আমি তাউহিদ উদ্দিন আহমেদ বাবু, বর্তমানে ব্যবহার করছি Green Tiger এর একটি ই-বাইক যার নাম Green Tiger GT-5 plus. বিগত ৫ বছর যাবত আমি এই ই-বাইক ব্যবহার করছি এবং এই ৫ বছরে অনেক বেশি রাইড করেছি। রাজশাহীতে প্রথম যখন ই বাইক আসে তখনই আমি এটা কিনেছিলাম ।
আমার দৈনন্দির যাতায়াতের জন্য একটি বাহনের খুবই প্রয়োজন ছিলো কিন্তু আমার তেমন বাজেট ছিলো না যে একটা বাইক কিনবো কারণ বাইকের দাম তুলনামূলক বেশি এবং এটার খরচ অনেক। তাই এর বিকল্প হিসেবে ভাবলাম ই-বাইক কারণ এটা আমি স্বল্প খরচ করেই আমার দৈনন্দিন যাতায়াতের চাহিদা মেটাতে পারছি এবং আমার বাজেটের মধ্যেও এটা হয়ে গেছে তাই আমি Green Tiger GT-5 plus কিনি।
আমি এই ই-বাইক কেনার আগে যেমনটা ফিডব্যাক পাবো বলে আশা করেছিলাম ঠিক তেমনটাই এখন ফিডব্যাক পাচ্ছি। এর যে ব্যাটারী রয়েছে সেটার ব্যাকআপ অনেক ভালো , এই ব্যাটারী ফুল চার্জ দিতে সময় লাগে প্রায় ৭-৮ ঘন্টা এবং নতুন অবস্থায় এক চার্জে মাইলেজ পাওয়া যায় ৭০-৭৫ কিমি এবং ব্যাটারি পুরাতন হয়ে গেলে সেটা ৪০-৫০ কিমি তে মাইলেজ নেমে আসে।
এমনিতে এই বাইকটি রাইড করে অনেক আরামদায়ক, শহরের মধ্যে আমি খুব ভালোভাবে আরামের সাথে রাইড করতে পারি । এদিকে কন্ট্রোল খুব ভালো, এর যে সাসপেনশন , ব্রেকিং আছে সেগুলো ভালো ফিডব্যাক দেয়।
হেডল্যাম্পের আলো যথেষ্ট ভাল লেগেছে শহরের রাস্তায় চলাচলের জন্য । এছাড়া অন্যান্য যে ইলেকট্রিক্যাল ফিচারসগুলো রয়েছে সেগুলো থেকে আমি ভালো ফিডব্যাক পাচ্ছি।
আমি এই ই-বাইক নিয়ে একটানা ৫০-৬০ কিমি রাইড করেছি। আমার কাছে তেমন অসুবিধা মনে হয়নি। এই ই-বাইকের একটা বড় সুবিধা হল এর মেইনটেন্স খরচ একদম কম। আমি যদি হিসাব করি তাহলে ৫ বছরে আমার খরচ ব্যাটারি সহ আনুমানিক ৩০,০০০ টাকার মত।
আমি ই-বাইকের পার্টস নিয়ে একটু সমস্যায় পরেছি , এর যে বডি পার্টস আছে সেগুলোর বিল্ড কোয়ালিটি তেমন ভালো না এবং সব পার্টস সার্ভিস সেন্টারে পাওয়া যায় না । যেগুলো পাওয়া যায় না সেগুলো একটু জোড়াতালি দিয়ে ঠিক করতে হয় যেটা আমার পছন্দ না।
যারা ই-বাইক কিনতে ইচ্ছুক তাদের কাছে আমার পরামর্শ থাকবে যে, যদি আপনি সমতল রাস্তায় রাইড করতে চান তাহলে আপনার জন্য ই-বাইক বেষ্ট কিন্তু পাহাড়ি রাস্তা যা আপনার অফিস যদি ৪০-৫০ কিমি দূরে হয় তাহলে এই Green Tiger GT-5 plus নিয়ে মুভ না করাই উত্তম। এই ছিলো আমার ই-বাইক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা, সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি।