আমার নাম জীবন, বর্তমানে আমি ব্যবহার করছি Greenwheel ব্রান্ডের একটি ই-বাইক । এই ই-বাইকটি আমি কিনেছিলাম ৩ মাস আগে এবং আমি প্রায় ৫ বছর যাবত এই Greenwheel এর বাইক ব্যবহার করে আসছি। আমার কাছে ই-বাইক মানে শান্তির বাহন, যেকোন স্থানে সহজে যাতায়াত করা যায় এবং এটাতে তুলনামূলক খরচ অনেক কম। তাই সব দিক বিবেচনায় আমার কাছে ই-বাইকের প্রাধান্য একটু বেশি থাকে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার ই-বাইক ব্যবহার অভিজ্ঞতা সংক্ষিপ্ত আকার শেয়ার করবো।
-আমার কাছে প্রথম ভালো লাগার বিষয় হল এর ব্যাটারী ব্যাক আপ ওমাইলেজ । এই ই বাইকের ব্যাটারী ফুল চার্জ দিলে ৭০ কিমি মাইলেজ দেয় যেটা আমার যাতায়াতের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। প্রতিদিনের যাতায়াতে এটা থেকে ভাল ফিডব্যাক পাওয়া যায়। এই ব্যাটারি ফুল চার্জ হতে সময় নেয় ৬ থেকে ৭ ঘন্টা।
-শহরের মধ্যে আমি রাইড করে খুব স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি কারণ এটা খুব আরামদায়ক রাইড সরবরাহ করে। এদিকে পিলিয়ন নিয়েও রাইড করে খুব আরাম আছে। এর সিটিং পজিশন আমার কাছে যথেষ্ট ভালো বলে মনে হয়েছে।
-এটা কেনার আগে আমি যেমনটা পারফরমেন্স ও ফিডব্যাক পাবো বলে আশা করেছিলাম এখন ঠিক সেরকম পাচ্ছি কিন্তু সমস্যা হল এর পার্টস দিয়ে। আমার ই-বাইকের যদি কোন পার্টস নষ্ট হয় সেই পার্টস পেতে অনেক সময় লাগে এবং মাঝে মাঝে সেটা পাওয়াও যায় না। আমার আগের যে ই-বাইক গুলো ছিলো সেগুলোতেও একই সমস্যা আমি অনুভব করেছি।
-ব্রেকিং সিস্টেম আমার কাছে একটু দুর্বল বলে মনে হয়েছে এবং টায়ারের গ্রিপিং সিস্টেম খুব একটা ভালো না যার ফলে আমি যখন ব্রেক করি তখন টায়ার স্কীড করলে এবং কম ব্রেকিং সরবরাহ করে।
-হেডল্যাম্পের আলো আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি কারণ এটার পাওয়ার অনেক কম। অন্যদিকে ইলেকট্রিক্যাল যে ফিচারস রয়েছে সেগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে।
এই ই-বাইকের বড় একটি সুবিধা হল এর মেইন্টেনেন্স খরচ একদম কম যার ফলে এটা অনেক সাশ্রয়ী একটি বাইক।
-ই বাইকের সার্ভিস সেন্টার তেমন উন্নত না এবং এর বিল্ড কোয়ালিটি আমার কাছে তেমন ভালো মনে হয়নি। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, এর বডি কিটগুলো ভঙ্গুর।
-যারা ই-বাইক পছন্দ করেন এবং ই বাইক কেনার জন্য আগ্রহী তারা আমার উপরিউক্ত ভালো মন্দ দিক বিবেচনা করে কিনতে পারেন। তবে আমি বলবো যে , শহরের রাস্তায় চলাচলের জন্য সেরা একটা বাইক হল এই ই-বাইক।