ই-বাইক আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার কারণ হল এটা সহজে রাইড করা যায় এবং কাগজপত্রের ঝামেলা নাই বললেই চলে। তাই আমি বাইক কেনার থেকে ই-বাইক কেনার দিকে বেশি নজর দিয়েছি এবং বিগত ২ বছর যাবত ব্যবহার করছি Green Tiger GT VIVE। এই ২ বছরে আমি রাইড করেছি প্রায় ১৮,০০০ কিমি। আজকে আমি সংক্ষেপে আপনাদের সাথে আমার ই-বাইক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
ব্যাটারি
Green Tiger GT VIVE ই বাইকের ব্যটারি নিয়ে বলে গেলে , আমার কাছে ব্যাটারির ফিডব্যাক অনেক ভালো লেগেছে। কেনার আগে আমি যেমনটি পারফরমেন্স পাবো বলে আশা করেছিলাম তেমনটা পাচ্ছি কিন্তু আমার ২ বছরে ৩ বার ব্যাটারি পরিবর্তন করতে হয়েছে যেটা আমার কাছে একটু অসুবিধা মনে হয়েছে। এছাড়া ব্যাটারির মাইলেজ আমি প্রথমের দিকে পাই ৫০ কিমি এবং পুরাতন হয়ে গেলে মাইলেজ পাই ৪০ কিমি। এই সমস্যা ছাড়া ব্যাটারি থেকে আর কোন খারাপ দিক পাচ্ছি না।
আরাম ও কন্ট্রোল
রাইড করে আমার কাছে আরামদায়ক মনে হয়েছে, বিশেষ করে শহরের মধ্যে সেরা বাহন আমার কাছে ই-বাইক মনে হয়েছে আর Green Tiger GT VIVE এর আরাম, কন্ট্রোল, ব্রেকিং ,সাসপেনশনের ফিডব্যাক ইত্যাদি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। যদিও আমি যত্ন কম করি তারপরেও এগুলো বিষয় থেকে আমি ভালো পারফরমেন্স পাচ্ছি।
ইলেকট্রিক্যাল
আমার কাছে হেডল্যাম্পের আলোটা অনেক কম মনে হয়েছ। আমি যখন শহরের রাস্তায় কিংবা অন্ধকার রাস্তায় রাইড করি তখন আমার কাছে হেডল্যম্পের আলো অনেক কম লেগেছে। এদিকে আমি যদি হেডল্যম্প অন করে রাইড করি তখন মাইলেজ কম পাই। আমার কাছে মনে হয়েছে যে ব্যাটারির ক্যাপাসিটি এই দিকে বাড়ানো উচিত।
মেইন্টেনেন্স
আমার কাছে এই ই-বাইকের মেইন্টেনেন্স খরচ এভারেজ মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে আমি হিসাব করে দেখলাম যে বছরে ২০,০০০ টাকার মত আমার খরচ হচ্ছে। এটা আমার কাছে হয়েছে আপনাদের কাছে নাও হতে পারে কারণ এটা ব্যবহারের উপর নির্ভর করে ।
সার্ভিস ও স্পেয়ার পার্টস
আমি সাধারণত গ্রীন টার্গেট রাজশাহী শোরুম থেকে আমার ই-বাইক সার্ভিস করিয়ে থাকি। তাদের সার্ভিস আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছে । এদিকে স্পেয়ার পার্টস নিয়ে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সব স্পেয়ার পার্টস সব সময় পাওয়া যায় না।
এই ছিলো আমার Green Tiger GT VIVE ই-বাইক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা। যারা ই-বাইক কিনতে চান তাদেরকে আমি বলবো যে শহরের মধ্যে ইজি রাইড করার জন্য ই-বাইক কিনতে পারেন।