আমাদের সমাজের যারা মুরুব্বী তারাই মুলত আমাদের দেশের সিনিয়র সিটিজেন আর সমাজের মুরুব্বীরা চাইলেই অন্য সবার মত চলতে ফিরতে পারবেন না। উনাদের সবকিছুতেই ধীর-স্থির, ধৈর্য ইত্যাদি বিষয় খেয়াল করে চলা লাগে। ই বাইকের ক্ষেত্রে যদি মুরুব্বীদের প্রশ্ন আসে সেক্ষেত্রেও বেশকিছু বিষয় খেয়াল করে তারপর ই বাইক নিয়ে নেন তারা।
আমাদের পক্ষ থেকে কিছু বিষয় আমরা পরামর্শ আকারে উল্লেখ করছি যা আপনারা চাইলে নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে পারেনঃ
• আরামের ক্ষেত্রেঃ
সিটঃ খেয়াল করুন সীটের প্যাডিং সিস্টেমটা উন্নত কি না আর আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী এডজাস্ট করে পরিপুর্ন আরাম পাবেন কি না।
হ্যান্ডেলবারঃ যে কোন দুই চাআকার যানবাহনের ক্ষেত্রে হ্যান্ডেলবারের ধরতে পারার আরামটা অনেক গুরুত্বপুর্ন, এই বিষয়ে নিষচিত হউয়ার জন্যে সম্ভব হলে বাইক ক্রয়ের পুর্বে একবার টেস্ট রাইড দিন।
সাসপেনশনঃ আরামের প্রশ্নে যে কোন বাইকে উন্নতমানের সাসপেনশনের কোন বিকল্প নাই, সেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পুর্বে আপনার পছন্দকৃত ই বাইকে কোন ধরনের সাসপেন্সশন ব্যবহার করা হয়েছে তা দেখে নিন।
• ই বাইকের সাইজ বা আকারঃ
ই বাইকের সাইজ খুব গুরুত্বপুর্ন বিষয় যখন আপনি একজন সিনিয়র মানুষ হিসেবে ই বাইক পছন্দ করছেন। খেয়াল করুন কোন ফ্রেম দিয়ে আপনার পছন্দের ই বাইকটি তৈরি করা হয়েছে এবং এই ফ্রেম বা আকার আপনাকে যে কোন পথে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয় কি না আর বাইকটার সাইজ আপনার বয়সের সাথে মানানসই কি না।
ওজনের সামঞ্জস্যতাঃ
আপনার ই বাইকের ওজন যত কম হবে আপনার জন্য তা হ্যান্ডেল করা ততই সহজ হবে বিশেষত আপনি যখন একজন মুরুব্বী হিসেবে ই বাইক রাইড করার কথা ভাবছেন।
• বাংলাদেশে প্রচলিত কিছু নামকরা ই বাইক ব্রান্ডঃ
আপনার পছন্দ আলাদা হতেই পারে, এরপরেও যেহেতু ই বাইক বাংলাদেশে এখনও ফুয়েল চালিত বাইকের মত সেভাবে প্রচলিত হয়নি তাই আমাদের ডাটাবেজ অনুযায়ী কয়েকটি জনপ্রিয় ই বাইকের ব্রান্ডের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
• Green Tiger
• Akij
• Bir
• Exploit
• Takyon
• Yadea
• ই বাইক ক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছু সাধারন পরামর্শঃ
টেস্ট রাইডঃ ই বাইক ক্রয়ের পুর্বে অবশ্যই বাইকটি দেখে নিবেন যে বাইকটি আপনার প্রত্যাশিত রাইডিং এবং কম্ফোর্ট নিশিচিত করছে কি না।
ওয়ারেন্টিঃ গ্যারেন্টি বা ওয়ারেন্টি সম্পর্কিত সকল শর্তাবলি দেখে ডকুমেন্ট বুঝে নিবেন।
বিক্রয় পরবর্তী সেবাঃ নিশিত করুন যে ই বাইকটি কেনার পরে আপনার বাড়ির কাছেই আপনি সার্ভিস পাবেন।
সেফটি গিয়ারসঃ ই বাইক নেওয়ার সময় অবশ্যই প্রয়োজনীয় সেফটি গিয়ারগুলোও নিয়ে নিবেন, আইন মানার জন্য না, নিজের সুরক্ষার জন্যে।