সময়ের সাথে সাথে মানুষের রুচি, চাহিদা, প্রয়োজন এবং পথচলার যান পছন্দের ইচ্ছায় যেমন পরিবর্তন আসে ঠিক সেইসাথে জ্বালানী তেলের মুল্য বৃদ্ধির কারনে বেশিরভাগ মানুষ এখন জ্বালানী তেলের বিকল্প বিদ্যুৎ চালিত যানবহনের দিকে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। একইসাথে বৈদ্যুতিক স্কুটার যেমন চালানো সহজ ঠিক তেমনই মেইনটেইন করা সহজ এবং দামেও সস্তা। সব মিলিয়ে সামনে দিনে আমরা বৈদ্যুতিক বাইকের জয় জয়কার দেখতে যাচ্ছি হয়তো।
এরই ধারাবাহিকতা আমরা দেখতে পায় আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতে যেখানে নিত্যনতুন নামীদামী ব্র্যান্ড নিজেদের উপস্থিতি জানান তো দিচ্ছেই সাথে রয়েছে আকর্ষনীয় অফার এবং নানাধরনের সুযোগ সুবিধা।
Oben Rorr ভারতের জানাশোনা ই-বাইক কোম্পানি গুলোর মধ্যে একটি, এই ইলেকট্রিক বাইকে ৪.৪KWh এর লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি এবং ১০ kW এর ইলেকট্রিক মোটর ব্যবহার করা হয়েছে। এই মোটর ৬৩ Nm টর্ক উৎপন্ন করতে পারবে। রীতিমত অবাক করা ব্যাপার যে এই ই-বাইক মাত্র ৩ সেকেন্ডের মধ্যে ০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় ছুটতে পারবে। কোম্পানি দাবি করেছে তাদের ইলেকট্রিক বাইকের সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। এক চার্জে এই বাইক ২০০ কিমি অব্দি চলতে পারবে।
কোম্পানি তাদের প্রথম ইলেকট্রিক বাইক Oben Rorr ভারতীয় বাজারে মাত্র ৯৯,৯৯৯ টাকায় লঞ্চ করেছে। তবে ভারতীয় ক্রেতারা মাত্র ৯৯৯ টাকায় এই বাইক কোম্পানির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে ১৮ মার্চ থেকে বুক করতে পারছেন। চলতি বছরের জুলাই মাসের মধ্যে ডেলিভারি শুরু হয়ে যাবে বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এছাড়াও কোম্পানী আরও জানিয়েছে যে আগামী দু’বছরের মধ্যে প্রত্যেক ছয় মাসে কোম্পানি নতুন নতুন প্রোডাক্ট লঞ্চ করতে থাকবে।
ইলেকট্রিক বাইকে আধুনিকতার সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে কিছুটা রেট্রো লুক দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বাইকে একটি গোল এলইডি হেডল্যাম্প ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য প্রিমিয়াম বাইকের মত এই বাইকেও এলইডি টার্ন ইন্ডিকেটর এবং টেলল্যাম্প রয়েছে। আরামদায়ক রাইডের জন্য টেলিস্কপিক সাসপেনশন ও দুই চাকাতে ডিস্ক ব্রেক ব্যবহার করা হয়েছে।
এছাড়া এই বাইকের ট্রিপল টোন কালার লুক দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে, তা যে কেউ দেখলেই একবাক্যে স্বীকার করবে।
উল্লেখ্য যে, ভারতীয় বাজারে এমন ফিচার এবং সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ ই-বাইক চলে আসা মানেই বাংলাদেশি ই-বাইক প্রত্যাশীদের জন্যে অবশ্যই একটি ভাল খবর কারন বাংলাদেশেও বাইক প্রেমীদের পছন্দের রকমফের বদলে গিয়ে এখন চালানো সহজ ও সুলভে পাওয়া যায় এমন বাইকে আগ্রহ বেশি। আমরা আশা করতে পারি, চলতি বছরে অথবা ২০২৩ সালের শুরু থেকেই বাংলাদেশেও ই-বাইকের অসংখ্য রকমফের আমরা দেখতে পাবো ঠিক যেমনটি আমরা বর্তমানে দেখতে পাচ্ছি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে।