আমি মনে করি ই-বাইক হচ্ছে শহরে চলাচলের জন্য সেরা একটি বাহন। আমি বাইক বাদে যে কারনে ই-বাইক কিনেছি তার প্রধান ও অন্যতম কারণ হল ই-বাইক ব্যবহারের খরচ কম এবং সহজে এটা রাইড করা যায়। আমি প্রায় ৪ মাস যাবত এই DGDC VIVE ই-বাইকটি ব্যবহার করছি এবং ২০০০ কিমি রাইড করেছি। আজকে এই ই-বাইক ব্যবহারের ভালো মন্দ অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
প্রথমে বলি DGDC VIVE ই-বাইকের ভালো দিক সম্পর্কে
• আমার কাছে ই-বাইক রাইড করে খুবই আরামদায়ক মনে হয়েছে। এটা আমি শহরে রাইডের জন্য ব্যবহার করি এবং ব্যবহার করে আমার কাছে মনে হয়েছে যে শহরে রাইডের জন্য এর থেকে সেরা বাইক আর হতে পারে না।
• ব্যাটারির পারফরমেন্স আমার কাছে শুরুতে ভালো মনে হয়েছে এবং এর থেকে ভালো ফিডব্যাক পাওয়া যায় শর্ট রাইডের ক্ষেত্রে।
• ব্রেকিং সিস্টেম এর পারফরমেন্স অনেক ভালো তার থেকেও আমার কাছে টায়ার এর পারফরমেন্স অনেক বেশি ভালো লেগেছে। টায়ারের গ্রিপিং সিস্টেম যে কোন রাস্তায় অনেক ভালো পারফরমেন্স দিতে সক্ষম।
এবারে বলি DGDC VIVE এর মন্দ দিক
• শুরুতে এর ব্যাটারি ভালো পারফরমেন্স দিলেও শেষের দিক যেয়ে ব্যাটারি পারফরমেন্স ও মাইলেজ একদম কমে যায়। আমি নিজেই আস্তে রাইড করলে ৫২ কিমি মাইলেজ পাই কিন্তু ব্যাটারির বয়স হলে একদমই মাইলেজ কমে যায়। আমি মনে করি মাইলেজ ও ব্যাটারি ক্যাপাসিটি বাড়াতে হবে।
• হেডল্যাম্পের আলো আমার কাছে একটু কম মনে হয়েছে।
• মেইন্টেনেন্স খরচ অন্যান্য গ্রাহক যারা আছে তারা কম বলেছেন কিন্তু আমার কাছে একটু বেশি মনে হয়েছে কারণ এর স্পেয়ার পার্টস এর দাম অনেক বেশি এবং সার্ভিস চার্জ ও বেশি। এদিক থেকে বিবেচনা করলে মেইন্টেনেন্স খরচ আমার কাছে বেশি মনে হয়েছে।
• বিল্ড কোয়ালিটি একদম খারাপ। এদিকে এই ই-বাইকের সাথে যে বডি পার্টস রয়েছে সেগুলো নষ্ট হলে বা ভেঙ্গে গেলে পেতে পার্টস পেতে দেরি হয়।
আমি মনে করি যে একটা ই-বাইক কেনার ক্ষেত্রে খরচ কম এবং চালিয়ে আরাম এগুলো বিষয় মাথায় রাখা উচিত। যারা ই-বাইক কিনতে চান তাদেরকে আমি বলবো যে, রাজশাহি শহরের মধ্যে চলাচলের জন্য ই-বাইক সেরা বাহন।