Owned for 0-3months [] Ridden for 0-1000km
This user provides ratings about this bike

8 out of 10





This bike is purchased from Green Tiger, Rajshahi
Green Tiger GT 10 ব্যাবহারিক অভিজ্ঞতা আহনাফ হাসান
বাইক চালায় ক্লাস ফাইভ থেকে। বাবার বাইক ছিল অনেক আগে থেকেই, এখনও আছে। নিজের ছাত্র জীবনের প্রয়োজনগুলো সময়ে সময়ে বাড়তে থাকায় একদিন ভাবলাম নিজের একটা বাইক দরকার। আমার বরাবরই পছন্দ ফাস্ট এক্সিলেরেশনের বাইক, কিন্তু যে বাজেট বাসা থেকে দেয়া হল সেটা ভাল মানের একটা বাইক কেনার জন্য যথেষ্ট ছিল না। যাই হোক, অনেকে ভেবে সিদ্ধান্ত নিলাম যে একটা ই-বাইক কিনবো, অর্থাৎ ইলেক্ট্রিক বাইক। এই সিদ্ধান্ত নেবার পেছনে অনেক কারনও ছিল। বর্তমানে বিগত ৬ মাস ধরে ব্যাবহার করছি Green Tiger GT-10। বাইকটি চালিয়ে এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারনের বেশ অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার। আজ সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
কেন ই-বাইক কিনলাম?
শুরুতেই বলেছি বাজেট বা আমার অন্যন্য কারনের কথা, সেগুলো বাদেও একটা বড় কারন হচ্ছে এই ধরনের বাইকের মেইনটেনেন্স খরচ নেই বললেই চলে। আমি বেশ কিছুদিন পড়াশোনা করে বের করলাম স্কুটার কিংবা রেগুলার বাইকের বেশ কিছু খরচ থাকে, যেমন মেইনটেনেন্স খরচ, ফুয়েলের দাম বেশি, পার্টেস দাম অনেক এবং সব সময় ব্যাবহার করাটাও কষ্টের হয়ে যায়। এছাড়াও কোন কাগজপত্র এমনকি ড্রাইভিং লাইসেন্সেরও ঝামেলা নেই। এই দিক থেকে আমার এই ই-বাইক কেনার সিদ্ধান্ত পারফেক্ট। এজন্য কিনে ফেললাম Green Tiger GT-10। সিটি রাইডের জন্য একদম পারফেক্ট যাকে বলে।
Green Tiger GT-10 বাইকের কিছু ভাল দিক যা আমি পেয়েছিঃ
-বাইকটির লুক খুব সন্দর, এবং কালার কম্বিনেশন খুবই ভাল। মজার ব্যাপার হচ্ছে বাইকের কালার ম্যাট টাইপ হবার কারনে ছোটখাট দাগ পড়লে বোঝা যায়না।
-বাইকের বিল্ট-ইন ফিচারস গুলো বেশ ভাল। ডিজিটাল মিটার কনসোল, হ্যাজার্ড লাইট, ৪ কালারের বিল্ট-ইন এলইডি হেডল্যাম্প, সব কিছুই বেশ, আলোর কোন কমতি নেই, এবং সেই সাথে আকর্ষনীয়।
-এই বাইকের একটা মজার ফিচার হচ্ছে এন্টি থেফট একধরনের ব্যাবস্থা এখানে রয়েছে। এই বাইকে টেস লকের মত একটা বিল্ট-ইন এলার্ম সিস্টেম আছে। সেই সাথে হ্যান্ডেল লক করা থাকলে বাইকটি ঠেলা দিয়ে নড়ানো কোনভাবেই সম্ভব হয়ে ওঠে না।
-ভাল মাইলেজ পাওয়া যায়। আমি এক চার্জে ৫০ কিলোমিটারের বেশি পথ পাড়ি দিতে পারি। স্পীড এখন পর্যন্ত পেয়েছি ৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা।
-ব্রেকিং খুবই সুন্দর। সামনের এবং পেছনের ব্রেক একসাথে ধরলে বাইক ইন্সট্যান্ট দাঁড়িয়ে যাবেই।
-সর্বপরি, সিঙ্গেল এবং পিলিয়ন যেকোন রাইডই বেশ কমফোর্টেবল। আমি একদিনে একবার আমার পুরো শহর ঘুরেছি পিলিয়নসহ, এবং বেশ কমফোর্টেবল ছিলাম।
Green Tiger GT-10 বাইকের কিছু মন্দ দিক যা আমার কাছে মনে হয়েছেঃ
-চাকা বেশ ছোট হবার কারনে পানি এবং বালুতে স্কিড করে। ব্রেক করলে তো কথায় নেই।
-সবথেকে বড় সমস্যা হচ্ছে গ্রাউন্ড কিলারেন্স অনেক কম এতটাই কম যে, প্রায় সময় নিচু স্পীডব্রেকারগুলোতেও আটকে যাই।
-ব্যাটারি বাইক হবার কারনের কোন রেডি পিকআপ নেই। মাঝে মাঝে রেডি একটু ভাল পিকআপ দরকার পড়ে।
-বডি পার্টস বেশ দুর্বল। প্লাস্টিকের মান ভাল কিন্তু অনেক পাতলা।
-বাইকের সাথে যে চার্জার থাকে সেটার মান ভাল না। আমাকে পরে চার্জার কিনে নিতে হয়েছে।
সতর্কতাঃ
-বাইকটি পানি দিয়ে ধোয়ার সময় বেশ সাবধান, এর কারন সীটেরর নিচে কন্ট্রলার আছে, যেটা পানি ঢুকে নষ্ট হতে পারে।
-প্রতিনিয়ত বাইক চালিয়ে ব্যাটারি ঠিক রাখতে হবে, ব্যাটারি বেশিদিন ব্যাবহার না হলে বিপদ। পরিবর্তন ছাড়া উপাই নেই।
এই বাইকে ৩ টি গিয়ার রয়েছে। ১ম গিয়ারে চালালে বাইকের মাইলেজ বেড়ে যায় এর কারন ব্যাটারি কম পাওয়া কনসিউম করে, কিন্তু এক্সিলেরেশন এবং পাওয়ার দুটোই কম থাকে। ২য় গিয়ারে চালানো সবথেকে ভাল, এতে করে মাইলজে এবং স্পীডের ভাল একটা কম্বিনেশন থাকে। ৩য় গিয়ার সবথেকে পাওয়ার বেশি দিয়ে থাকে, যার ফলে মাইলেজ অনেকটা কমে আসে। নিজের প্রয়োজন মত ব্যাবহার করাই ভাল। আমি ২য় গিয়ারে চালাই বেশিরভাগ।
সব মিলিয়ে আমি যে দামে কিনেছি পারফর্মেন্সে আমি সন্তুষ্ট, বেশকিছু পরিবর্তন আমাকে করতে হয়েছে, তবে আমি ভাল পারফর্মেন্সে এবং ফিচারস এর কারনে খুশি।