স্বল্প খরচে রাইডের জন্য আমার কাছে ই-বাইক বেস্ট মনে হয়েছে কারণ এই ই-বাইক দিয়ে আমি আমার দৈনন্দিন যাবতীয় কাজ অনায়াসেই করতে পারি বিশেষ করে শহরের মধ্যে আমার কাছে ই-বাইকের থেকে ভালো আর কিছু মনে হয় না। আমি বিগত ২ বছর যাবত এটি ব্যবহার করছি এবং ১০,০০০ কিমি রাইড করেছি। আজকে আমি DGDC ADF Small এই ই-বাইকের ভালো মন্দ অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
প্রথমে বলি এই ই-বাইকের ভালো দিক নিয়ে
আমি কেনার আগে যেমনটা এর পারফরমেন্স নিয়ে ফিডব্যাক পাবো বলে আশা করেছিলাম এখন ঠিক সেরকমই ফিডব্যাক পাচ্ছি। আমার চাহিদা অনুযায়ী রাইড সম্পন্ন করতে পারি।
ব্যাটারির পারফরমেন্স খুবই ভালো। কোম্পানী থেকে যেমনটা মাইলেজ পাবো বলে বলা হয়েছিলো তেমনটাই পাচ্ছি। ফুল চার্জ হতে ৭ ঘন্টা সময় নেয় এবং এক চার্জে ৪৮-৫০ কিমি চলে।
রাইড করে আমি এর থেকে ভালো আরাম, কন্ট্রোল পাচ্ছি । শহরের মধ্যে এটা নিয়ে রাইড করতে আমার তেমন বেগ পেতে হয় না।
ব্রেকিং সিস্টেম, সাসপেনশন, টায়ার ইত্যাদি সব কিছুর ফিডব্যাক এখন পর্যন্ত ভালো আছে।
মেইন্টেনেন্স খরচ একদম নাই বললেই চলে। যারা ই-বাইক ব্যবহার করছেন তারা সঠিকভাবে এর মেইন্টেনেন্স খরচ উপলব্ধি করতে পারবেন।
এবারে বলি এর কিছু মন্দ দিক
ব্যাটারির পারফরমেন্স শুরুতে ভালো থাকলেও ব্যাটারির বয়স হলে তার পারফরমেন্স একদম কমে যায় এবং মাইলেজ কম পাওয়া যায়।
হেডল্যাম্পের আলো অনেক কম। শহরের রাস্তাতেও অনেক কম মনে হয়েছে।
স্পেয়ার পার্টস পেতে অনেক সময় লাগে এবং কিছু কিছু পার্টস একদমই পাওয়া যায় না বললেই চলে।
এই ছিলো আমার DGDC ADF Small ই-বাইকের স্বল্প রাইডের অভিজ্ঞতা। যারা ই-বাইক কিনবেন তাদের কাছে আমার পরামর্শ থাকবে এই যে , শহরের মধ্যে চলাচল করার জন্য ই-বাইকের থেকে ভালো কিছু আর হতে পারে না।