প্রতি বছর পৃথিবীর তাপমাত্রা উষ্ণ থেকে উষ্ণতর হচ্ছে। গবেষণা বলছে, ২০৫০ সালের মধ্যেই পৃথিবীর তাপমাত্রা আরোও ১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস বাড়বে। এর অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রিনহাউস গ্যাস, কয়লা, তেল উত্তোলন, ফসিল ফুয়েলের ব্যবহার ইত্যাদি।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের এনার্জি সেক্টরে বিপ্লব আনার লক্ষ্যে ২০০৮ সালে বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় MIT(Massachusetts Institute of Technology) এর সাথে পার্টনারশিপ করে ENI।
[ENI: এটি বিশ্বের দশটি বৃহত্তম সুপারমেজর ওয়েল কোম্পানিগুলোর একটি। এই ইতালিয়ান এনার্জি কোম্পানি ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠা লাভ করে এবং এর সদর দপ্তর রোমে অবস্থিত। বর্তমানে বিশ্বের ৬৯ টি দেশে ENI অপারেট করছে। ২০২২ সালের হিসাব অনুসারে

এটি ইতালির বৃহত্তম, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের ১৩তম বৃহত্তম পেট্রোলিয়াম কোম্পানি।
MIT: ম্যাসাচুসেট্স ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়। এটিকে পৃথিবীর সবথেকে মর্যাদাপূর্ণ একটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।এমআইটির স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় প্রথম স্থান দখল করে আসছে, এবং ইনস্টিটিউটটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রায়শই স্থান করে নিয়েছে।]
২০৩০ সালের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল এজেন্ডাকে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রয়োজন আরোও এনার্জি। আর এই এনার্জি সার্কুলেশন এবং এনভায়রনমেন্ট সেফটি এর মধ্যে পারফেক্ট ব্যালেন্স খোঁজার চেষ্টা করছে ENI এবং MIT। ENI তাদের এই মিশনকে এইভাবে উল্লেখ করেছে:
“maximising access to energy and fighting climate change”।
এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে রিনিউয়েবল এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন,কার্বন রিডাকশন এবং সেফটির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে উদ্ভাবন এবং পেটেন্ট লাভের জন্য এই দুই প্রতিষ্ঠান একসাথে কাজ করে যাবে।
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে MIT এর প্রেসিডেন্ট রাফায়েল রেইফ এবং ENI এর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিও ডেসকালজি তাদের চুক্তি নবায়ন করেন এবং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অর্জনের জন্য কাজ করার তাগিদ দেন।
বর্তমানে এই পার্টনারশিপে MIT এর ৪০ জনেরও বেশি গবেষক, অধ্যাপক এবং পোস্ট-গ্রাজুয়েটরা জড়িত আছেন যারা ৭০ টিরও বেশি প্রকল্পে একসাথে কাজ করে যাচ্ছেন।এই সম্মিলিত পার্টনারশিপের আওতায় ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ টি সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন প্রকাশ করা হয়েছে। ৪০ টি ইনভেশনশন পেটেন্ট করা হয়েছে এবং আরোও ২৯ টি পেটেন্ট এপ্লিকেশন করা হয়েছে।
পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ENI এবং MIT এর এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন গবেষকরা।