বাংলাদেশের বাজারে অনেক ইঞ্জিন অয়েল ব্র্যান্ড রয়েছে এর মধ্যে অনেক ব্র্যান্ড গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করে চলেছে প্রতিনিয়ত। Motorex বাংলাদেশের বাজারে গ্রাহকদের আস্থা রেখে চলেছে এবং আমার জানা মতে তারা ভালো মানের ইঞ্জিন অয়েল দেশের বাজারে সরবরাহ করছে। আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি দেশের বাজারে বিদ্যমান Motorex Formula 4T 10W40 JASO M2

ইঞ্জিন অয়েল নিয়ে যেটা আমি এখনও ব্যবহার করছি।
এই ইঞ্জিন অয়েলটা কেনার মূল কারণ হল আমি যে শপ থেকে ইঞ্জিন অয়েল কিমি সেখানে এক বড় ভাইয়ের সাথে দেখা হয়ে তিনি এই ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন । তাই আমি উনার পরামর্শে এই Motorex Formula 4T 10W40 JASO M2 ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা শুরু করি। এখন পর্যন্ত আমি ৪ পিরিয়ড ব্যবহার করেছি , আজকে আমি এই ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
ভিস্কোসিটি লেভেল
আমার কাছে এই ইঞ্জিন অয়েল এর ভিস্কোসিটি লেভেল অনেক ভালো লেগেছে এবং এই আমি এক সাথে ৪টা ব্যবহার করার পর দেখলাম যে এর ভিস্কোসিটি খুব ভালো থাকে। সাধারণভাবে আমি ২২০০ কিমি থেকে ২৫০০ কিমি রাইড করার পর ইঞ্জিন অয়েল ড্রেন করি এবং তখনও দেখি যে ভিস্কোসিটি লেভেল অনেক ভালো থাকে।
লং রাইড ও শর্ট রাইড পারফরমেন্স
আমার কাছে এই ইঞ্জিন অয়েলের লং রাইড পারফরমেন্স ও শর্ট রাইড পারফরমেন্স অনেক ভালো লেগেছে। আমি দেখেছি যে এই ইঞ্জিন অয়েল আমাকে অনেক দিক থেকে ভালো সাপোর্ট দিচ্ছে এবং আমি নিজেও সন্তুষ্ট আছি এর পারফরমেন্স নিয়ে।
হিটিং ইস্যু ও ইঞ্জিন অয়েল কমে যাওয়ার ইস্যু
হিটিং ইস্যু বলতে গেলে আমার কাছে একদমই তেমন মনে হয়নি। সব মিলিয়ে সিটি রাইড ও লং রাইডে আমার কাছে এর পারফরমেন্স দারুন মনে হয়েছে। আমি যদি একটানা অনেকক্ষণ রাইড করি তারপরেও দেখি যে হিটিং ইস্যু তেমন নেই। এদিকে ইঞ্জিন অয়েল কমে যাওয়ার ইস্যু বলতে গেলে আমার কাছে লক্ষ্যনীয় তেমন কিছু মনে হয়নি।
সব মিলিয়ে আমার Yamaha Fzs v2 বাইকে Motorex Formula 4T 10W40 JASO M2 ইঞ্জিন অয়েল অনেক ভালো সাপোর্ট দিচ্ছে , আশা করি আপনারা যারা ব্যবহার করবেন তারা এই ইঞ্জিন অয়েল নিয়ে হতাশ হবেন না ।