আমরা যারা বাইক রাইড করি তারা রাইড করার সময় লক্ষ্য করে দেখি যে বাইকের সব কিছু বিষয় ঠিক ঠাক আছে কি না এবং এই বিষয়টা মাথায় রেখে আমরা আমাদের বাইক রাইড করে নিত্য দিনের কার্য সম্পাদন করি। বাংলাদেশের বাজারে অনেক ব্রান্ডের বাইক ও টায়ার রয়েছে এবং এগুলো গ্রাহকেরা ব্যবহার করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। আমার কাছে MRF টায়ার ব্র্যান্ডটা অনেক পছন্দের এবং অনেক পরিচিত এবং মজার বিষয় হল আমি যে বাইকটি ব্যবহার করছি সেটার স্টক টায়ার হিসেবে এই
MRF REVZ 140/60-17 66H MG TL রয়েছে। আজ আমি আপনাদের সাথে আমার ব্যবহার করা এই টায়ার নিয়ে ১৩০০০ কিমি রাইডের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো।
শার্প কর্নারিং ক্যাপাবিলিটি:
আমার কাছে এই টায়ারটা ব্যবহার করে প্রথমত যে বিষয়টি ভালো লেগেছে তা হল এর কর্নারিং ক্যাপাবিলিটি। আমি দেখেছি যে হাই স্পীড হোক বা লো স্পীড দুইটা স্পীডেই আমার কাছে কর্নারিং অনেক ভালো লেগেছে। টায়ারের সাইজ যেহেতু একটু বেশি তাই আমি কর্নারিং করে অনেক আরাম পাই। সব মিলিয়ে বলতে গেলে আমি কর্নারিং এর দিক থেকে ভালো একটা সাপোর্ট পাচ্ছি এই টায়ার ব্যবহার করে।
বেটার ব্রেকিং:
ব্রেকিং এর বিষয় নিয়ে যদি বলি তাহলে এর যে ব্রেকিং সিস্টেম রয়েছে সেটা আমার কাছে বেশ ভালো মনে হয়েছে এবং মোটা টায়ার হওয়ার কারনে ব্রেকিং পারফরমেন্স আমার কাছে দারুন লেগেছে। যদি আমি হাই স্পীড বা লো স্পীডে এই টায়ার নিয়ে ব্রেকিং করি তাহলে লক্ষ্য করে দেখি যে স্কীড ছাড়াই আমাকে এই টায়ার ব্রেকিং এর দিক থেকে ভালো একটা সাপোর্ট দিচ্ছে।
ডিউরাবিলিটি বা স্থায়ীত্ব:
আমার কাছে এই ১৩০০০ কিমি রাইড করে মনে হয়েছে যে যদি আমি ভালভাবে এই টায়ার ব্যবহার করি তাহলে এটা আমাকে আরামসে ৬০ হাজার কিমি পর্যন্ত ব্যাক আপ দিবে যেটা অনেক বলতে গেলে। নরমালি আমি ১৩০০০ কিমি রাইড করার পর দেখলাম যে তেমন কোন লক্ষনীয় ক্ষয় হয়নি।
এইতো MRF Revz 140/60-17 নিয়ে এই ছিলো আমার ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা। আপনারা যারা এই টায়ারটি কিনবেন বা ব্যবহার করবেন বলে চিন্তা করেছেন তারা নিঃসন্দেহে এটা ব্যবহার করতে পারেন। ধন্যবাদ।