হেলমেট কেনার সময় যেসকল বিষয় খেয়াল করা উচিত

মোটরসাইকেল প্রেমিদের কাছে হেলমেট সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন একটি সেফটি ইকুইপমেন্ট। আমাদের দেশে বর্তমান বাজারে হেলমেটের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ্য করা যায় পাশাপাশি হেলমেট ক্রয় করার জন্য কিছু সিদ্ধান্ত ও কিছু বিষয় দেখে নিতে হয়। আজকে আমরা টিম মোটরসাইকেল ভ্যালী আপনাদের সাথে আলোচনা করতে যাচ্ছি কীভাবে আমরা আমাদের পছন্দের হেলমেট ক্রয় করার সময় যে যে বিষয় লক্ষ্য রাখবো।
নিজের জন্য হেলমেটের সঠিক সাইজ নির্ধারণ করা
যখন আপনার জন্য হেলমেট বাছাই করবেন, তখন এটি আরামদায়ক হওয়া অত্যাবশ্যক। হেলমেট ছোট, মাঝারি এবং বড় বা বর্ধিত মাপের তৈরি হয়ে থাকে। আপনার প্রয়োজনীয় আকার খুঁজে পেতে, একটি কেপ দ্বারা আপনার মাথার সর্ববৃহৎ অংশ পরিমাপ করুন। অথবা আপনার মাথায় কোন হেলমেটটি পড়ে আরাম অনুভব করছেন সেটি কিনুন।
বায়ু চলাচল
বাইক চালানোর সময় হেলমেটের ভেতরে বায়ু চলাচল করাটা জরুরি। এজন্য হেলমেটের ছিদ্রগুলো দ্বারা মাথার ওপর বায়ু চলাচল করে থাকে। যার কারণে বাইকারের মাথা ঠান্ডা রাখে এবং বাইক চালানোর ক্ষেত্রে আরামদায়ক একটি অনুভূতি দিয়ে থাকে। হেলমেটে যত বেশি ছিদ্র থাকবে হেলমেট তত বেশিই হালকা হবে এবং বায়ু চলাচলের পথ সুগম হবে।
হেলমেট ও গ্লাসের রং
গরমকালের জন্য সাদা এবং শীতকালের জন্য কালো রং এর হেলমেট কিনতে পারেন। গ্লাস নির্বাচন করার সময় হালকা কালো বা ওয়াটার কালার গ্লাস নিতে পারেন। তবে একটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন তা হলো বেশি কালো গ্লাস বা মারকারি গ্লাস পরিহার করুন। কারণ মারকারি গ্লাসগুলো দিয়ে রাতের বেলা বাইক চালাতে পারবেন না। অন্যদিকে মার্কারি গ্লাস খুব তারাতারি স্ক্র্যাচ পড়ে যায় এবং রাইডের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়।
মুখোশ
বাইক চালানোর সময় কিছু রাইডার সুর্যের আলো থেকে রক্ষা পেতে সুর্যের আলো প্রতিরোধক মুখোশ হেলমেটে যুক্ত করে থাকে এবং এটি রাইডারকে ভালো রাইডিং করতে সহায়তা করে। এটি অবশ্যই মাউন্টেন বাইকারদের জন্য অতি সাধারণ একটি বিষয়। একটি ভাইজর যেমনি হোক না কেন, খুবই সামান্য ওজন এবং সামনের বাতাসের চাপ কমিয়ে রাখে।
সার্টিফিকেশন দেখে নেওয়া
বর্তমানে আমাদের দেশের বাজারে খুব ভালো ভালো সার্টিফাইড হেলমেট পাওয়া যায়। এই সকল হেলমেট গুনে মানে খুবই ভালো এবং একজন রাইডারকে খুব ভালো সুরক্ষা দিতে সক্ষম। তাই হেলমেট কেনার সময় সেই হেলমেটের সার্টিফিকেশন অবশ্যই দেখে নিতে হবে।
মুখমন্ডলের নিরাপত্তা
মাউন্টেন রাইডারদের হেলমেট এ চারপাশ মুড়ানো একটি চিবুক বার রয়েছে, যা মাউন্টেন ও পার্ক রাইডারদের মুখমন্ডল নিরাপত্তা প্রদান করে।
গ্লাসের মান
গ্লাসের মান অবশ্যই ভালো হতে হবে। স্ক্র্যাচ রেজিস্ট্যান্স হলে ভালো হয়। তাহলে সহজে দাগ পড়বে না।
স্ট্র্যাপ
হেলমেটের স্ট্র্যাপ সিস্টেম খুবই আরামদায়ক। এটি থাকলে হেলমেট আটকাতে ও খুলতে সহজ হয়। অন্যদিকে বড় কোন আঘাত পেলে খুব সহজেই মাথা থেকে খুলে যায় না এই স্ট্র্যাপ থাকার কারণে।
হেলমেটের ওজন ও দীর্ঘস্থায়িত্ব
যেসব হেলমেট ওজনে যত বেশি হালকা, সেসব হেলমেট ততবেশি ভালো। তবে, এক্ষেত্রে দেখতে হবে হেলমেট মজবুত কিনা। বেশি ভারী হেলমেট পড়ে আপনি দীর্ঘক্ষন রাইড করতে পারবেন না অন্যদিকে বেশি কম ওজনের হেলমেট এর মান ঠিক আছে কিনা সেটি অবশ্যই দেখে নিতে হবে।
হেয়ারপোর্ট
কিছু কিছু হেলমেট এ লম্বা চুলের জন্য পেছনের দিকে ছিদ্র থাকে। এই ছিদ্রগুলোকে হেয়ারপোর্ট বলা হয়ে থাকে।
আমরা আশা করি যে, আপনি যদি একটি ভালো মানের হেলমেট কিনতে চান বা কেনার জন্য দোকানে হাজিরে হয়েছেন তাহলে উপরিউক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই দেখে নিবেন।