বাংলাবান্ধা,তেতুলিয়া বাইক টুর-২০১৮ইং, Banglabandha,Tetulia Bike Tour-2018

বাংলাবান্ধা,তেতুলিয়া বাইক টুর-২০১৮ইং, Banglabandha,Tetulia Bike Tour-2018

Description X
বাইকিং প্রেমী এবং ভ্রমন পিয়াসিদের বাংলাবান্ধা ভ্রমন করাটা জরুরী। আমরা কজনও গিয়েছিলাম ঘুড়তে।আমার রাইড পার্টনার ছিল ছোট ভাইদের একটা গ্রুপ,যাদের আমি খুব পছন্দ করি। তারা হলো মাহবুব, তনু, উজ্জল, রফিক,হামিদ।সেই সাথে ছিল আলিম দেওয়ান ভাই।তিনি খুবই প্রাণ চঞ্চল একজন মানুষ।
যাই হোক,শীতের দিন থাকাতে আমরা সকাল ৬ টায় ঘাটাইল থেকে রওনা হই।ভূয়াপুর,গোবিন্দাসি হয়ে চলে যাই বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড়ে। সেখানে গাজীপুর কোনাবাড়ী থেকে এসে যোগ দেন আলিম দেওয়ান ভাই। শুরু হয় আমাদের রাইড। এক টানে চলে যাই ফুড ভিলেজে। সকালের নাস্তা শেষে আবারও এক টানে চলে যাই বগুড়া। রাস্তা তখন খারাপ থাকায় বগুড়া পৌছাতে দুপুর ১২ টা বেজে যায়।বগুড়া কিছু সময় আড্ডা দেবার পর আমরা দুপুরে খাবার খাই ছোটভাই উজ্জলের খালার বাড়ী।সেখানে খালাম্মা আমাদের পরম যতনে আপ্যায়ন করেন। খাবার শেষ করে বিশ্রাম নেবার সময় নেই।যেতে হবে বহুদূর।আজকের গন্তব্য সৈয়দপুর। সেখানে আমাদের জন্য জয় ভাই অপেক্ষা করছিলেন।জয় ভাই এর বাড়ী ওখানেই। যাক, রাইড করতে করতে রাত প্রায় ৮ টা বেজে যায় সৈয়দপুর পৌছাতে। জয় ভাই প্রায় ২০ কিঃমি এগিয়ে এসেছিলেন আমাদের স্বাগতম জানানোর জন্য।তিনি সত্যিই একজন অপসারন মানুষ। রাতে জয় ভাই ই আমাদের পুলিশ ক্লাব সৈয়দপুরে থাকার ব্যাবস্থা করে দেন। কম খরচে আমরা পেয়ে যাই নিরাপদ একটা থাকার জায়গা। পরেরদিন দেখতে যাই সৈয়দপুরের চিনি মসজিদ,যা কিনা নির্মিত হয় ১৮৬৩ সালে। ওখান থেকে রওনা হই বাংলাবান্ধার উদ্দেশ্যে। এদিকে বোদা বাসস্ট্যান্ড এ অপেক্ষা করছিলেন রেজাউল করিম রাজু ভাই সহ বেশ কয়েকজন।দুপুর গড়িয়ে প্রায় বিকেল হয়ে যাচ্ছিল। তাই দুপুরের খাবার খাই ছোট ভাই মাহবুবের বোনের বাড়ী। চলে চরম ভুড়ি ভোজ। আপুর হাতের রান্নাটা ছিল অসাধারন। খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা চলে যাই কাজী এন্ড কাজী টি এস্টেট দেখতে।নয়নাভিরাম চা বাগান, সাদা মাটি এবং চারিদিকের অসাধারন প্রকৃতি মনকে ব্যাকুল করে তোলে। সেখান থেকে যাই ছোট ভাই মাহবুবের আরেক আত্নীয় বাড়ী। এরপর রাতে থাকার জন্য চলে যাই ভাগিনা হামিদের খালার বাড়ী। কনকনে ঠান্ডার মধ্যে গায়ে সরিষার তেল মেখে ডিপ টিউবলের কুসুম কুসুম গরম পানিতে রাত ১২টার দিকে গোসল করে খেয়ে দিলাম ঘুম। সকালের নাস্তা শেষে চলে যাই বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে। দুচোখ ভরে প্রকৃতির অপরূপ রূপে সজ্জিত কাঞ্চন জঙ্গা পাহাড় সহ আরও অনেক কিছু দেখে রওনা হই আবার সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে। ফেরার পথে দেখে আসি মহানন্দা নদী,তেতুলিয়ার তেতুল গাছ।এরপর এশিয়ান হাইওয়ে হয়ে চলে আসি দেবিগঞ্জ।সেখানে আবারও এগিয়ে এসেছিলেন জয় ভাই। আমরা ভালবাসার সৃতিসৌদ্ধ দেখে সৈয়দপুর আবার পুলিশ ক্লাবে রাত্রি যাপন করি। পরেরদিন সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসি বাড়ী।
আমাদের এই যাত্রাটা ছিল খুব মজার।আপনারাও যারা ওদিকে এখনও যাননি তারা ঘুড়ে আসুন। গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি পয়সা বিফলে যাবেনা।
557 views 0 0 COMMENT

মন্তব্য করতে লগইন
মন্তব্য

Up next
মন্তব্য

মন্তব্য করতে লগইন