রাজস্থানের প্রতিষ্ঠান হপ ইলেকট্রিক মোবিলিটি (Hop Electric Mobility) তাদের প্রথম বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল, হপ অক্সো (Hop Oxo) এর ব্যাপারে সবাইকে খোলাশা করলো। সম্প্রতি অনেকবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল এই ইলেকট্রিক মোটরবাইকটি। আনুষ্ঠানিক ভাবে বাজারে লঞ্চ করার আগেই, Hop Oxo মডেলটির ছবি প্রকাশ করা হলো কোম্পাণীটির পক্ষ থেকে। একইসঙ্গে কোম্পানিটি বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে।
Hop Oxo ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ফুল চার্জ করে নিলে ১৫০ কিলোমিটারের কাছাকাছি নিশ্চিন্তে চালানো যাবে বলে কোম্পানীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। তবে বাস্তবে যে তারতম্য কিছুটা ঘটতে পারে, তার উত্তর সময় গেলেই পাওয়া যাবে সে কথা বলাই যায়। কোম্পাণী আরও জানিয়েছে যে, বাইকটি ঘন্টা প্রতি ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে সক্ষম হবে।
Hop Oxo নিয়ে যে এখনও পরীক্ষ-নিরীক্ষা চলছে, সে কথা প্রস্তুতিকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে হপের দাবি, ব্যাটারিচালিত মোটরসাইকেলের প্রোটোটাইপ মডেলটি যোধপুর, জয়পুর, পাটনা, হায়দরাবাদ, লুধিয়ানা, কলকাতা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩০,০০০ কিলোমিটার পথ সফর করেছে। কোম্পানির গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের লক্ষ্য, ওই সফর থেকে প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে সমস্ত সমস্যাগুলি ঠিকঠাক করে নিখুতভাবে ঢেলে সাজিয়ে একটি সম্পূর্ণ পণ্য তৈরি করে তারপরেই বাজারে আনা।
হপ ইলেকট্রিক মোবিলিটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও কেতন মেহতা (Ketan Mehta) বলেছেন, স্টুডিও বা ল্যাবে কোনও পণ্য ইঞ্জিনিয়ার এবং ডিজাইনারদের হাতে তৈরি হলেও, ডিলার এবং ভোক্তাদের অর্ন্তদৃষ্টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে আমরা ঘোষণা করতে রোমাঞ্চিত বোধ করছি যে, আমরাই ভারতের প্রথম ইভি কোম্পানী, যারা কনজিউমার ট্রায়াল শুরু করেছি৷ #OXONSNEAKPEEK প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা ডিলার এবং ভোক্তাদের কাছ থেকে হপ অক্সো ই-বাইক সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ও পরামর্শ পাচ্ছি।”
বলা বাহুল্য যে, হপ বর্তমানে Leo ও LYF মডেলের দু’টি ই-স্কুটার বিক্রি করবে। জয়পুরে Hop কোম্পানির একটি কারখানা রয়েছে। যেখান খুব শীঘ্রই LYF এর আপডেটেড মডেল এবং আপকামিং অক্সোর উৎপাদন চালু হবে। হপ মেগাপ্লেক্স নামক ওই ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটির উৎপাদন ক্ষমতা দৈনিক ১০০ ইউনিট। আবার আগামী তিন বছরের মধ্যে ভারতের বাজারে দশটি নতুন মডেল নিয়ে আসারও পরিকল্পনা করছে হপ।
আশা করা যায় বাংলাদেশের বাজারেও Hop Electric Mobility ই-বাইকের বিশাল চাহিদার কথা মাথায় রেখে তাদের পন্য বাজারজাত করা শুরু করবে ভারতীয় বাজারে তাদের চাহিদা মেটানোর পরপরই।