পিক- আপ রেসপন্স অনেক ভালো পেয়েছি, কোনো প্রকার ভাইব্রেশন অনুভব করিনি।
• এই দাম অনুযায়ী সুপরিচিত ব্র্যান্ডের ইঞ্জিন অয়েল হিসাবে এটি অনেক বেশি ভালো মনে

হয়েছে।
• এটি ব্যবহারে বাইকের মাইলেজ ভালো পাওয়া যায়, shell দাবি করে এটি ব্যবহারে প্রতি লিটারে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত মাইলেজ বেশি পাওয়া যায়।
মন্দ দিকঃ
• দাম কম হলে ভালো হত, প্রথমবার ৭০০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম, বর্তমানে এর মূল্য ৮০০ টাকা তাই দাম কম হলে অধিক ক্রয় উপযোগী হবে।
• ড্রেন পিরিয়ড অনেক কম, এটি ১২০০-১৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়, ১৫০০ কিলোমিটারের পর পারফর্মেন্স ও স্মুথনেস কমতে থাকে।
• ফুল সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল হইলেও এটির ড্রেন পিরিয়ড অন্যান্য ব্রান্ডের সেমি-সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েলের মত, ১৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভালোমত ব্যবহার করা যায়, এরপর ব্যবহার না করার পরামর্শ রইল।
এই ছিল আমার Shell advance fuel save fully synthetic ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের অভিজ্ঞতা, এই দামে এটি অনেক ভালো কিছু অফার করছে, আপনারা চাইলে ব্যবহার করতে পারেন।