আমি বিগত ৭ বছর যাবত ই-বাইক ব্যবহার করে আসছি এবং আমার কাছে মনে হয়েছে যে বাইকের থেকে ই-বাইকের সুবিধা অনেক বেশি। আমি সাধারণত শহরের মধ্যে ই-বাইক নিয়ে চলাচল বেশি করি এবং এটা নিয়ে চলতে আমি অনেক স্বাছন্দ্যবোধ করি। কেনার আগে আমি যেমনটা আশা করেছিলাম এখন ঠিক সেরকম ফিডব্যাক পাচ্ছি,মোট কথায় বলতে গেলে আমি আমার রাইড উপভোগ করি। যেহেতু আমি অনেক দিন যাবত ই-বাইক রাইড করছি তাই আজকে আমি আমার ব্যবহার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
ব্যাটারি
আমার কাছে ব্যাটারি ফিডব্যাক অনেক ভালো মনে হয়েছে । এই ব্যাটারি ফুল চার্জ হতে সময় নেয় ১০ ঘন্টা এবং ১ চার্জে ৪৫-৫০ কিলোমিটার মাইলেজ দেয়। ব্যাটারি যখন নতুন অবস্থায় থাকে তখন আমি মাইলেজ পাই ৬০ কিমি । সব মিলিয়ে ব্যাটারির মাইলেজ নিয়ে আমি সন্তুষ্ট।
আরাম ও কন্ট্রোল
আমার এই Exploid WD ই-বাইকের আরাম ও কন্ট্রোল নিয়ে অনেক সন্তুষ্ট। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি যে মোটা টায়ার , ডাবল ডিস্ক ব্রেক ইত্যাদি সব মিলিয়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এদিকে প্রথমের দিকে সাসপেনশনের পারফরমেন্স প্রথমের দিকে একটু কম মনে হলেও এখন আমি খুব ভালো পাচ্ছি। আমি একদিনে এই ই-বাইক নিয়ে একটানা প্রায় ৩০ কিমি রাইড করেছি।
ইলেকট্রিক্যাল ফিচারস
আমার কাছে হেডল্যাম্পের আলো কিছুটা কম মনে হয়েছে। শহরের মধ্যে রাইডের জন্য আলো ঠিক আছে কিন্তু হাইওয়েতে রাইডের জন্য একদমই না। এছাড়াও অন্যান্য ইলেকট্রিক্যাল বিষয় আমার কাছে ভালো লেগেছে।
মেইন্টেনেন্স ও সার্ভিস
আমার কাছে Exploid WD ব্যবহার করে এর মেইন্টেনেন্স খরচ অনেক কম মনে হয়েছে । আমি সাধারনত আমার ই-বাইক রাজশাহীর গ্রীন টার্গেট শোরুম থেকে করিয়ে থাকি । তাদের সার্ভিস আমার কাছে ভালো লেগেছে। এদিকে ই-বাইকের পার্টস নিয়ে আমার একটু অভিযোগ আছে যে , পার্টসগুলো সঠিক সময়ে সঠিকভাবে পাওয়া যায় না।
যারা ই-বাইক কিনবেন তারা সহজে রাইড ও আরামদায়ক রাইডের কথা বিবেচনা করে অবশ্যই কিনবেন এবং আমার পরামর্শ থাকবে যে শহরের মধ্যে চলাচলের জন্য ই-বাইক নিতে পারেন।