কিভাবে আসল নকল হেলমেট চিনবেন
একটি বাইকের সাথে আনুসাঙ্গিক অন্যান্য জিনিসের মধ্যে অন্যতম এবং গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে হেলমেট, এটি শুধু আমাদের নিরাপত্তাই দিয়ে থাকে না এর সাথে একটি হেলমেট আপনাকে যেমন ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করা থেকে বাচায় তেমনি একটি ভালো মানের সার্টিফাইড হেলমেট এর ব্যবহার আপনাকে স্টাইলিশ এবং আকর্ষণীয় করে তোলে। তবে প্রায়ই দেখা যায় ভালো ব্যান্ডের হেলমেট নকল করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে নিম্নমানের হেলমেট নিয়ে আসেন, আজকে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে নকল হেলমেট চিনতে পারবেন।
কালার এবং গ্রাফিক্সঃ
সাধারণত কোন জনপ্রিয় হেলমেটের কোনো মডেল বা কালার বেশি জনপ্রিয় হলে বাজারে এর নকল পন্য দেখা যায়, এর জন্য আপনাকে আগে বাজারে খোজ নিতে হবে আসল হেলমেট সম্পর্কে এবং সেই হেলমেটের দাম, এবং ব্রান্ড সম্পর্কে, আসল হেলমেট দেখার পরে আপনি ধারনা পেয়ে যাবেন এবং এর পরে নকল হেলমেট দেখতে পেলে বুঝতে পারবেন।
প্যাডিং ঃ
ভালো ব্র্যান্ডের হেলমেট এর প্যাডিং ও যথেষ্ট ভালো মানের হয়ে থাকে, নকল এবং আসল হেলমেটের মধ্যে বড় একটি পার্থক্য দেখতে পাবেন এর প্যাডিং এর মানের ক্ষেত্রে।
সারটিফিকেশনঃ
প্রতিটি হেলমেট কোম্পানি তাদের হেলমেটের জন্য বিভিন্ন সারটিফিকেশন ব্যবহার করেন, এবং এসব সারটিফিকেশন হেলমেটের বডিতে বেশ ভালো ভাবে প্রিন্ট করা থাকে, নকল হেলমেটের ক্ষেত্রে হয়তো এটি স্টিকারের মত করে প্রিন্ট করা থাকবে।
ওজনঃ
সার্টিফাইড হেলমেট এর ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট ওজনের হয়ে থাকে, তবে নকল হেলমেট এর ওজন কম বা বেশি হতে পারে।
লক এবং ভেন্টিলেশনঃ
অন্যান্য সব কিছুর মত হেলমেট এর লক এবং ভেন্টিলেশান এর মধ্যেও পার্থক্য দেখতে পারবেন এবং অনেক ক্ষেত্রে নকল হেলমেটে এসব থাকে না, এক্ষেত্রে আপনাকে যাচাই করে নিতে হবে, তবে নকল হেলমেটের ভেন্টিলেশন এবং লক ঠিকমত কাজ করবে না।
বিল্ড কোয়ালিটিঃ
সবদিক থেকে একটি নকল হেলমেট এর বিল্ড কোয়ালিটি নিম্ন মানের হবে, তাই আসল হেলমেট সম্পর্কে জেনে একটি হেলমেট কেনার পরামর্শ রইল।
দামঃ
নকল হেলমেটের দাম আসলের তুলনায় বেশ কিছুটা কম হবে, এবং একটু ভালো করে খেয়াল করলে আপনি আসল এবং নকলের পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
এই ছিলো আসল এবং নকল হেলমেট চেনার উপায়। হেলমেট কেনার ক্ষেত্রে একটু খোজ নিয়ে যাচাই করে তারপরে কেনার চেষ্টা করবেন এবং সম্ভব হলে অফিসিয়াল শোরুম থেকে কিনবেন।