আসসালামুয়ালাইকুম আমি তুষার আহমেদ, আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার ১৭ হাজার কিলোমিটার সুপার ভি ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের অভিজ্ঞতা যা আমি আমার বাইক হিরো স্পেলডার ১১০ এ ৩ বছর যাবত ব্যবহার করছি। আমি এই ইঞ্জিন অয়েলটি আমার বাইক কিনার পর থেকেই ব্যাবহার করে আসছি, কারন আমি এর পূর্বে হিরো কোম্পানির রেকোমেন্ডেড ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করেছি, এবং পূর্বের অয়েল থেকে সুপার ভি তে আসার মুল কারন ছিল আমি ব্র্যান্ড পরিবর্তন করতে চেয়েছিলাম এবং আমি আগের ইঞ্জিন অয়েল নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলাম না যা কারনে আমি এই ইঞ্জিন অয়েলে চলে আসি, এর ব্যবহারকারীদের থেকে এর সম্পর্কে অনেক ভালো তথ্য পেয়েছি যা ছিল এটি ব্যবহারের জন্য প্রেসনা স্বরূপ। এখন আমি আপনাদের সাথে এর ব্যবহারের ভালো ও খারাপ দিক তুলে ধরব।
ভালো দিকঃ
• স্মথনেস ভালো পেয়েছি, এবং ইঞ্জিন থেকে নয়েজের পরিমান কম ছিলো।
• সিটি রাইডে পারফরমেন্স ভালো ছিল।
• গেয়ার সিফটিং পূর্বের চেয়ে ভালো ও স্মথ পেয়েছি।
• এই ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারে কোনোপ্রকার হিটিং ইস্যু ছিলোনা।
• অয়েল কমে যাওয়ার সমস্যা ছিলোনা
• ১০০০ কিলোমিটার কোনোপ্রকার সমস্যা ছাড়া স্মথ ভাবে ব্যবহার করা যায়, আমার মতে মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল হিসাবে এটি যথেষ্ট।
মন্দ দিকঃ
• প্রতিমাসে ২ বার আমাকে দূরে যাওয়ার প্রয়োজন পরে, এই ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারে আমি দূরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনোপ্রকার সমস্যা পাইনি।
• তবে মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল হিসাবে বাজারের অন্য ইঞ্জিন অয়েলের চেয়ে এর দাম ছিলো তুলনামূলক বেশি।
• তাদের ইঞ্জিন অয়েলের বেশি গ্রেড বাজারে পাওয়া যায় না, এটি আমার কাছে নেজেটিভ দিক হিসাবে মনে হয়েছে।
এই ছিলো আমার সুপার ভি ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহারের অভিজ্ঞতা, আশা করি আমার এই ইঞ্জিন অয়েল রিভিউ আপনাকে সিধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে, আপনি চাইলে এই ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করে দেখতে পারেন, তবে চেস্টা করবেন সবসময় ওরিজিনাল ইঞ্জিন অয়েল দেখে কিনার, এই ইঞ্জিন অয়েল জনপ্রিয় হওয়ায় এর ডুপ্লিকেট বাজারে অনেক বেশি, এই অয়েলটি সর্বত্র পাওয়া যায় এবং আপনার নিকটস্থ বাইকে পার্টসের দোকানে পেয়ে যাবেন।